মুভির কাহিনি দিয়েই শুরু করি। চান্দু (নামের কি ছিরি

চান্দু আর শিরি মনের সুখে নাচতেসি্লো আর গাইতেসিলো হঠাত করে কোথা থেকে ওড়না উড়িয়ে সেকেন্ড নায়িকা রিতুর আগমন। জানা গেলো নায়ক চান্দু এই নায়িকার প্রেমে পড়ে একদম হাবুদুবু খেতে শুরু করেছেন। আমি ভাব্লাম, এই হয়েছে, কিছুদিন আগে আরেক তেলেগু মুভিতে দেখেছিলাম হোতকা চেহারার দারোয়ান টাইপের এক নায়ক চামে চামে কাজল আগরওয়াল আর অন্য আরেক অস্থির নায়িকা দুইজঙ্কেই একসাথে বিয়ে করেছে। আমি এই ধরণের অন্যায় অবিচার একেবারেই সহ্য করতে পারিনা। আমি নিজে যেখানে কিনা এখনো সিংগেল সেখানে কুদর্শন নায়ক যদি অস্থির অস্থির নায়িকা গুলারে নিয়া এই অবস্থা করে তাইলে কি আর ভাল্লাগে? ভাব্লাম, এইখানেও সেম কেস হতে যাচ্ছে। পরে আশ্বস্ত হলাম না, শিরির ও বয়ফ্রেন্ড আছে যে কিনা আম্রিকা থাকে। তার সাথে শিরির নিয়মিত ফাচেবুক এ যোগাযোগ হয়।
যাই হোক মুভির ডিটেইলস দিতে ইচ্ছা করতেসেনা, অনেক ঘুম পাচ্ছে। যেই কারণে মেজাজ খারাপ হইলো তা হল, মুভিতে দেখানো হয়েছে ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব হতে পারে এবং সমাজের উচিত এই বিষয়টা মেনে নেয়া। ছেলে মেয়ের বন্ধুত্বে আমার কোন আপত্তি নাই কিন্তু নায়ক নায়িকা বন্ধুত্বের নামে সারাক্ষ্ণণ যে কোলাকুলি করসে এই ব্যপারটাতে আপত্তি আছে। দুইদিন পর মাইয়া যেই পোলারে বিয়া করবো তার সামনে আরেক পোলার লগে কোলাকুলি কইরা কয়, উই আর জাস্ট ফ্রেন্ড। নায়ক নায়িকা দুইটাই লুল। ফাইজলামির ও একটা সীমা থাকা দরকার।

আরও মেজাজ খারাপ হইসে যখন চান্দু সুন্দর নায়িকাটারে বিয়া করলোনা, সে নাকি তার ফ্রেন্ড। ডিরেক্টর দেখাইলো আর আমিও দেখলাম। এইটা কি মুভির টুইস্ট ছিলো নাকি বুঝলামনা।
যাই হোক, তেলেগু মুভির নায়িকারা সব সময় সুন্দর হয়। এই ছবিও তার ব্যাতিক্রম নয়। নায়িকাদেরকে দেখার জন্য এটা দেখা যাইতে পারে।

এইডা এক নম্বর নায়িকা


আই এম ডিবি তে এই মুভির কোনো পেজ নাই। তাই নায়ক নায়িকা দের নাম বলতে পারতেসিনা। দুঃখিত।
টরেন্ট
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১২ বিকাল ৪:০৫