আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা,
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা...
বাবা-মা তার আদরের সন্তানকে কপালে চাঁদের টিপ পরিয়ে দিয়ে এভাবেই পৃথিবীর সমস্ত অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্ত রাখতে চায়। অধিকাংশের ভেতর কুসংস্কার চর্চা রয়েছে যে, শিশুর কপালে কালো রঙের টিপ পরিয়ে দেয়ার তাৎপর্য হলো সকল প্রকার অশুভ শক্তির নজর থেকে মুক্ত রাখা। আবার এই টিপ নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। টিপ ছাড়া যেন একজন নারীর সাজগোজ অপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু কোথা হতে এই বহুগুণে গুণান্বিত টিপের উৎপত্তি হলো ?
ত্রিভূবনে ত্রিরত্নের সমাহার, সকল রহস্যই কেন্দ্রিভূত রয়েছে তিন সংখ্যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ প্রায় অধিকাংশ সূরাই কোন না কোন কিছুর শপথ নিয়ে শুরু করেছেন। কখনও মহাকালের, কখনও পাহাড় কিংবা কখনও ফল; ঠিক তেমনই সূরা বাকারা শুরু হয়েছে আলিফ-লাম-মিম এই তিন বর্ণের শপথ নিয়ে। যদিও আরবী বর্ণমালায় প্রথম তিনটি বর্ণ হলো আলিফ-বা-তা কিন্তু তবু আল্লাহ শপথ নিয়েছেন আলিফ-লাম-মিম এই তিন বর্ণের। এই অক্ষরগুলো আল্লাহ ও তার রাসূলের মধ্যকার কোনো গোপন রহস্য যা অন্য কারো জানা নেই। এই অক্ষরগুলোর মাধ্যমে কোরআনের মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বও ফুটে ওঠে, অর্থাৎ আল্লাহ যেন কোরআনের অলৌকিতা এসব অক্ষরের মাধ্যমে মানুষের কাছে উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ যখনই ইচ্ছে করবেন তখনই এর অর্থ মানুষ উপলব্ধি করবে। তখন হয়তো আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও পবিত্র কোরআনের ক্ষমতা মানুষের সামনে আরো বেশি স্পষ্ট হবে। তবে একথা সুস্পষ্ট যে, কোরআন থেকে হেদায়েত লাভ করা এ শব্দগুলোর অর্থ বোঝার ওপর নির্ভরশীল নয় ৷ অথবা এ হরফগুলোর অর্থ না বুঝলে কোন ব্যাক্তির সরল সোজা পথ লাভের মধ্যে গলদ থেকে যাবে, এমন কোন কথাও নেই ৷ কাজেই একজন সাধারণ পাঠকের জন্য এর অর্থ অনুসন্ধানে ব্যাকুলতার কোন প্রয়োজন নেই৷ তবে কোরআনের সূরা আন-নাজম (মক্কায় অবতীর্ণ) এর আয়াত নং ১৯ – ২০ তে বলা হয়েছে;
১৯) তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও আল ওযযা সম্পর্কে।
২০) এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে?
