
কথাটি শুনতে অদ্ভুদ মনে হলে,এ কাজটি সম্ভব করেছেন আমাদের দেশেরই একজন কৃতি সন্তান।অধ্যাপক ড. কামরুল আলম খানের উদ্ভাবিত পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের প্রথম বারের মত উদ্ভোধন করা হয়েছে কানাইঘাট উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে।গত ২৫ ডিসেম্বর কানাইঘাট উপজেলার রাজাগন্জ ইউনি্য়নের ইসলামাবাদ গ্রামের মসজিদসহ ৫৭ টি পরিবারে পাথরকুচি পাতা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন করেন উদ্ভাবক নিজেই।এ উপলক্ষে ইসলামাবাদ গ্রামের মসজিদের পাশের মাঠে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এলাকার শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিগ্ঘান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ব্যতির আবিস্কারক প্রফেসর ড. কামরুল আলম খান।প্রধান বক্তা ছিলেন আলম অটোলাইট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী।বিশেষ অতিথি ছিলেন আলম অটোলাইট লিমিটেডের ব্যবস্তাপনা পরিচালক মফিজুল আলম।কানইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী,ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ইকবাল,কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউল ইসলাম চৌধুরী,গাছবাড়ী মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা আব্দুর রহিম,সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী,সহসভাপতি আব্দুল কাদের তপাদার,কানাইঘাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম,দক্ষিন বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমেদ,রাজাগন্জ ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ব্যা সিরাজুল ইসলাম,কানাইঘাট প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেলওয়ার হোসেন সেলিম,গাছবাড়ী মডার্ন একাডেমির শিক্ষক আব্দুল মজিদ।
প্রধান অতিথি পাথরকুচি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পর্কে বলেন,ব্লেন্ডার মেশিনে পাথরকুচি পাতাকে জুস বানিয়ে কাচের বা প্লাস্টিকের পাত্রে ঢেলে ডিসি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।ডিসি বিদ্যুৎ অ্যাসিতে রুপান্তর করে এই বিদ্যুৎ দিয়ে সব ধরনের যন্ত্রপাতি চালানো যায়।পাথরকুচি পাতাকে বিশ্বজুড়ে "মিরাকল লিফ" হিসাবে অভিহিত করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহারের মাধ্যমে জাতির সামনে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির এক নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এই প্রক্রিয়াকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদ্যুতের আর কোন অভাব হবে না।
আলম অটোলাইটের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ বলেন,পাথরকুচি পাতা থেকে খুব কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।সাধারন বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যেখানে গ্রাহকের প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে ৬ থেকে ১০ টাকা।সেখানে পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ মাত্র ১ টাকায় ব্যবহার করা যায়।তিনি জানান,খুব কম খরচে এই এ বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া যায়,মাত্র এক একর জমিতে উৎপাদিত পাথরকুচির পাতা থেকে বছরে ৬০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।যাতে খরচ হবে মাত্র ১২ কোটি টাকা।
পাথরকুচি পাতা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গত সপ্তাহ থেকেই কানাইঘাটের ইসলামাবাদ গ্রামবাসী ব্যবহার ও পিকেএল রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করছেন।এ দিকে পাথরকুচি পাতা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের কানাইঘাট জৈন্তাপুর ও গোয়াইঘাট এলাকার ডিলার আব্দুল হান্নান জানান,অচিরেই এসব উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘরে ঘরে এ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে।মাত্র পাচ হাজার টাকা খরচ করে যেকোন পরিবার এ বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:৫৩