(১)
আমি ভেবেছি
বোঝার চেষ্টা করেছি,
সফল হতে না চেয়েও দুঃখ পেয়েছি বারবার,
আর জানতে পেরেছি এই শহরের অসুখ আমি নিজে।
আমার দলে আর যারা ছিলো বলে
আমার, শুধু আমার ধারনা তারা সবাই
নিজেদের এড়িয়ে যেতে চেয়েছি নানা কৌশলে,
পরস্পর মুখ চাওয়াচাওয়ি বন্ধ করেছি ভয়ে,
লজ্জায়,
আত্মগ্লানিতে!
(২)
সন্ধ্যে থেকে রাত হয়ে যায় শহরে,
স্তব্ধ ধোঁয়া জমা ঘরে তর্ক উঠেছে জোর,
পাশের মহাদেশের সমস্যা নিয়ে তরজা এখন রোজের বিষয়
আড্ডা-তর্কে মন ছিলো না,
তবু ওঠা হয় না রোজেরই মতো
ভেবে দেখিনি কিসের জন্য?
দৃষ্টি কেবলই স্থির হয়ে থাকে আলোয় উজ্জ্বল গাছেদের দিকে,
যারা কোনো প্রশ্ন করে নি জীবনে
তাদের মতো হতে ইচ্ছে করে,
হায়, আমার অবুঝ হৃদয়!
এই যে দীর্ঘশ্বাস,
একেই কী ভালোবেসে গেছি চিরকাল?
(৩)
সচেতন পদক্ষেপে আমি এগিয়ে গেছি,
গলি থেকে রাজপথ,
ধুলো মাখতে ইচ্ছে হয়নি বলে
আমি যেদিন থেকে যানবাহন চিনতে শিখেছি,
রাস্তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ সেদিনই।
আমি ভেবে দেখেনি রাস্তার কথা-
রাস্তায় হাঁটবার কথা,
ইচ্ছের কথা ভেবেছি
তাই বিষাদ।
(৪)
কার দোষ তবে?
মুহূর্তে বিশ্বাসী নই বলেও
আনন্দ চেয়েছি বারংবার,
কারো প্রত্যাশা পূরন করা হবে না জেনেও
বন্ধনে পড়তে চেয়েছি
প্রত্যেক সুযোগে,
নিজের ওপর আস্থা নেই জেনেও
কথা দিয়েছি, আমি যাব।
শব্দের কাছে মাথা নত করেছি,
ভাবনার কাছে ভিক্ষে চেয়েছি,
উদ্ধত অহংকারে ওদের ছুঁড়ে ফেলতে পারি নি
আমি,
এই পৃথিবীর অসুখ যা আছে
তা আমি।
উপসর্গ আমার দিনযাপন,
প্রতিষেধক জানে কোনো নতুন ঈশ্বর।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১০