যাদের আদ্যক্ষর যদিও আলিফ-লাম-মিম এই তিনটি বর্ণ দিয়েই শুরু কিন্তু সেই তর্কে না গিয়ে আমার পোস্টের মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক।
ইসলামে যত নবী রাসুলগণ প্রেরিত হয়েছেন মানুষকে আল্লাহর পথের সঠিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য তাঁদের অধিকাংশ এসেছেন এই মানচিত্রে প্রদর্শিত ত্রিভুজ আকৃতির অঞ্চলে। এর কারন হিসেবে হয়ত বলা যেতে পারে যে পৃথিবীর সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়েছিল এই অঞ্চলেই। নীল নদ, ইউফ্রেটিস আর টাইগ্রিসের পাড়েই গড়ে উঠেছিল পৃথিবীর আদি সভ্যতাগুলো। কিন্তু সেই রহস্যে ঘেরা মিশরীয়, ব্যাবিলিয়ন আর মেসোপটেমিয়ার মত শক্তিশালী সভ্যতাগুলো বিলীন হয়ে যাওয়ার পরেও আজও মহাকালের সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে। ঠিক যেন মিশরে অবস্থিত ত্রিভুজ আকৃতির খুফুর তিনটি পিরামিড আজও দাড়িয়ে রয়েছে যুগে যুগে মানুষ এসব দেখে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে বলেই। আর এটাই হলো এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য।
মুসলমানরা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে কাবার দিকে মুখ করে এবং সাতবার তাওয়াফ করে। মুসল্লিদের কাবাকে কেন্দ্র করে ঘড়ির কাটার বিপরীতমুখী সাত বার প্রদক্ষিণের মত মহাবিশ্ব, পরমাণু, চাঁদ, নক্ষত্র, বৈদ্যুতিক আবর্তন, ছায়াপথের সব বস্তু একই ভাবে আবর্তিত হয়। চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে দিন রাতের পার্থক্য হয়, বছরের ৩৬৫ দিনে ঋতু বদল হয় ছায়াপথের নক্ষত্রদের এমন ঘূর্ণনের ফলে। কাবাকে সাতবার এভাবে প্রদক্ষিনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে স্বর্গীয় সাত আধ্যাত্মিক শক্তি। আর সেই কাবা ঘরের ভেতর স্থাপিত রয়েছে তিনটি স্তম্ভ।
আমরা মুসলমানরা নিজেরা যতনা নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে সচেতন এবং দীনের প্রকৃত তাৎপর্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তার চেয়ে ঢের বেশি সচেতন খুব সম্ভবত ফ্রিম্যাশনরা। ওরা নিজেদেরকে আজ মহা পরাক্রমশালী বিশ্বশক্তিতে পরিনত করতে পেরেছে। কিন্তু এমন কি রহস্যের উন্মোচন ফ্রিম্যাশনরা করতে পেরেছে সেদিকে আলোকপাত করে দেখা যেতে পারে।
পৃথিবী রহস্যময় কিন্তু তার চেয়ে অধিক রহস্য কেন্দ্রিভূত রয়েছে মিশরে।
“I am Horus, and I traverse millions of years.” —Egyptian Book of the Dead
বাইবেল হতে জানা যায়, মাতা মেরীর কোলে যীশুর জন্ম হয়েছিল, সেই দিন রাতে পৃথিবীর তিন প্রান্ত থেকে তিন জ্ঞানী ব্যাক্তি যীশুকে এক ঝলক দেখার জন্য ছুটে আসে। বাইবেল বিশ্লেষণে জানা যায়, এই তিন জ্ঞানী ব্যাক্তি আকাশের গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে যীশুর জন্মগ্রহণ সম্পর্কে অবহিত হন।
