Wait-পুরা জাতি ধৈর্যর উপর আছে।প্রধান মন্ত্রী থেকে পাবলিক টয়লেট যেখানেই যান এই ধৈর্য ছাড়া গতি নাই।প্রধান মন্ত্রির জাতির উদ্দেশ্যে যে দিন ভাষণ দিলেন তার পরদিন কালের কণ্ঠ এর শিরনাম”ধৈয্য ধরুন”।পাব্লিক টয়লেট এ টাকা দিয়া কর্ম সারবেন তার উপায় নাই।লাইন এ দারান।বিশকাপ টিকেট তাও ধৈর্য!!!!!
যেই ভাবে ধৈর্যের ব্যবহার হচ্ছে কিছুদিন পর হয়ত বাংলা ছবিতে’ছেড়ে দে শয়তান” এর পরিবর্তে বলবে “ধৈর্য ধর শয়তান”
আফসুস ধৈর্যের উপর কনো নোবেল নাই তাহলে গাভাস্কারের পর এটা জাভেদ ওমর পেত আর জাতি হিসাবে পেতাম আমরা(প্রতি ৫ বছর আমরা ধৈর্য ধরে নির্যাতিত হই......আশায় থাকি পরবর্তী ৫বছরের কিন্তু আমাদের অবস্থার আর পরিবর্তন হয় না, আমরা আবার ধৈর্য ধরি)।স্কুল,কলেজ, ভার্সিটি তে তো waiting list একটা ফ্যাশন(মুল result এর খবর নাই,waiting list টাঙাইয়া রাখে,বুঝায় যে, দেখো আমাদের এইখানে কত্ত চাহিদা)!!!
ধৈর্য ভাঙার একটা গল্প মনে পড়ে গেল......
এক লোকের ২ ছেলে।বাবা বড় ছেলের থেকে ছোট ছেলেকে বেশি আদর করে।বড় ছেলে একদিন বাবাকে বলল”আব্বা আমারে একটা প্যন্ট কিনা দাও,আমার প্যন্ট টা ছিঁড়া গেসে।(ছেলে মানুষ মাত্রই জানে যে প্যান্ট কোন জায়গা দিয়া ছিঁড়ে!!!দুই পায়ের মাঝ খান দিয়া......বাকি টুকু বুঝে নেন।)বাপ বলে “ধৈর্য ধর”।ছেলে আবার বলে,বাপ বলে “ধৈর্য ধর”।যত বারই বলে,বাপ বলে “ধৈর্য ধর”।তো একদিন খেতে বসার পর ছেলে যখন ওই একি কথা বলল, বাপ বলে“ধৈর্য ধর” ।তখন পোলাটা উত্তর দেয়
“ধৈর্য ধরতে ধরতে তো ধৈর্যের বিচি বের হয়ে গেল আর কত ধৈর্য ধরুম”।!!!!
আহারে বেচারা,ধৈর্য ধরতে ধরতে অধৈর্য হয়ে পরেছে।
কারও সাথে জরুরি কথা বলবেন,উপায় নাই গোলাম হোসেন উপায় নাই!call waiting!(আর গার্ল ফ্রেন্ড এর মোবাইল এ ফোন দেয়ার পর এই লেখাটা উঠলে মনের আবস্থা কি হয় তা বয় ফ্রেন্ড মাত্রই বোঝে আর যদি উল্টো টা হয় মানে আপনার মোবাইল waiting পায় তাইলে তো যত ভাইবা পরীক্ষা দিছেন বা সামনে দিবেন তার ওই এক দিনের প্রশ্নের কাছে কিছুই না)।
মনে করেন btv (bhodai tv)তে খেলা দেখতে বসছেন,হাফ টাইম।ঠিক সেই সময়ে হাজির আমাদের ১৬ কোটি মানুষের প্রিয় মুখ যুগ শ্রেষ্ঠ ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফর উল্লাহ্ শারাফাত(আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় শুধু মাত্র এই একজন লোকের উপর বিরক্ত হয়ে বাংলাদেশ এর পরিচালকেরা “চৌধুরী সাহেব”নামক একটি বাজে চরিত্র তৈরী করেন এবং তাদের ঝাল মিটান।)।কথা বলা শুরু করলেন......
