ভাঙ্গামেলার শেষ রাত এসে জড়ো হয় শহরের এইপ্রান্তে,
ব্যস্ততার মাঝেও যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বেড়ে ওঠে নিস্তব্ধতা,
তাকে তুমি লালন করেছো স্নেহময়ী মায়ের মতো,
দূরে সরিয়ে রেখছো মাতাল রিক্সাওয়ালাদের উচ্চস্বরে গান
আর ফুটপাথে দাঁড়িয়ে তাদেরই রমনীদের বাড়তে থাকা কলহ
দূরে সরিয়ে রাখছো কতকিছু না পাওয়া ওদের সন্তানদের কান্না,
যত্ন নিয়ে কত নিষ্ঠুর হতে শিখেছো তুমি।
হঠাৎ এ নীরবতা তোমায় ভাসিয়ে নেয় বহুদূরে,
শোনা যায় সেই ফেলে আসা সুর
শরীর পাথর হয়,
স্তব্ধ হয় পা
সময় থমকে দাঁড়ায় তোমার সামনে,
হাঁটু মুড়ে নতমস্তক হয়ে বলে
“ওগো, আমায় রূপ দাও, আমায় সম্পূর্ন করো। ”
এরপর এলোমেলো হয় সব
চোখের সামনে ঘুরতে থাকে বনবন করে
কত দৃশ্য, কত মুখ, কত ক্ষোভ, কত অভিমান,
কত অবহেলা, কত ধিক্কার, কত স্লোগান, কত যন্ত্রনা
কত আলো, কত স্পষ্টতা, কত প্রান, কত জীবন,
কত শান্তি, কত স্থিতি
আস্তে আস্তে অধঃক্ষিপ্ত হও তুমি গেলাসের নীচে,
সামনে পড়ে থাকে সেই সাদা পাতা
এ মধ্যরাত এক কবির জন্ম দেবে।
একটি রাত ও কবির জন্ম (১)
একটি রাত ও কবির জন্ম (২)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৬