সুখ আপেক্ষিক
যে যে ভাবে সুখি হউন না কেন? সুখ পেতে হলে চাই দুই প্রাণে সন্ধি আর যত বলিদান।দুই প্রাণ এক আত্মায় মিলন। যে যত বেশি বলিদান দেবেন, ততোটাই সফল হবেন। এই জন্য দরকার মাটির মত মন, সাগরের জলের মত স্বচ্চ মন ভালোবাসা, চিন্তায় থাকতে হবে মনের সমর্থন এবং তার বাস্তবায়ন।আর বাস্তবায়ন করতে দরকার চিন্তা শক্তির সঠিক ব্যবহার, তখন আপনার মনে হবে আপনার মাঝে আপেক্ষিকতা এসেছে,আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। ঠিক তখন আপনি বলিদান দিচ্ছেন এবং বলি হচ্ছেন। তখন আপনার বা আপনাদের মনে আপেক্ষিকতা পরিপূর্ণতা এসেছে।
তখন মনের তৃপ্তিতে সুখ অনুভব করবেন এবং অনুভব করবেন আপেক্ষিকতার।ভাসবেন সুখের সাগরে শুধু ভালবাসায়।
...
মানুষ কোন কষ্ট ছাড়া বা অল্প পরিশ্রমে ভাল কিছু ফেলে ভুলে যায় তার গুরুত্ব, দেয় না তার সঠিক মূল্যায়ন।শক্ত মনে ভালবাসার ভাল ফলন হয়,কারণ খুব কষ্টে চাষাবাদ হয় বলে।কেউ যদি যদি কোন কিছু অল্পতে পায় সেই পাওয়া কোন আনন্দ পায় না,পায় না খুঁজে ভাললাগা ভালবাসা।শুধু এ দিকৈ ঐ দিকে খুজে, খুজে নানান খুত ,নেই ছলনার আশ্রয় চলে যায় ভুল পথে,আর তখন শুরু হয় যত অসংগতি অশান্তি।আর এর মাঝে তৈরি হয় দুই প্রাণে দুরত্ব, সুযোগ নেই কুট প্রকৃতির মানুষেরা।দুই প্রাণেই হেনস্তা হয় পদেপদে।
...
তখন তারা হারায় নিজের আপেক্ষিকতা,হারায় নিজের সঞ্চিত ভালবাসা,হারায় সুখের নীড়।এ সময় সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে ধৈর্যর।এই গুন সবার থাকেনা বলে নি:স্ব হয়,হয় ঘাটে ঘাটে নিগৃহীত, পায় না মনে শান্তি , খুজে না পথ কুল।ভাগ্য কাউকে নিয়ে যায় সঠিক পথে অনেকে চলে যায় বেপথে।
...
তখন আপেক্ষিকতা ব্যঙ্গ করে হাসে অট্টহাসি,লাইন চ্যুত হয়ে পড়ে দুই প্রাণ অজানা দ্বন্ধে চরম অবিশ্বাসে। দুই জন মানব মানবির মধ্যে শুরু নতুন সংশয়ে, যত কুচিন্তা।দুই জনেই পড়ে থাকে কোন অচেনা অচিন দ্বীপে!হাস্যকর হয় দু'জনে জীবন, লন্ডবন্ড হয়ে যায় সংসার, এভাবে শেষ দুজনের সুখি দাম্পত্য জীবন।
.
পদটিকাঃ দাম্পত্য জীবনে দুইজনের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেক্রিফাইস। যারা যত বেশি সেক্রিফাইস করবে তত বেশি সুখি হবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২