সেই সূত্র অনুসারে; আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল সেই তারাটির নাম লুব্ধক। ইংরেজীতে সিরিয়াস। যা ক্যানিস মেজর নক্ষত্রমন্ডলে অবস্থিত। গ্রিক পুরাণ অনুসারে আকাশে এই নক্ষত্র মন্ডল কুকুর হিসেবে চিহ্নিত হয়। কিন্তু এখানেও সমস্যা থেকে যায়। এটা আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা হলেও আরো কিছু উজ্জ্বল তারা সাথে গুলিয়ে ফেলাটাই সাধারণ মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক ছিল। যে সমস্যার সমাধান করতে সেই সময়ের বিজ্ঞানীগণ কালপুরুষ নক্ষত্রমন্ডলের সহায়তা নেয়। যে নক্ষত্র মন্ডলের ইংরেজী নাম অরিওন। অরিওন নক্ষত্রমন্ডলের মাঝের তিনটা তারাকে একত্রে বলা হয় অরিওন বেল্ট। তিনটি তারার নাম যথাক্রমে আলনিতাক, আলনিলাম এবং মিনতাকা। বিজ্ঞানীগণ দেখলেন এই তিনটি তারাকে সরল রেখা ধরে যদি সরল রেখা টেনে নিচের দিকে যাওয়া হয় তাহলে যে উজ্জ্বল তারার কাছ দিয়ে সেটাই লুব্ধক। তারার প্রসঙ্গ যখন এনেছিই তখন আরও একটি তারকা মন্ডল সম্পর্কে জেনে নেয়া যেতে পারে। সিগন্যাস আকাশে সবচাইতে প্রভাব বিস্তারকারী তারকা মন্ডল। বৃহৎ নক্ষত্রমন্ডল সিগন্যাস বা গ্রীক পুরাণের রাজহাঁসরুপী দেবরাজ জিউস হচ্ছে এই আকাশের প্রধান চালক। যা উত্তরের ক্রস নামেও পরিচিত। যার লেজের দিকের তারা দেনেব উক্ত নক্ষত্রমন্ডলের সবচাইতে উজ্জ্বল তারা। যা লীরা নক্ষত্রমন্ডলের উজ্জ্বল তারা ভেগা এর মাধ্যমে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। সিগন্যাস নক্ষত্রমন্ডলের আরেক উজ্জ্বলতর তারা অ্যালব্যারিও যা রাজহাঁসের মাথা নির্দেশ করে। সিগন্যাসের পাশের আরেক নক্ষত্রমন্ডল অ্যাকুয়েলা গ্রীক পুরাণের জিউসের বাহন ঈগল হিসেবে যার পরিচিতি। এই নক্ষত্রমন্ডলের উজ্জ্বলতম তারা আলতেয়ার । দেনেব, ভেগা এবং আলতেয়ার একত্রে উত্তরের আকাশের বিখ্যাত গ্রীষ্মের ত্রিভুজ নামে পরিচিত।
আল্লাহর রসুল বলেছেন- আদমের সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত এমন কোন বিষয় বা ঘটনা হবে না, যা দাজ্জালের চেয়ে গুরুতর ও সংকটজনক (হাদীস- এমরান বিন হোসায়েন (রাঃ) থেকে মোসলেম)। তিনি এ কথাও বলেছেন যে- নুহ (আঃ) থেকে নিয়ে কোন নবীই বাদ যান নি যিনি তাঁর উম্মাহকে দাজ্জাল সম্বন্ধে সতর্ক করেন নি (হাদীস- আবু ওবায়দা বিন যার্রাহ (রাঃ) ও আব্দুলাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে আবু দাউদ, বোখারী, মোসলেম ও তিরমিযি)। শুধু তাই নয়, আল্লাহর নবী নিজে দাজ্জালের সংকট (ফেত্না) থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন (হাদীস- আয়শা (রাঃ) থেকে বোখারী)। [আব্দুলাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে মোসলেম এবং নাওয়াস বিন সা’মান (রাঃ) থেকে মোসলেম ও তিরমিযি] দাজ্জালকে হত্যা বা ধ্বংস করার জন্য আল্লাহর প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে আসমান থেকে হাজার হাজার বছরের অতীতের একজন নির্দিষ্ট নবীকে পৃথিবীতে পাঠাবার অন্য কোন কারণ দেখি না। আর সেই নবী হচ্ছেন ঈসা (আঃ) অথবা খ্রিস্টানদের যীশু।
তাহলে অবশ্যই ধরে নেয়াই যেতে পারে যে হোরাস, যীশু এবং দাজ্জাল পৃথিবীর অনাদিকাল হতেই একই সূত্রে গাঁথা তিনজন যাদের চর্চা হয়ে আসছে যুগে যুগে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মে ও গোত্রে।
