somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে নতুন রাস্তাটা, ঠেকাতে মরিয়া ড্রাগন (চীন)

৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে নতুন রাস্তাটা, ঠেকাতে মরিয়া ড্রাগন (চীন)

আর মাত্র ১৭-১৮ কিলোমিটার। ওইটুকু দূরত্ব জুড়ে নিতে পারলেই একেবারে কারাকোরাম পাসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। ঐতিহাসিক গিরিপথের ও পারেই ইয়ারকন্দ, কাশগড়, খোটান, শাহিদুল্লার মতো একের পর এক ঐতিহাসিক জনপদ। সুবিশাল শিনচিয়াং প্রদেশকে সুরক্ষিত রাখতে এই জনপদগুলোর প্রত্যেকটা চিনের জন্য সামরিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চওড়া এবং মসৃণ রাস্তা বানিয়ে ভারতীয় বাহিনী হু হু করে পৌঁছে যাবে সেই এলাকার দরজা পর্যন্ত, তা কি ড্রাগনের পক্ষে চুপচাপ মেনে নেওয়া সম্ভব! অতএব আবার পুরনো কৌশল। সীমান্ত উত্তপ্ত করে ভারতের কাজ আটকে দেওয়া। কিন্তু সে কৌশলে আর কাজ হচ্ছে না এ বার। লাদাখ থেকে অন্তত তেমন খবরই আসছে।
মে মাসের শুরুর দিক থেকেই অশান্তি শুরু হয়েছিল। প্রথমে লাদাখের প্যাংগং লেকের কাছে, তার পরে উত্তর সিকিমের নাকু লা-তে। ১০ মে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবর পায় যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) বরাবর অন্তত দু’টি এলাকায় হাতাহাতি-মারামারি হয়েছে ভারতীয় এবং চিনা বাহিনীর মধ্যে। গোলাগুলি নয়। ধস্তাধস্তি, পাথর ছোড়াছুড়ি, লাঠালাঠিও। দু’পক্ষেই জখম হওয়ার খবর এসেছিল। তবে চিনা বাহিনীর অন্তত ১০০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তর সিকিমের ওই সঙ্ঘর্ষের পরে, দাবি ভারতীয় সেনা সূত্রের। সেই সংখ্যাটা ভারতের তরফে অনেকটাই কম বলেও খবর।
১৯৬৭ সালের পর থেকে ভারত-চিন সীমান্তে গোলাগুলি চলার খবর প্রায় নেই বললেই চলে। সীমান্তে কাঁটাতার লাগাচ্ছিল ভারতীয় বাহিনী সে বার। বাধা দেয় চিন। ভারত বাধা মানেনি। রাইফেল থেকে গুলি চালায় চিনা বাহিনী। ভারতীয় সেনা লাইট মেশিন গান খুলে দেয়। চিন গুলি চালাতে শুরু করে হেভি মেশিন গান থেকে। ভারতীয় বাহিনী আর্টিলারি গান থেকে গোলাবর্ষণ শুরু করে। সে বারও দু’তরফেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সে বারও চিনের তরফেই লোকক্ষয় বেশি হয়েছিল বলে ভারতীয় সেনার একাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্তার দাবি। আর সে বারের পর থেকে সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার বিষয়ে দু’দেশই অনেক বেশি সতর্ক হয়ে গিয়েছিল। তাই এলএসি বরাবর ভারত ও চিনের বাহিনীর মধ্যে যত সঙ্ঘাতের খবর আসে, সবই হাতাহাতি বা পাথর ছোড়াছুড়িতেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। এ বারও তাতেই ইতি পড়তে পারত উত্তেজনায়। কিন্তু তা হল না, উত্তেজনা আরও অনেক দূর গড়িয়ে গেল। কারণ চিনের ‘টেনশন’ এ বার অনেক বেশি। বলছেন সমর বিশারদরা।
পরিস্থিতি ঠিক কেমন এখন লাদাখে? নয়াদিল্লি এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, দু’পক্ষই বড় সংখ্যায় বাহিনী পাঠিয়েছে এলএসি-তে। বড় সংখ্যা বলতে কেমন? দু’তরফেই অন্তত গোটা একটা করে ব্রিগেড, অর্থাৎ প্রায় হাজার তিনেক করে মোতায়েন দু’পাশেই। খবর তেমনই।
গলওয়ান উপত্যকাই সবচেয়ে উত্তপ্ত বলে খবর আসছে। সংঘর্ষ শুরু হয়নি। কিন্তু চিনা বাহিনী ওই অঞ্চলে একতরফা ভাবে এগিয়েছে এবং শ’খানেক তাঁবু ফেলেছে বলে খবর। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তার পর থেকে ভারতও দ্রুত বিপুল বাহিনী পাঠাতে শুরু করেছে গলওয়ান উপত্যকায়। চিনা বাহিনীর প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে তাদের চেয়েও বেশি সংখ্যক সেনা ভারত ইতিমধ্যেই মোতায়েন করে দিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। গলওয়ানে আচমকা গজিয়ে ওঠা চিনা শিবিরকে ভারত ইতিমধ্যেই তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে বলেও খবর। তবে উত্তাপ শুধুমাত্র গলওয়ান উপত্যকায় সীমাবদ্ধ নয় বলেও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি। প্যাংগং লেকের উত্তরে হট স্প্রিং এলাকায় এবং ডেমচকেও পরিস্থিতি তপ্ত বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। সর্বত্রই বাহিনী হাজির হয়েছে দু’তরফ থেকে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা গোটা একটা ব্রিগেডের সমান হতে পারে বলে ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্তা তথা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কর্নেল সৌমিত্র রায়ের মত।
