somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি (পর্ব ০২)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



(পূর্ব প্রকাশের পর)
জাহেলিয়াতে নিমজ্জিত আরবদের মাঝে আল্লাহ পাঠালেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব আখেরী নবী, বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা.) বিন আব্দুল্লাহকে। চারদিকে সীমাহীন অন্যায়, অবিচার, নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় দেখে আল্লাহর রসুল নবুয়্যত প্রাপ্তির পূর্বেই বিচলিত হয়ে পড়লেন। মানুষের দুঃখ, দুর্দশা তাঁর হৃদয় স্পর্শ করল। তিনি উপায় খুঁজতে লাগলেন- কোন পথে মানুষের মুক্তি, কীভাবে এই সীমাহীন অন্যায়, অবিচার দূর করা সম্ভব। তরুণ বয়সে যোগ দিলেন হিলফুল ফুজুল নামক একটি সামাজিক সংগঠনে। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ-রক্তপাতের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং যথাসম্ভব মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। সমাধানের রাস্তা অধরাই থেকে গেল। এদিকে সময় থেমে নেই। দিনদিন অন্যায়, অবিচার বেড়ে চলেছে ধাই ধাই করে। এসব দেখে রসুল (সা.) হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন হলেন।

এই ধ্যান সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। অনেকে মনে করেন আজকের পীর-দরবেশরা যেভাবে ধ্যান-সাধনায় মত্ত থাকেন নবুয়্যত পাওয়ার আগে রসুলাল্লাহও বুঝি অমন ধ্যান করতেন। এটা ভুল ধারণা। রসুলাল্লাহর ধ্যান আজকের যুগের পীর-দরবেশদের মত ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক সাধনা করে কুরবিয়্যাত অর্জনের ‘তরিকা’ ছিল না। পীর দরবেশদের ধ্যানের সাথে রসুলের ওই ধ্যানের প্রধান তফাৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। পীর-দরবেশরা ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক সাধনা হিসেবে যে ধ্যান করেন তার সাথে সমাজের বা জাতির সঙ্কটমুক্তির কোনো ব্যাপার থাকে না। ওটা আত্মকেন্দ্রিকতারই নামান্তর। যে মানুষ সমাজে চরম অন্যায়, অবিচার, দমন-পীড়ন, শোষণ, হানাহানি দেখার পরও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে ব্যক্তিগত আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের ধ্যানে মগ্ন থাকে, সে লোক কঠিন সাধনা করে আত্মার শক্তি বাড়িয়ে পানির উপর দিয়ে হেঁটে যায় যাক, ফুঁ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ফেলে ফেলুক, আমি তার কেরামতির শক্তিতে কোনো মাহাত্ম্য দেখি না, তার আত্মাকে আমি বলি ‘মৃত আত্মা’। ওই আত্মা কস্মিনকালেও আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করতে পারে না। আল্লাহকে পেতে হয় মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে, মানুষকে পরিহার করে নয়।

ইব্রাহীম (আ.) নমরুদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছিলেন কেন? নমরুদীয় শাসনব্যবস্থার অধীনস্থ সভ্যতাটি জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে কী পরিমাণ উৎকর্ষতা অর্জন করেছিল তা আজকের যুগে কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু সমস্যা হয়েছিল অন্য জায়গায়। তখন ন্যায়-অন্যায়ের মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল পেশীশক্তি। দমন-পীড়ন, স্বেচ্ছাচারিতায় ভরে উঠেছিল সমাজ। শক্তির পিঞ্জরে বন্দী ছিল সমস্ত স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রতা। ইবরাহীম (আ.) দাঁড়ালেন ন্যায়ের আলোকবর্তিকা হাতে। এর পরিনাম সুখকর হবে না তা তিনি ভালো করেই জানতেন; তবু নীরব থাকতে পারেন নি। মুসা (আ.) একজন দাসের প্রতি অবিচার হতে দেখে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে, অবিচারকারী কিবতীকে (মিসরী) প্রচণ্ড আঘাত করে বসেন। এমন স্পর্ধা দেখানোর সাহস তখন কারও ছিল না। একইভাবে ঈসা (আ.) এর লড়াই ছিল ধর্মের জিঞ্জির পরিয়ে মানবতাকে বন্দী করে রাখার বিরুদ্ধে। স্যাবাথের দিন জনকল্যাণকর কর্মকাণ্ড করে তিনি ইহুদিদের শিক্ষা দিলেন যে, মানুষের কল্যাণই ধর্মের মূলকথা।