মানুষের কল্পনাশক্তি পৃথিবীতে দৃশ্যত জ্ঞানের সমানুপাতিক। ভূমি থেকে চাঁদকে দেখা যায় বলেই মানুষ চাঁদে যাওয়ার কল্পনা সত্য করতে পেরেছে কিংবা পাখির উড়তে দেখা দেখেই উড়োজাহাজ বানাতে সক্ষম হয়েছে। মানুষ তার ঈশ্বরকে কখনও দেখেনি বলেই তার পক্ষে ঈশ্বরের ছবি আঁকা সম্ভব হয়নি। তাইত বিভিন্ন দেব-দেবী তা সেটা আইসিস কিংবা দুর্গা যাই হোক না কেন সব কিছুতেই কল্পনা করেছে নারীর অবয়ব। অথবা দেবতাদের মাঝে কল্পনা করেছে পুরুষ অথবা কোন প্রানীর অবয়ব। মানুষ আজও চাঁদের উপর নির্ভর করে ধর্ম কর্ম পালন করে আবার সেই চাঁদ ও সূর্যের উপর ভিত্তি করেই সমুদ্রে জোয়ার ভাটা হয়ে থাকে। যেহেতু মানুষের কল্পনাশক্তি দৃশ্যত জ্ঞানে সীমাবদ্ধ তাই প্রাগৈতিহাসিক কিছু সভ্যতা মেনে নিতে বাধ্য হতে হয়; যে সেসব মোটেও ভিত্তিহীন নয়। সবকিছুই সত্য, বৈজ্ঞানিক এবং ধর্মীয় ভাবে চিরন্তন সত্য।
অকাল্টে তিনটি স্তম্ভের বিশেষ অর্থ রয়েছে। তিনটি স্তম্ভ জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত যা মানুষের আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক শক্তিকে নির্দেশ করে। বিভিন্ন সিক্রেট সোসাইটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তিনটি স্তম্ভ নির্দেশ করে অডফেলস, ফ্রিম্যাশনস ও নাইট অফ পাইথিয়াসকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনটি স্তম্ভ চিহ্নিত হয়ে থাকে বিশ্বাস, আশা ও দানের প্রতীক হিসেবে। যদিও তিনটি স্তম্ভ আকৃতিগত ভাবে একই কিন্তু ফ্রিম্যাশনরা মধ্যবর্তী স্তম্ভটিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
মাঝের স্তম্ভটি দিয়ে আধ্যাত্মিকতা এবং দুই পাশের স্তম্ভ দিয়ে শারীরিক শক্তিকে নির্দেশ করা হয় যা বাহ্যিক ভাবে দৃশ্যত। আর আধ্যাত্মিক ভাবে মাঝের স্তম্ভটিকেই তাই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু পাশের যে দুটি স্তম্ভ বাহ্যিক ভাবে দৃশ্যত জ্ঞান করা হয়ে থাকে তাদের একটিকে বলা হয় বোয এবং অন্যটিকে বলা হয় জাচিন। কিং সলোমন ট্যাম্পল বা হযরত সোলায়মান (আঃ) এর উপাসনালয়ের দুটি স্তম্ভই হলো এই বোয এবং জাচিন। বোয হযরত দাউদ (আঃ) এর ন্যায় ও শক্তির রূপক এবং জাচিন হযরত সোলায়মান (আঃ) এর যাদু শক্তির রূপক হিসেবে নির্দেশিত হয়ে থাকে। এই বোয এবং জাচিনের নিদর্শন পাওয়া যায় মিশরের আইসিসের মন্দিরে।
হলিউডের কিছু চলচিত্রে বোয ও জাচিন প্রতীকের ব্যবহার
ট্রিপ্টিক এবং হোরাসের চোখের সাদৃশ্যপূর্ণ কিছু স্থাপনা
The Tai-Chi or Yin-Yang symbolizes pairs of opposites inside the universe
• The SUN rules the Day (Yang)―but the MOON rules the Night (Yin)
• The DAY brings Light (Yang)―but the NIGHT brings Dark (Yin)
• The LIGHT brings Hot (Yang)―but the DARK brings Cold (Yin)
• The HOT brings Dry (Yang)―but the COLD brings Moist (Yin)
• The DAY symbolizes Life (Yang)―but the NIGHT symbolizes Death (Yin)
• The LIFE is considered Good (Yang)―but DEATH is considered Evil (Yin)
Thither, youths, Turn your astonish’d eyes; behold yon huge And unhewn sphere of living adamant, Which, poised by magic, rests its central weight On yonder pointed rock: firm as it seems, Such is the strange and virtuous property, It moves obsequious to the gentlest touch Of him whose breast is pure; but to a traitor, Tho’ ev’n a giant’s prowess nerv’d his arm, It stands as fixt as Snowdon.
