আজ আপনাদের কাছে নিয়ে এলাম ইনকা সভ্যতার হারিয়ে যাওয়া এক দূর্গম নগরী মাৎসু পিৎসু যার প্রতিটি অলিগলিতে ছড়িয়ে আছে রহস্য।
আন্দিজ পর্বত মালার পাশে এক দুর্গম পাহাড়ি অন্চলে এই মাৎসু পিৎসু অবস্থিত-উপরের ম্যাপে এটা অবস্থান দেখতে পাচ্ছেন।এটা ১২৫০ খ্রিষ্টপূর্বে ৩২৬ বর্গ কিলোমিটার অন্চল জুড়ে তৈরি হয়েছিলো। এটা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২৪৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত বলে হারিয়ে যাওয়ার পর এটাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বহুদিন।
চারপাশে বিশাল সব পাহাড়ের মাঝে এই সুন্দর স্থাপত্য কলা যেন কোন একটা গোপন মিলিটারি বেসক্যাম্প।
এই সাইট প্লানএ আমরা দেখতে পাই কিভাবে পুরো শহরটার মাষ্টার প্ল্যান করা হয়েছিলো।
শহরটা দুইটা মূল অংশে বিভক্ত ছিলো
১. শহুরে অংশ
ক. পূর্ব অংশ
খ. পশ্চিম অংশ
২. গ্রাম্য অংশ
ক. উচ্চ ভুমি
খ. নিন্ম ভুমি
আর্কিওলজিষ্ট রা আবার এটাকে তিনটা ভাগে ভাগ করেছেন
১.স্যাক্রেট বা গোপন বিভাগ
২.উত্তরের পরিচিত শহর
৩. গন্যমান্য ব্যাক্তি ও যাজকদের শহর
এই ম্যাপে আমরা শহরের কোন খানে কি অবস্থিত সেটা দেখতে পাচ্ছি
এখানে লাল চিহ্নিত স্থানে আছে রয়াল টুম্ব সেখানে ইনকাদের প্রধান দেবতার মন্দির ছিলো-এখানেই বলিদেয়া হত মানুষদের-মুলত কুমারী দের এবং যুদ্ধে বন্দী সৈনিকদের।
এখানে থাকতো সাধারণ জনগন-
যাজক রা দলগত ভাবে থাকতেন এখানে-মূলত রাজ্য ক্ষমতা ছিলো মূলত ছিলো যাজকদের হাতে।
এটাকে বলা হয় কনডর-এখানে মূলত পূজার বেদী ছিলো যাতে বলি দেয়া হত।
এটা হল ইনথিউথানা পাথর যা ছিল এক পবিত্র পাথর মানমন্দির ও আকাশের বুকে জ্যোতিষ্ক দেখার কাজে ব্যাবহৃ্ত হত-মূলত এটা ছিলো একটা সৌর ঘড়ি এবং ক্যালেন্ডার।
এটা ছিলো রহস্যময় সূর্য মন্দির- রহস্যময় বলছি কারণ এটার স্থাপত্য শৈলি-যেটা এখনকার দিনে ও অনেক কঠিন-সেটা কিভাবে হাজার বছর আগে ওরা বানিয়েছিলো কে জানে...
অবশেষে এই হিরাম বিংহাম ১৯১১ সালে এই শহর আবিষ্কার করেছিলেন বলে এই পোষ্ৎা দিতে সক্ষম হলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে
উৎসর্গ ইমন যুবায়ের ভাইকে
এই পোষ্ট আর লিখতে ইচ্ছা করছেনা-পর পর ৪ বার হারাইসে। হারিয়ে যাওয়া শহর নিয়ে লিখেছি বলেই হয়তো