তোমাকে সবাই ভয় পায়
সবাই তোমাকে নতজানু হয়ে পড়ে থাকে তোমার পায়ে
পদলেহনের সময় সামান্য ভুল হলেই নিজেদের মাঝে নিজেরা জড়িয়ে পড়ে হানাহানিতে
আমি তোমাকে পদলেহনের জন্য জন্মাইনি-
আমি তোমাকে প্রশ্ন করতে জানি-
আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করতে ডরাই না
কারন তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ বলেই নিজেকে অসীম ভাবতে পারোনা
যারা আমার মতই সৃষ্টির পর থেকে এক দানা ভাতের জন্য চিৎকার করে মরছে-
তাদের কেন তুমি না খাইয়ে রেখেছ?
নাকি তাদের মুখে নিজের স্তুতি না শুনে তোমার রাত কাটে না?
তাদের মুখে নিজের নাম না শুনে তুমি ঘুমাতে পারোনা!
তাদের চিৎকার করে কান্না তোমার মুখে হাসি ফোটায় কি হে ঈশ্বর?
তাহলে আমি আছি দাঁড়িয়ে- দেখো আমার সাথে শত শত বুভুক্ষু ঈশ্বর আজ
তোমার নাম না নিয়ে এগিয়ে আসছে তোমার দুয়ারে
তুমি কতদিন ঐ সাত আসমানে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে থাকবে?
ঐ চেয়ার ভাংবে বলে এগিয়ে আসছে লাখ লাখ না খেয়ে থাকা শিশুর পাল
ঐ চেয়ার ভাঙবে বলে এগিয়ে আসছে কোটি কোটি অনাহারি নারী পুরুষ?
নাকি তোমার একচক্ষু এখনো চেয়ে আছে তেল ওয়ালা বড়লোকদের দিকে?
যারা তোমাকে নিয়ে গড়ে তুলেছে সম্রাজ্য বাদ?
ওরা একটা দানা ও না খেয়ে থাকা শিশুগুলোকে দেয়না
হয়ত ভদ্রপল্লিতে পুজিত তুমি- অনাহারী দের ঈশ্বর তুমি নও- কোন কালে ছিলেও না।
আজ আমি নষ্ট হয়েছি- খিদের মাঝে তোমাকে ডেকে ডেকে না পেয়ে বিদ্রোহ করেছি
তুমি কি শুনতে পাও? শুনতে পাও?
ঐ যে হাড় জিরজিরে শিশুটা- আরেকটু পরেই মারা যাবে
তারপর সে ও শামিল হবে আমাদের মিছিলে-
এই মিছিল খাদ্য আদায়ের মিছিল
এই মিছিল নিজের অধিকার হারানো মানুষের মিছিল
নিজের নাম তুমি শুনতে শুনতে অনেক আনন্দ করেছ
এখন থেকে তুমি শুধুই হুমকার শুনবে
অনাহারি শিশুর হুমকার
আমরা এই হুমকার তুলে সাত আসমান থেকে তোমাকে মাটিতে নামিয়ে আনবো
তারপর তোমার জন্য অপেক্ষা করছে দীর্ঘ অনাহারী মুহূর্ত ।।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৭