―William Mason, Caractacus
কোরআন এবং বিভিন্ন হাদিস বিশ্লেষণ করে জীন জাতি সম্পর্কে পাওয়া কিছু তথ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ
ঃ- আল্লাহ জীন ও মানুষ জাতি সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য।
ঃ- জীন জাতির সৃষ্টি হয় মানুষের বহু আগেই। তাদের মাঝেও আল্লাহকে অমান্য করার নিদর্শন ছিলো যার কারণে আল্লাহ জীন জাতির মাঝেও নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন কিন্তু তাঁরা নির্ধারিত হতেন গোষ্ঠীর সর্দারদের মাঝ থেকে।
ঃ- ইবলিশ স্বয়ং নিজেই এক জীন।
ঃ- হযরত সোলায়মান (আঃ) তাঁর উপাসনালয় নির্মাণে জীনদের নিযুক্ত করেছিলেন।
ঃ- হযরত সোলায়মান (আঃ) এর সাথে সেবার রানীকে ঘিরে যে কাহিনী রয়েছে সেই সেবার রানী বিলকিস ছিলেন একজন জীন।
ঃ- দাজ্জালের জন্ম এক জীনের ঔরস থেকে।
ঃ- জীনরা আগুন হতে সৃষ্ট এবং তারা মানুষ হতে কয়েকগুন বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা মানুষ হতেও বেশি ক্ষমতাবান। তাদের চলার গতি অত্যন্ত দ্রুত। কোন কোন ক্ষেত্রে জীনরা হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে জীবন লাভ করে থাকে।
আরও অনেক তথ্য রয়েছে যেগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তবে নিতান্তই কিছু অনুমানের ভিত্তিতে আমার কাছে মনে হয় যেসব দেব-দেবীর সম্পর্কে আমরা জানতে পারি তারা আসলে জীন নয়ত। জীনদের সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা যায় তার সাথে এইসব দেবদেবীর আকার আকৃতির অনেক সাদৃশ্য পাওয়া যায়। যাই হোক এমনটা শুধুই আমার ধারনা, প্রমান ভিত্তিক কিছু নয়। এছাড়া মিশরের ফারাওরা সবসময়ই নিজেদের মনে করত তারাই ঈশ্বর আর একারনেই তাদের ধ্বংস হয়ে যেতে হয়েছে অথবা হয়ত প্রমান করতে পারলে দেখা যাবে যে আইসিস কিংবা হোরাস সবাই আসলে ছিলেন তৎকালীন সময়ের ফারাও যাদেরকে সাধারন মানুষ দেব-দেবীর আসনে মর্যাদা দিয়ে মান্য করত নতুবা তাঁরা ছিলেন জীন।
আইসিসের মন্দিরের প্রধান ফটকের সামনে যে দুটি সিংহর মূর্তি দেখতে পাওয়া যায় সেগুলোর একটি হলো পুরুষ সিংহ আর অপরটি স্ত্রী সিংহ। পুরুষ সিংহ দিয়ে শক্তি ও ক্ষমতা প্রকাশ করা হয় এবং স্ত্রী সিংহ দিয়ে মমতা, মোহ কিংবা যাদু শক্তির প্রকাশ করা হয় যা যথাক্রমে পুরুষ ও নারীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট। আবার পূর্ণতা প্রাপ্তির জন্য পুরুষ ও নারী উভয় উভয়ের পরিপূরক যা নাহলে পৃথিবী স্বয়ং পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়না।
অপরদিকে বোয এবং জাচিন দিয়েও শক্তি এবং যাদুর মিলবন্ধন বোঝান হয়। কিন্তু এখন তাহলে তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দুটি স্তম্ভ সম্পর্কে জানা গেলেও তৃতীয় স্তম্ভ দিয়ে আসলে কি বোঝান হয় সেটাই আসল রহস্য। মানুষের বাহ্যিক দুটি চোখ দৃষ্টিশক্তির কাজ করে কিন্তু অন্তর চোখ বা তৃতীয় চোখ নামে মানুষের আরও একটি চোখ রয়েছে যেটা দৃশ্যমান নয় সেটা হলো মানুষের জ্ঞান। সাধারনত এটা হয়ে থাকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান।
