তোমার বুকের ওপর দিয়ে যে লোহার শেকলটা গেছে,
তাকে আরো মজবুত করতে হবে,
নইলে তোমায় মারবো কিভাবে বলো?
আমরা কুৎসা করতে শিখেছি এখন,
মায়ের ভাষায় স্লোগান ওঠে আর তার পিছনে গাল,
মা, তুমি কাঁদো, আরো কাঁদো,
আমরা তোমার চোখের জল,
না থুড়ি পানি দেখে
আনন্দেতে, আরও আনন্দেতে ফূর্তি করি সবাই,
তোমার কথা ভাববো কেনো বলো?
এই তো বেশ আছি,
দিনকেদিন গ্লোবাল হচ্ছি,
মর্ডান হচ্ছি,
আর সুযোগ পেলেই মুখ বাঁচিয়ে কুৎসা করছি।
তোমার ভাষায় এখন শব্দের চেয়ে কুৎসার সংখ্যা বেশি,
শ্রীহীন আমরা হয়েছি অনেকদিনই
এইবার শ্লীলতাহানির পালা।
মা, তুমি স্বপ্ন দেখো না আর,
এ মৃতের স্তূপ ঘেঁটে ভালোবাসা পাবে না তুমি,
পাবে শুধু পরস্পরের জন্য ঘৃনা-হিংসা-ভেদ।
লজ্জা!!
একরাশ লজ্জায় মুখ ঢাকতে ইচ্ছে করে তখন।
হায় আমার বাঙলা ভাষা,
এখন তোমায় ভালোবাসতেও বড্ডো বেশি ভয় করে,
নামের আড়ালে লোকে জানতে চায়
'কোনখানে বাড়ি?'
'ঈশ্বর কে তোর?'
আমি শুধু তোমার অক্ষরগুলো বুকে নিয়ে
পালিয়ে বেড়াই এদেশ থেকে ওদেশ।
ভয় পেলে জননী?
ভয় পেয়ো না, দেখো একবার
আজো কিছু দুর্ভাগারা আছে,
যারা শুধু তোমায় ভালোবেসে
বন্দুকে গোলাপ ফোটাবার স্বপ্ন দেখে,
রক্তপিশাচের ক্ষুধার্ত চোখ উপেক্ষা করে
তারা আজো হেঁটে যায় নগ্ন পায়ে প্রভাতফেরিতে,
তারা আজো ছুটে যায় শোকমিছিলে সবার আগে।
মা, তুমি বুকে টেনে ধরো তাদের,
আর আমাকেও,
হাজার হাজার জমানো দুঃখ ঝরে পড়ুক অশ্রু হয়ে,
চলো আজ একসাথে কাঁদি সবাই মিলে
আবার আরেকবার।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৪