আয়না হতে চেয়েছিলে আমার। মেনে নিয়ে কথা, তোমায় আয়না ভেবে বসি, দেখতে চাই তোমাতে আমি আর আমার সুখ দু:খ আনন্দ বেদনা। রোদ্দুরের আলোয় কিংবা রাতের আঁধারে আলোয় আলোকিত মনের আয়না। যে আয়নায় পথ দেখে দেখে আগাতে পারি জীবনের মানে খুঁজার সন্ধানে! কই! কথার বরখেলাপ করলে যে বড়। আয়নায় ঝকঝকে তকতকে ছবি দেখার উচ্ছাসে নির্নিমেষ তাকিয়েই হতাশা ঘিরে ধরল। আয়না বুড়িয়ে গেলো কবে! আশ্চর্য্য! আয়নার চামড়া ঝুলে গেল... দৃষ্টিতে ছানি পড়ে ঝাপসা হল দেখার পথ। বহুক্ষণ তাকিয়ে থেকে উচ্ছ্বাস খুঁজি, খুঁজি শিউলী ঝরা দিন... না আশায় গুঁড়েবালি.. আয়না তোমার তীক্ষ্ণ ভ্রুকুটিতে, ভয়ে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেই... সেইতো ঝরালে চোখে জল, তার চে আয়না নাইবা হতে!
অত:পর বায়না ধরলে চোখের কাজল হবে, খুশিতে আত্মহারা আমি আগপিছ আর ভাবতে যাইনি! সে আমি জানি, নিকষ কালো কাজলে ক্যামিকেলের স্পর্শ, সে আমার চোখ সইবে না। কিন্তু তোমার স্পর্শ পাবার আশে জড়িয়ে নিলাম চোখে তোমায়। বিমুগ্ধ আমি... প্রজাপতি মন আমার, ওড়ে বসে তোমার মন জানালায়! অলীক স্বপ্ন দুচোখ জুড়ে, বেঘোর স্বপ্নে বিভোর কাজলচোখে যেই তাকালাম আয়নায় তোমায় দেখব বলে, স্পর্শের মূল্য এতটাই দুর্মূল্য হয়ে উঠল তাকাতেই দুচোখ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে করে দিলে ছারখার... সেই আবার কাঁদিয়েই ছাড়লে!! কেনো এত কাঁদাও গো তুমি?
©কাজী ফাতেমা ছবি
(০৯-০৪-২০১৬)
(২০১৬ সালে লিখেছি। কী কারণে লিখেছি কারণ মনে নাই )
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১০