যদি কোন মানুষের এই তৃতীয় চোখ বা অন্তর চোখটি খুলে যায় বা সে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রাপ্ত হয় তাহলে ইহকাল ও পরকালের সবকিছু তার অধীনে চলে আসে যা স্বয়ং ঈশ্বর তাকে দান করেন অর্থাৎ সে পরিপূর্ণ হেদায়েত প্রাপ্ত হয়ে থাকে। তার জন্য ইহকাল ও পরকালের সবকিছু সহজ হয়ে যায়। অনেক অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী হয়ে পরে মানুষ তখন। কিন্তু সাধারনত কোঠর আধ্যাত্মিক সাধনা ছাড়া এই প্রাপ্তি সম্ভব নয়। আর এই করনেই কিছু স্থানে মাঝের স্তম্ভটিকে ভাঙা হিসেবেও দেখানো হয় অকাল্টে যার অর্থ দাড়ায় অন্তর চোখ বন্ধ অবস্থায় বা ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছে কিন্তু ইহকাল ও পরকালকে জয় করতে হলে মাঝের গুরুত্বপূর্ণ এই স্তম্ভটিকে বা অন্তর চোখকে কোঠর আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে জাগিয়ে তুলতে হবে। আর সেই সাথে যদি বোয ও জাচিন এই স্তম্ভ দুটি যুক্ত হয় তাহলে একজন মানুষ হয়ে উঠবে মহাপরাক্রমশালী যার অধীনে থাকবে সমস্ত মহাবিশ্ব এমনকি পরকাল পর্যন্ত। আর এই তৃতীয় চোখটিকে প্রতীক হিসেবে কখনও কপালেও প্রকাশ করা হয়।
এই তিনের সাথে যদি কসমিক রের সংযোগ ঘটানো যায় তাহলে মানুষের পক্ষে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা কসমিক রে পৃথিবীর উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের গঠন ও বৈশিষ্টগত পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট। আর এই রশ্মিকে আয়ত্তে আনার চেষ্টা মানুষের বহু বছরের। মানুষ চাইলেই তখন মরুভূমিতে শস্য ফলাতে পারবে অথবা সামান্য মুরগী হয়ে উঠবে মস্ত বড় উটের সমান। দাজ্জালেরও কিন্তু তেমন কিছু ক্ষমতার কথাই বলা আছে। দাজ্জাল যে প্রান্ত দিয়েই হেটে যাবে সে প্রান্তেই উর্বরতা ফিরে আসবে অথবা উর্বর জমি অনুর্বর হয়ে পড়বে। প্রায় সবগুলো পুরাণেই এমন ক্ষমতা সম্পন্ন দেবদেবীর সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে এসবের চর্চাই করে আসছে অল সিং আইসে বিশ্বাসী অকাল্ট চর্চাকারী ফ্রিম্যাশনরা। অল সিং আইস অর্থাৎ যে চোখ সব কিছু দেখে। ঈশ্বর যিনি স্বয়ং নিজেও সব কিছু অবগত আছেন এবং দেখছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে শয়তান কিংবা শয়তানের অনুসারীরা আসলে ঈশ্বর প্রদত্য ক্ষমতা গ্রহন করেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে কিন্তু অমান্য করছে স্বয়ং ঈশ্বরকেই।
ফ্রিদা কাহলোর আঁকা দুটি চিত্রকর্ম
বাংলাদেশের অনেক মুসলিম মেয়ে টিপ পরতে ভালোবাসে। ইসলামে টিপের একটি ইতিহাস আছে।
হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম কে শহীদ করার জন্য নমরুদ একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে। সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোন মানুষের পক্ষে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম উনাকে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হল না। অবশেষে সে একটি যন্ত্র নির্মাণ করল যার সাহায্যে দূর থেকেই ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম উনাকে অগ্নিকুণ্ডের ভিতরে নিক্ষেপ করা যাবে। কিন্তূ ফেরেশতারা সেটাতে ভর করে থাকায় যন্ত্রটি কাজ করছিল না। শয়তান এসে নমরুদকে বুদ্ধি দিল যে, কয়েকজন বেশ্যাকে এনে যদি যন্ত্রটিকে স্পর্শ করানো যায় তাহলে ফেরেশতারা শরাফতের কারণে চলে যাবেন এবং সেটা কাজ করবে। নমরুদ তাই করল এবং দেখা গেল যে সেটি কাজ করছে।
নমরুদ ওই বেশ্যাদের কপালে চিহ্ন দিয়ে রাখল এই ভেবে যে, এদেরকে পরে দরকার হতে পারে। সেই থেকে কপালে টিপ পরার প্রচলন হল।
হিন্দুরা টিপ পরে, এটা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ এবং হিন্দুধর্মে সিঁথির সিঁদুর দ্বারাও বিবাহিত নারীর কুমারীত্ব নাশের বিষয়টি ইঙ্গিত করা হয়।কপালের টিপ কিংবা তিলক এটা তাদের ধর্মীয় চিহ্ন।
উৎসর্গঃ সুপ্রিয় ব্লগার *কুনোব্যাঙ*