মালতীর কথা মনে পড়ে,
মনে পড়ে বাতাসের কান্নার সুরে;
নিমগ্ন চেয়ে থাকা নাফের স্রোতে,
ধূসর সন্ধ্যায় পাহাড়ের কার্নিশে বিস্মৃতির জলধারা,
মনে পড়ে সর্বহারা তিমিরে হয়েছিলাম বাস্তূহারা,
উল্টো রথে পথ চলা মানুষের মিছিলে মানুষীর বেশে,
জীবনের সকল ভাঁড়ার শুন্য করে হয়েছিলাম উধাও।
দূরে কোথাও;
মর্টার শেলের শব্দে গগনবিদারী আর্তনাদে খুঁজেছি মালতীকে,
খুঁজেছি যোনিপথে বেয়োনেটের আঘাতের ক্ষত চিহ্নে,
কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশে বন্দী শিবিরে পিশাচ চিমনী,
সেখানেও খুঁজেছি ভস্মীভূত লাশের স্তূপে তোমাকে।
শিশুদের বুক চীরে হৃদপিণ্ডের ব্যবচ্ছেদে,
শকুনের ঠোঁটে গলিত থ্যাতা শিশ্নে,
হাতদুটো তখনও শিকলে বাঁধা ছিলো,
উদোম শরীরে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ তখনও লেগে ছিলো,
মালতীর অলকার ফুল তবু দেয়নি ধরা,
আমার আকাশ জুড়ে এখনও তার নিদারুন খরা।
দূরে কোথাও;
আকাশের ওপারে বিস্তর এক আকাশ আছে,
সেখানে কেউ খোঁজেনা শান্তির নীড়;
আমি তব নীহারিকা হবো,
নিজের সাথেই কথা কবো।
যদি কখনও মেঘ দেখে আমার কথা মনে পরে,
বৃষ্টি হয়ে নেমে আসবো তোমার চোখে;
তুমি শান্তির আবেশে ঘুমাবে,
ঘুমের মতো শান্তি এই পৃথিবীতে আর কি আছে ?
ভালোবাসা যেটুকু সবটাই ছবির এ্যালবামে সাজানো থাকে,
বাকিটা শুধু রয়ে যায় কালের সমাধি হয়ে,
রচে যায় এপিটাফ নাফের গহীনে...