এই যে নবী-রসুলগণ যুগে যুগে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য লড়াই করেছেন তার কোনোই দরকার পড়ত না যদি তারা ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি অর্জনকেই জীবনের সারকথা বলে মনে করতেন। ব্যক্তিগতভাবে তাদের চরিত্র অন্য যে কারও চেয়ে পরিশুদ্ধ ছিল এটা বলাই বাহুল্য। তাহলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অসম শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইতে অবতীর্ণ হবার দরকার পড়ল কেন? বস্তুত মানুষের মুক্তির মধ্যেই তারা জীবনের সার্থকথা খুঁজে পেয়েছেন, ব্যক্তিগত আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের মধ্যে নয়। এজন্যই মানবজাতির মুকুটমনি, রহমাতাল্লিল আলামিন জাহেলিয়াতপূর্ণ আরব সমাজের দুঃখ-দুর্দশা, অন্যায়-অশান্তি দূরীকরণের উপায় বের করতে নবুয়্যতের আগেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলেন। ধ্যানমগ্ন হয়ে নিবিষ্টচিত্তে পথসন্ধান করতে লাগলেন। তারপর আল্লাহর পক্ষ থেকে এল হেদায়াহ বা সঠিক পথনির্দেশ। আল্লাহ এই সময়টার কথাই পরবর্তীতে তাঁর হাবীবকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন’ (আদ দ্বোহা- ০৭)।

যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় স্থাপনার সংগ্রাম শুরু:-
এবার শুরু হলো আল্লাহর রসুলের ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার আপসহীন সংগ্রাম (আজকের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর ভাষায় ইসলামী আন্দোলন)। নবুয়্যত লাভের পর রসুলাল্লাহ সর্বপ্রথম মানুষকে যে কথার দিকে আহ্বান করলেন তা হচ্ছে- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো হুকুমদাতা নেই। এই ঘোষণার তাৎপর্য কী তা বুঝতে হবে। কী আছে এই কলেমার আহ্বানের মধ্যে যা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মক্কার আলামিন ও আস-সাদিক হয়ে গেলেন উন্মাদ, যাদুকর, ধর্মদ্রোহী? কী আছে এই শব্দ কয়টির অন্তরালে যা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আবু লাহাবকে চিৎকার করে বলতে শোনা গেল- ‘ধ্বংস হও মোহাম্মদ’? সাফা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে গালাগালি, হট্টগোল ও প্রতিরোধের মুখে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেদিন কেবল তওহীদের আনুষ্ঠানিক যাত্রাই শুরু হলো না, সেই সাথে ‘আল্লাহর হুকুম গ্রহণ করা হবে নাকি বর্জন করা হবে’ মানবজাতির ইতিহাসের সেই পুরোনো দ্বন্দ্বটাও ফিরে এলো নতুন প্রেক্ষাপটে। এ দ্বন্দ্ব অতীতে হয়েছে, বর্তমানে হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। আর সে দ্বন্দ্বে যারা তওহীদের পক্ষ নিবে তাদের জন্যই রয়েছে জান্নাত। (চলবে)(পূর্ব প্রকাশের পর)
জাহেলিয়াতে নিমজ্জিত আরবদের মাঝে আল্লাহ পাঠালেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব আখেরী নবী, বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা.) বিন আব্দুল্লাহকে। চারদিকে সীমাহীন অন্যায়, অবিচার, নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় দেখে আল্লাহর রসুল নবুয়্যত প্রাপ্তির পূর্বেই বিচলিত হয়ে পড়লেন। মানুষের দুঃখ, দুর্দশা তাঁর হৃদয় স্পর্শ করল। তিনি উপায় খুঁজতে লাগলেন- কোন পথে মানুষের মুক্তি, কীভাবে এই সীমাহীন অন্যায়, অবিচার দূর করা সম্ভব। তরুণ বয়সে যোগ দিলেন হিলফুল ফুজুল নামক একটি সামাজিক সংগঠনে। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ-রক্তপাতের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং যথাসম্ভব মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। সমাধানের রাস্তা অধরাই থেকে গেল। এদিকে সময় থেমে নেই। দিনদিন অন্যায়, অবিচার বেড়ে চলেছে ধাই ধাই করে। এসব দেখে রসুল (সা.) হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন হলেন।

এই ধ্যান সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। অনেকে মনে করেন আজকের পীর-দরবেশরা যেভাবে ধ্যান-সাধনায় মত্ত থাকেন নবুয়্যত পাওয়ার আগে রসুলাল্লাহও বুঝি অমন ধ্যান করতেন। এটা ভুল ধারণা। রসুলাল্লাহর ধ্যান আজকের যুগের পীর-দরবেশদের মত ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক সাধনা করে কুরবিয়্যাত অর্জনের ‘তরিকা’ ছিল না। পীর দরবেশদের ধ্যানের সাথে রসুলের ওই ধ্যানের প্রধান তফাৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। পীর-দরবেশরা ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক সাধনা হিসেবে যে ধ্যান করেন তার সাথে সমাজের বা জাতির সঙ্কটমুক্তির কোনো ব্যাপার থাকে না। ওটা আত্মকেন্দ্রিকতারই নামান্তর। যে মানুষ সমাজে চরম অন্যায়, অবিচার, দমন-পীড়ন, শোষণ, হানাহানি দেখার পরও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে ব্যক্তিগত আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের ধ্যানে মগ্ন থাকে, সে লোক কঠিন সাধনা করে আত্মার শক্তি বাড়িয়ে পানির উপর দিয়ে হেঁটে যায় যাক, ফুঁ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ফেলে ফেলুক, আমি তার কেরামতির শক্তিতে কোনো মাহাত্ম্য দেখি না, তার আত্মাকে আমি বলি ‘মৃত আত্মা’। ওই আত্মা কস্মিনকালেও আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করতে পারে না। আল্লাহকে পেতে হয় মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে, মানুষকে পরিহার করে নয়।

