কোন এক কারিগর হয়তো বসে জামদানী শাড়ি বুনছে ;
তোমার অঙ্গে জড়াবে বলে যা উদগ্রীব হয়ে প্রস্তুতের
অপেক্ষায় । বাগানের ঐ শিউলি গাছটি প্রহর গুনছে
অধীর আগ্রহে – রাতের জন্যঃ(নয়তো ভোরের)।
তোমার খোঁপায় সাজবে বলে যার এত করে
ঝরার ব্যকুলতা;অথবা সুঘ্রাণে ভরিয়ে দিতে ইচ্ছুক তোমার
ঐ মরাল গ্রীবা – যেথায় ঝমঝমিয়ে ঝরে
জলপ্রপাতের শীতল ধারা-সাথী হয়ে সব সুধার।
মেঘেরা ও জট বাঁধতে শুরু করেছে-তোমার পথ
সিক্ত করবে বলে-তোমার ঐ দু পুদতলে
চুমু দিতে তারাও ব্যকুল-সাথে যুদ্ধে নেমেছে রোদ,
তোমার নাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখবে বলে।
দখিন হাওয়ারা সব হাতে হাত রেখে আসছে
ধেয়ে-তোমার আঁচলের সাথে খেলার মানসে-
হয়তো এ রকম হাজারো ঈশ্বর নেমেছে
ধরায় - তোমাকে তুষ্টির প্রয়াসে।
সবাই ব্যস্ত যখন বাজাতে তোমার আগমনী-
রচিতেছি বসে আমি শুধু তোমার বন্দনা – হে সঙ্গিনী।