বাংলাদেশ নির্মাণ
যে শিক্ষক আত্মত্যাগ করে
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে;
যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন- আমি
তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবীরা
যারা জ্ঞানপাপী নন, বিশ্বের
দরবারে বাংলাদেশের উৎকর্ষ
তুলে ধরার জন্য সবসময়;
গবেষণা নিমগ্ন – আমি
তাঁদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
যে কবি পরতে পরতে শব্দ
মালায় বাংলাদেশের সৌন্দর্য
তুলে ধরে অথবা প্রতিবাদী
পঙক্তিমালা অন্যায় নির্মূলে
অস্ত্র হিশাবে ব্যবহার করেন।
আমি তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি গঠিত
মন্ত্রীপরিষদ, সচিবমহোদয়,
সরকারি আমলা, কূটনীতিবিদ,
সম্মানিত বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টারা
কর্ম দিয়ে, প্রজ্ঞা দিয়ে নিষ্ঠার সাথে
অবিরাম বাংলাদেশের সমৃদ্ধির,
অবিরত প্রচেষ্টা, ঐকান্তিক স্বপ্ন;
আমি তাঁদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
এছাড়া সর্বোস্তরে যারা যেখানে
আছেন “ আকবর বাদশাহ
থেকে হরিপদ কেরানি” ডাক্তার,
উকিল, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী
জীর্ণ মুটেমজুর, পাতাকুড়ানি
ব্যক্তিবিশেষ থেকে ব্যক্তিনির্বিশেষ;
যারা বাংলাদেশকে নিঃশর্তভাবে
এগিয়ে নিয়ে যেতে একমত।
আমি তাঁদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।।
আমরা ’৭১ এর উত্তরাধিকার;
আমরা বিভক্ত জাতি না;
বীরের জাতি, আমরা সংশপ্তক;
প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা আমাদের আদর্শ।
পবিত্র রক্তপ্রবাহ আমাদের শরীরে।।
’৫২ থেকে ’৭১ এর রক্তাক্ত ইতিহাস এই “ বাংলাদেশ”।
ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময় এই “ বাংলাদেশ”।
অগণিত আত্মত্যাগীর আমানত এই “ বাংলাদেশ”।
পরবর্তী প্রজন্মের কাছে একটি সমৃদ্ধশালী
“ বাংলাদেশ” উপহার; প্রতিটি বাঙালির
প্রথম দায়িত্ব। বাংলাদেশ এগোলে;
বাঙালি এগোবে; আপনি এগোবেন।
১৪ কোটি বাঙালির কাছে আবেদন-
“বাংলাদেশ নির্মাণ” এ এগিয়ে আসুন।
’৭১ এর উত্তরাধিকার হিশাবে আসুন;
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিশাবে আসুন;
একজন আমানতদার হিশাবে আসুন;
একজন দায়িত্বশীল হিশাবে আসুন।
একটু একটু করে প্রতিটি বাঙালি-
ইটের পর ইট গেঁথে সর্বোপরি;
১৪ কোটি বাঙালির হৃদয়ের
স্বপ্ন দিয়ে নির্মিত হবে,
পৃথিবীর বুকে সুউচ্চ প্রাসাদ-
“ বাংলাদেশ”।।