এখন আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশের এক সময়ের দুর্দান্ত,দুরন্ত স্বনামধন্য ক্রিকেটর,যার নাম শুনলে এক সময়ে বোলার রা আতঙ্কিত থাকত,বাংলাদেশের অনেক জয় যার হাত ধরে এসেছে সেই হার্ড হিটার পিঞ্ছ হিটার ব্যাটসম্যান(একদিন আমি এই পর্যন্ত শুইনা মনে মনে কই খাইছে আমারে আবার আফ্রিদি নাতো!!!কিন্তু সে বাংলাদেশে আসল কবে!!!!নাগরিকত্ব পাইল কবে!!!!নাকি ধারাভাষ্যকার ভুলে গেছে যে আমরা এখন আর পূর্ব পাকিস্থানী না।১৯৭১ এ স্বাধীন হইছি!!!নাকি......)জাভেদ ওমর বেলিম গোল্লা।
রাগ করে যদি রিমোট টিভির দিকে ছুড়ে মারেন তাহলে ক্ষতি কিন্তু আপনারই।তবে মানুষের ধৈর্যের একটা লিমিট আছে।অনেক উত্তেজিত হয়ে গেলে যা আমরা প্রায়শ হারিয়ে ফেলি।যেমনঃ
আবাহনী মোহামেডান এর খেলা হচ্ছে।এখানেও আমাদের সেই চিরচেনা মুখ হাজির(উনি তো উজ্জ্বল প্রতিভা...ক্রিকেট,ফুটবল,হকি এমনকি দারিয়াবান্ধা,বউচি হেন খেলা নাই যে ধারাভাষ্য দিতে পারেনা আর আমরা বাঙালি জাতি কিনা তারে নিয়াই মজা করি!!!আফচুচ বিরাট আফচুচ!!!)যাইহোক খেলা প্রায় শেষ এর পথে।গোল শূন্য অবস্থায় খেলা চলছে।২ মিনিট এর মতো বাকি আছে।টান টান উত্তেজনা।আর এই দিকে ধারাভাষ্যকার এর উত্তেজনা ততক্ষনে আকাশে পৌঁছেছে।তিনি বিস্তারিত আলোচনা করছেন ট্রাইবেকার নিয়ে।কোন দলের কে কে কত ভালো পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারে আর কোন দলের গোল কিপার কেমন।ঠিক তখনি সাব্বির এর গোল।তখন মনেহয় আবাহনী সমর্থক দের চেয়েও বেশি হতভম্ব হলেন ধারাভাষ্যকার। ট্রাইবেকার এর মত একটা উত্তেজনাকর পর্ব যে মিস হয়ে গেল।তিনি বেমালুম ভুলে গেলেন যে তার সামনে মাইক্রোফোন এবং তিনি বলে বসলেন!!!!!
”ধউউউর বাল!!!!গোল হয়ে গেল”
এই কারনেই যত উত্তেজিত হন না কেন মাথা ঠাণ্ডা রাখবেন আর মনে রাখবেন,কবি বলেছেনঃ
হে ধৈর্যধারী সাহসী সন্তান
তোমরা......
যাইহোক।হবে কিছু একটা(কি চিন্তা করছেন???......কবিতা হয় নাই!আরে কবিতা হোক না হোক ধৈর্যধারী যে,সে যে সাহসী সন্তান এইটা তো প্রমান হল)।
বিঃদ্রঃ কেউ আবার কবি র নাম জিজ্ঞাসা কইরেন না।কেননা নিজেকে নিজে কবি বলতে আমি আবার কিঞ্চিত লজ্জা পাই
আমি একজন নতুন ব্লগার।আজকে লিখতে গিয়ে বুঝলাম লেখা লেখি কতটা কষ্টের!!!!!!!!!!!!!!(লেখার পর যখন নিজে পরলাম তখন ই বুঝলাম আমি লেখক হিসাবে কতটা খারাপ)।
তারপর ও সাহস নিয়া পোস্ট করলাম।নাজানি কপালে কি আছে?????
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৪৩