২০১৭ সালে ভুটান-চিন সীমান্তের ডোকলামেও কিন্তু পরিস্থিতি একই রকম হয়েছিল। ভুটানের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে বিবাদ রয়েছে চিনের। একতরফা ভাবে বিতর্কিত এলাকার মধ্যে দিয়ে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করেছিল চিন। ভুটানের পক্ষে বাধা দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছিল ভারত। ৭৩ দিন পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দুই বাহিনী। এ বারের সঙ্ঘাত এখনও ততটা দীর্ঘায়িত হয়নি। তবে এ বারে অনেক বড় এলাকা জুড়ে উত্তেজনাটা তৈরি হয়েছে। এ বার বাহিনীর আাকারটাও ডোকলামের তুলনায় অনেক বড়।
কর্নেল সৌমিত্র রায়ের কথায়, ‘‘আকসাই চিনের সঙ্গে লাদাখের যে সীমানা, সেই সীমানা বরাবর লম্বা রাস্তা বানিয়েছে ভারত। লেহ্‌ থেকে রাস্তাটা শুরু হয়। কিছুটা দক্ষিণ-পূর্বে গিয়ে দারবুক থেকে বাঁক নেয় এলএসির দিকে অর্থাৎ পূর্ব দিকে। তার পরে এলএসির গা ঘেঁষে একটানা ছুটতে থাকে উত্তর দিকে। শিয়ক হয়ে দৌলত বেগ ওল্ডিতে গিয়ে রাস্তাটা থামে। ওই রাস্তাটাকেই চিন ভয় পাচ্ছে।’’ কেন ভয় পাচ্ছে? অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘সীমান্তে ভারত ভাল রাস্তাঘাট এবং ভাল সামরিক পরিকাঠামো বানাক, এটা চিন কখনওই চায় না। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় ভারত উন্নয়নের কাজ করুক, এটাও চিন চায় না। কারণ সীমান্তে উন্নত পরিকাঠামো থাকলে ভারতীয় বাহিনীর পক্ষে ওই সব এলাকায় মসৃণ ভাবে যাতায়াত এবং নজরদারি চালানো সম্ভব।’’ নিজের সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী যাতায়াত করুক বা নজরদারি চালাক, তাতে চিনের বলার কী থাকতে পারে? কর্নেল রায় বলছেন, ‘‘আইনত চিনের কিছুই বলার নেই। কিন্তু আইন ভেঙেই বার বার চিন নাক গলাত। ভারতও তা মেনে নিত। এক সময়ে চিন আপত্তি করলেই ভারত কাজ থামিয়ে দিত। তাই নাক গলানোকে অভ্যাসে পরিণত করেছিল চিন। কিন্তু গত কিছু বছর ধরে চিনের আপত্তি উড়িয়েই কাজ চালাতে শুরু করে ভারত। পূর্বে অরুণাচল থেকে উত্তরে লাদাখ পর্যন্ত প্রায় সর্বত্রই বড় বড় রাস্তা, সেতু, বিমানঘাঁটি এবং সামরিক পরিকাঠামো ভারত তৈরি করেছে এই সময়টায়। চিন সে সব আটকে রাখতে পারেনি। বরং ডোকলামে চিন যে রাস্তা তৈরি করছিল, সেটাকেই আটকে দিয়েছিল ভারত। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, লাদাখের যে কোনও অংশ থেকে তো বটেই, জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচলপ্রদেশ থেকেও যখন-তখন হু হু করে পৌঁছে যাওয়া যাবে আকসাই চিনের সীমানায়। আরও একটু রাস্তা তৈরি হলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে আরও উত্তরে একেবারে কারাকোরাম পাসের বেস পর্যন্ত। সেটা চিনের পক্ষে খুব অস্বস্তিকর।’’
কারাকোরাম পাসের বেস পর্যন্ত ভারত রাস্তা বানিয়ে ফেললে তা চিনের জন্য অস্বস্তিকর কেন? লাদাখে যে সেনাকর্তারা কাজ করে এসেছেন, তাঁরা বলছেন, কারাকোরাম পাস কৌশলগত বা সামরিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিয়াচেনের উত্তর-পূর্ব কোনায় ৫ হাজার ৫৪০ মিটার উচ্চতায় কারাকোরাম পাসের অবস্থান। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ওই গিরিপথ ব্যবহৃত হয়ে আসছে লাদাখের লেহ্‌ থেকে তারিম উপত্যকার ইয়ারকন্দের মধ্যে যাতায়াতের জন্য। তারিম উপত্যকা তথা ইয়ারকন্দ এখন কমিউনিস্ট চিনের শাসনাধীন। আর লেহ্‌ তথা লাদাখ ভারতের অংশ। তাই আগের সেই অবাধ যাতায়াত বহু যুগ ধরেই বন্ধ। কিন্তু সীমান্তে যদি কখনও পরিস্থিতির অবনতি হয়, তা হলে ওই গিরিপথ ব্যবহার করে হানাদারির চেষ্টা চালাতে পারে দু’পক্ষই। কারাকোরাম পাসের উত্তরে অর্থাৎ চিনা এলাকায় রাস্তাঘাট এবং পরিকাঠামো অনেক দিন আগেই উন্নত করে নিয়েছে চিন। কিন্তু পাসের দক্ষিণে ভারতের পরিকাঠামো এত দিন অনুন্নতই ছিল। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারত চাইলেই কারাকোরামের গিরিপথ দিয়ে হানা দিতে পারবে না, কিন্তু চিন চাইলেই ওই গিরিপথ দিয়ে দক্ষিণ চলে আসতে পারবে— এই ভাবনা স্বস্তি দিত বেজিংকে। ভারতের নতুন রাস্তা বেজিঙের সেই স্বস্তি গায়েব করে দিচ্ছে বলে সমর বিশারদদের মত।