ইব্রাহীম (আ.) নমরুদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছিলেন কেন? নমরুদীয় শাসনব্যবস্থার অধীনস্থ সভ্যতাটি জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে কী পরিমাণ উৎকর্ষতা অর্জন করেছিল তা আজকের যুগে কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু সমস্যা হয়েছিল অন্য জায়গায়। তখন ন্যায়-অন্যায়ের মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল পেশীশক্তি। দমন-পীড়ন, স্বেচ্ছাচারিতায় ভরে উঠেছিল সমাজ। শক্তির পিঞ্জরে বন্দী ছিল সমস্ত স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রতা। ইবরাহীম (আ.) দাঁড়ালেন ন্যায়ের আলোকবর্তিকা হাতে। এর পরিনাম সুখকর হবে না তা তিনি ভালো করেই জানতেন; তবু নীরব থাকতে পারেন নি। মুসা (আ.) একজন দাসের প্রতি অবিচার হতে দেখে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে, অবিচারকারী কিবতীকে (মিসরী) প্রচণ্ড আঘাত করে বসেন। এমন স্পর্ধা দেখানোর সাহস তখন কারও ছিল না। একইভাবে ঈসা (আ.) এর লড়াই ছিল ধর্মের জিঞ্জির পরিয়ে মানবতাকে বন্দী করে রাখার বিরুদ্ধে। স্যাবাথের দিন জনকল্যাণকর কর্মকাণ্ড করে তিনি ইহুদিদের শিক্ষা দিলেন যে, মানুষের কল্যাণই ধর্মের মূলকথা।

এই যে নবী-রসুলগণ যুগে যুগে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য লড়াই করেছেন তার কোনোই দরকার পড়ত না যদি তারা ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি অর্জনকেই জীবনের সারকথা বলে মনে করতেন। ব্যক্তিগতভাবে তাদের চরিত্র অন্য যে কারও চেয়ে পরিশুদ্ধ ছিল এটা বলাই বাহুল্য। তাহলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অসম শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইতে অবতীর্ণ হবার দরকার পড়ল কেন? বস্তুত মানুষের মুক্তির মধ্যেই তারা জীবনের সার্থকথা খুঁজে পেয়েছেন, ব্যক্তিগত আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের মধ্যে নয়। এজন্যই মানবজাতির মুকুটমনি, রহমাতাল্লিল আলামিন জাহেলিয়াতপূর্ণ আরব সমাজের দুঃখ-দুর্দশা, অন্যায়-অশান্তি দূরীকরণের উপায় বের করতে নবুয়্যতের আগেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলেন। ধ্যানমগ্ন হয়ে নিবিষ্টচিত্তে পথসন্ধান করতে লাগলেন। তারপর আল্লাহর পক্ষ থেকে এল হেদায়াহ বা সঠিক পথনির্দেশ। আল্লাহ এই সময়টার কথাই পরবর্তীতে তাঁর হাবীবকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, ‘তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন’ (আদ দ্বোহা- ০৭)।

যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় স্থাপনার সংগ্রাম শুরু:-
এবার শুরু হলো আল্লাহর রসুলের ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার আপসহীন সংগ্রাম (আজকের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর ভাষায় ইসলামী আন্দোলন)। নবুয়্যত লাভের পর রসুলাল্লাহ সর্বপ্রথম মানুষকে যে কথার দিকে আহ্বান করলেন তা হচ্ছে- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো হুকুমদাতা নেই। এই ঘোষণার তাৎপর্য কী তা বুঝতে হবে। কী আছে এই কলেমার আহ্বানের মধ্যে যা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মক্কার আলামিন ও আস-সাদিক হয়ে গেলেন উন্মাদ, যাদুকর, ধর্মদ্রোহী? কী আছে এই শব্দ কয়টির অন্তরালে যা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আবু লাহাবকে চিৎকার করে বলতে শোনা গেল- ‘ধ্বংস হও মোহাম্মদ’? সাফা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে গালাগালি, হট্টগোল ও প্রতিরোধের মুখে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেদিন কেবল তওহীদের আনুষ্ঠানিক যাত্রাই শুরু হলো না, সেই সাথে ‘আল্লাহর হুকুম গ্রহণ করা হবে নাকি বর্জন করা হবে’ মানবজাতির ইতিহাসের সেই পুরোনো দ্বন্দ্বটাও ফিরে এলো নতুন প্রেক্ষাপটে। এ দ্বন্দ্ব অতীতে হয়েছে, বর্তমানে হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। আর সে দ্বন্দ্বে যারা তওহীদের পক্ষ নিবে তাদের জন্যই রয়েছে জান্নাত। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×