গ্রিক একেশ্বরবাদের অন্যতম প্রবক্তা "জেনোফেনস" (Xenophanes of Colophon) ধারনা করা হয় তিনিই প্রথম
তাঁর মতে " ঈশ্বর এক; স্থির, অপরিবর্তনীয় এবং চিরকালীন "
জেনোফেনস(আনুঃ৫৭০-৪৭৫ খ্রিঃপূঃ)
জেনোফেনস সম্বন্ধে খুব কমই জানা যায়, যা জানা গিয়েছে তা হলো বিভিন্ন লেখকদের বিবরণ থেকে, তন্মধ্যে ডাইওজেনিস ল্যরটিয়াস , ক্লেমেন্ত অভ আলেকজান্দ্রিয়া প্রমুখ উল্লেখ্যযোগ্য এবং স্বলিখিত বিচ্ছিন্ন কতক রচনা ।
তিনি বলেন, যদি গবাদি পশু, ঘোড়া আর সিংহের আমাদের মতোই থাকতো হাত এবং আমরা যেমন আঁকি ঠিক তেমনি পারতো আঁকতে, তবে ঘোড়া ঈশ্বর আঁকত ঘোড়ার মতন, গবাদি পশু তাঁর নিজের মত আর সিংহের ঈশ্বর ঠিক সিংহের তাঁর মত।[ক্লেমেন্ত অভ আলেকজান্দ্রিয়া উল্লেখিত
অন্যত্র [ডায়েল ক্রান্তজ থেকে]
"ইথিওপিয়ানরা বলে ঈশ্বর ও দেবতারা তাদের মতো নাক বিশিষ্ট এবং কালো আর থ্রাসিয়ানরা বলে উজ্জ্বল বর্ণের আর লাল চুলের"।
এভাবে মানুষের খেয়াল-খুশি ও মর্জিমাফিক সৃষ্ট ধর্ম তত্ত্ব,বিশেষত তৎকালীন গ্রীসের হোমার ও হেসিয়ড কর্তৃক বর্ণিত অর্ধমানব সদৃশ ও মানবিক বৈশিষ্ট্যের দেব-দেবী সমূহের তীব্র বিরুধিতা করেন। তাঁর মতে "দেবতাদের সম্বন্ধে এমন সব ধারনার উল্লেখ করা হয়েছে যা মানুষের ক্ষেত্রেও চরম নিন্দনীয় ও জঘন্য কাজ।যেমনঃ চৌর্যবৃত্তি, ব্যাভিচার ও পারষ্পরিক প্রতারণা ।"[সেক্সটাস এম্পিরিকাস বর্ণিত]
এক্ষেত্রে তাঁর মত "কিন্তু স্রষ্টা একজন ,যিনি মানুষ এবং সমস্ত দেবতা থেকেও শক্তিমান আর কোনো ভাবেই মরণশীলজীবের মতো নন; না দৈহিক না মনোগত।" [জেলার কর্তৃক] ।
মানুষের জ্ঞান ও বোধগম্যতার সীমাবদ্ধতায় দৃষ্টি আরোপ করে তিনি বলেন " মানুষ পারে কিছুটা জানতে, পূর্ণাঙ্গভাবে নয়" এছাড়াও তিনি মত দেন "এবং অতি অবশ্যই মানুষ পরিষ্কারভাবে সত্য সম্পর্কে জানতে পারে না, কেউ নেই যিনি দেখেছেন কিংবা জানেন ঈশ্বর সম্বন্ধে, এমন কি সর্বোৎকৃষ্ট ক্ষেত্রে যেমন কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া বিষয়ে বলতে পারবে অতি অল্পই" [এখানে] ।
এজন্য তাঁকে অজ্ঞেয়বাদী কিংবা সংশয়বাদী বলা যায়।
(ভুল-ত্রুটি নিজগুণে ক্ষমা করবেন, এবং ভুল-ত্রুটি কেউ উল্লেখ করলে যথাসম্ভব সংশোধন করে নেব)
আরো জানতেঃ ১)জেনোফেনস ২)জেনোফেনস ৩)জেনোফেনস
পূর্ববর্তী পোস্টঃ
বিভিন্ন তত্ত্ব ও মতবাদ (১) :- পানি বা জল তত্ত্ব
বিভিন্ন তত্ত্ব ও মতবাদ(২) :- অসীম বা সীমাহীনতা তত্ত্ব
বিভিন্ন তত্ত্ব ও মতবাদ(৩) :- বায়ু মতবাদ
বিভিন্ন তত্ত্ব ও মতবাদ (৪) :- সংখ্যা মতবাদ
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৪