দারবুক থেকে দৌলত বেগ ওল্ডি পর্যন্ত ২৫৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ শেষ, জানাচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই রাস্তায় একাধিক সেতু বানাতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় যে সেতু, সেটা তৈরি হয়েছে শিয়ক নদীর উপরে। ২০১৯-এর অক্টোবরে সেই সেতুর উদ্বোধন বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। দৌলত বেগ ওল্ডিতে ভারত বিমানঘাঁটিও বানিয়ে ফেলেছে আগেই। এ বার ওল্ডি থেকে কারাকোরাম পাস পর্যন্ত ১৭-১৮ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে ফেললেই ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলার তোড়জোড় সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। অনেক রকম ভাবেই এই কাজকে আটকানোর চেষ্টা করছিল ড্রাগন। পারেনি। এ বার তাই মরিয়া হয়ে কামড় দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে। জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) বেদপ্রকাশ মালিক থেকে জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জে জে সিংহ, প্রত্যেকেই এই রকম মনে করছেন।
কার্গিল যুদ্ধের সময়ে ভারতের সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল মালিক। তিনি বলছেন, ভূপ্রাকৃতিক কারণে এলএসি-র এ পাশে অর্থাৎ লাদাখে সেনা পাঠানো ভারতের পক্ষে যতটা সহজ, এলএসি-র ও পাশে অর্থাৎ তিব্বতের দিকে ততটা সহজ নয়। চিন ওই সব অঞ্চলে সড়ক পরিকাঠামো বাড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিপুল সংখ্যক সেনা নিয়ে এসে এলএসি বরাবর ঘাঁটি গেড়ে থাকা চিনের পক্ষে অপেক্ষাকৃত কঠিন বলে তাঁর মত। ভারতের ক্ষেত্রে সে অসুবিধা নেই। ওই সব অঞ্চলে বড় বাহিনী মোতায়েন রাখা ভারতের পক্ষে খুব একটা কঠিন কোনও কালেই ছিল না, সমস্যা ছিল শুধু যাতায়াতের, সেটাও ভারত ক্রমশ মিটিয়ে ফেলছে, সুতরাং চাপে পড়া চিনের পক্ষে স্বাভাবিক— ব্যাখ্যা জেনারেল মালিকের।
ভূপ্রাকৃতিক দিক থেকে ভারতের জন্য দুর্বল বিন্দু ছিল শুধুমাত্র কারাকোরাম পাস। আর চিনের জন্য সুবিধাজনক বিন্দুও ছিল ওটাই। কারণ কারাকোরাম পাসের ঠিক দক্ষিণে লাদাখের যে অংশ, সেই এলাকা এতই জনবিরল এবং মরুভূমি সদৃশ যে, বাহিনী মোতায়েন রাখার পক্ষে ওই এলাকা মোটেই অনুকূল ছিল না। কিন্তু কারাকোরাম পাসের উত্তরে তারিম অববাহিকা বা কারকাশ উপত্যকার ভূপ্রকৃতি এবং আবহাওয়া অনেকটাই সহনীয়। ওই অঞ্চলে বাহিনী রাখা বা ওই অঞ্চল দিয়ে দ্রুত কারাকোরাম পাস পেরিয়ে আসা অপেক্ষাকৃত ভাবে সহজ। নিজেদের জন্য এই সুবিধাজনক পরিস্থিতিটা কোনও ভাবে বদলে যাক, তা চিন চায়নি। কিন্তু দৌলত বেগ ওল্ডি পর্যন্ত রাস্তা বানিয়ে, যোগাযোগ ও অন্যান্য পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নতি ঘটিয়ে ভারত সেই পরিস্থিতি বদলে দিল। কারাকোরাম পাস পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য শেষ ১৭-১৮ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে যাওয়ার আগেই তাই একটা শেষ চেষ্টা করতে নেমেছে চিন। বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
কাজ কিন্তু বন্ধ করেনি ভারত। সীমান্তে উত্তাপ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের বাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে। কিন্তু যে কাজ চলছিল, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) তা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। ডোকলাম সঙ্ঘাতের সময়ে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের প্রধান ছিলেন যিনি, সেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অভয় কৃষ্ণের কথায়, ‘‘চিনকে মাঝেমধ্যে একটা রেড লাইন দেখিয়ে দেওয়ার দরকার হয়। লাদাখে আমাদের বাহিনী সেটাই করছে। ডোকলামেও চিন বাড়াবাড়ি করছিল। আমরা রেড লাইন টেনে দিয়েছিলাম ওদের সামনে। চিন বুঝে গিয়েছিল, আর এগোলে ভারত কিছু একটা করে বসবে। লাদাখেও ঠিক সেই বার্তাটাই চিনকে দেওয়া হচ্ছে।’
সৌজন্য -- আনন্দবাজার পত্রিকা
নিউস লিন্ক -- Click This Link



সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৪৮
৬২ বার পঠিত
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকারিতে কোন দলের কি অবস্থান

লিখেছেন এ আর ১৫, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

জামাত অবশ্যই ১০০% রাজাকার এবং ১০০% মুক্তিযুদ্ধ বিরুধী ।

সে হিসাবে বিএনপি ৩০ % রাজাকার এবং ৭০% মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের,
সে হিসাবে জাতীয় পার্টি ৩০% রাজাকার এবং ৭০ % মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের,... ...বাকিটুকু পড়ুন

খোদাকে ধন্যবাদ

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১



এই ছবিটি ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর আলোকচিত্রী জিএমবি আকাশের ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিল।
....খোদা আমাকে মাফ করুন। আর, তাঁর কাছে শুকরিয়া জানাই, তিনি আমাকে এবং আমার আশে-পাশের মানুষকে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন আমরা বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছি। শেখ হাসিনাকে এখনও বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি করে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শেখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বদ বুয়া

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

আমার বাসার সামনের বাসায় একটা ছোট্ট ছেলে ছিল নাম বাবলু। তার বাবা চায়ের দোকানদার। একদিন আমি একটা ম্যাট্রেস কিনে বাসার সামনে আসতেই বাবলুর বাবা আমাকে সাহায্য করলো ম্যাট্রেস তিনতলার উপরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় স্লোগান কী হওয়া উচিৎ? 8-|

লিখেছেন অপু তানভীর, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮



একদল ''জয় বাংলা'' বলে না । আবার আরেকদল ''বাংলাদেশ জিন্দাবাদ'' বলে না। আরেকদল আছে যারা না বলে জয় বাংলা বা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ । তারা বলে নারায়ে তাকবীর । কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×