আলাদা প্রার্থী দেয়া মানে আওয়ামীলীগকে পাশ করানো, বিএনপিকে ফেল করানো- এই অভিযোগ দীর্ঘদিন চরমোনাইর পীর সাহেবের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনকে বহন করতে হয়েছে।
তেতুল বনে বসন্ত এসেছে মর্মে অনেক ইসলামিস্ট ভাইয়েরা হেফাজতকে নিয়ে ট্রল করেছেন। কিন্তু আল্লাহ সকলের জন্যই যে বসন্ত ফাগুন শীতকাল বরাদ্ধ রেখেছেন কেউ কি জানত আগেভাগে?
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ভাইয়ের বক্তব্য শুনলাম। অনেক কথাই বলেছেন, কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি। এটাও আমার কাছে দূরদর্শী বক্তব্য মনে হয়েছে। যেকোন ফর্মে মাঠে উপস্থিত থাকাটা জরুরী ছিল। সেটা করেছেন।
বিএনপি মনে করে ইসলামপন্থী দলগুলো আর যাবে কই, আমাদের কাছেই ফিরে আসতে হবে বারবার। এবং আমরাও বিভিন্ন সময়ে সেই রকম মনোভাব দেখিয়েছি। কিন্তু সেই ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে নিজেরা যদি এক হতে পারতাম তাহলে চিত্রটা হত অন্যরকম। এমন অনেক আসন রয়েছে যেখানে ইসলামী দলগুলো আলাদা প্রার্থী দিয়েছেন। তাদের ভোট যোগ করলে দেখা যায় ইসলামী দলের ভোট সবার চেয়ে বেশি।
আমাদের অনেকের মধ্যেই এমন একটা মনোভাব ছিল কয়েক বছর আগে যে, আমরাই একমাত্র।
আশাকরি আওয়ামীলীগ এসে সেই ধারণা ধুয়েমুছে ডাইরেক্ট বংগোপসাগরে ফেলে দিয়েছে। আওয়ামীলীগ কে বরং এজন্য ধন্যবাদ দেয়া উচিত ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে।
আগামী দিনে সকল ইসলামপন্থীরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইলেকশন করতে পারেন, অন্তত ইসলামের স্বার্থের অনুকুলে কিছু কাজ করাতে পারেন, যেকোন জোটে গেলে একসাথে যান তাহলে তা হবে যুগান্তকারী।
আর যদি এক হতে না পারেন, দ্বীনের স্বার্থের চেয়ে দলীয় এবং ব্যাক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দেন তাহলে আমি বরং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চাইব।
আওয়ামীলীগ আরেকদফা ক্ষমতায় এসে মোল্লা মৌলভীদের, ইসলামপন্থীদের পিটিয়ে এক করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
তুমি আরেকবার আসিয়া/ যাও মোরে কান্দাইয়া..
সাইমুম সাদী
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