বুদ্ধিমতি মেয়েরা তাদের জীবন সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভীষণ সিরিয়াস হয়ে থাকে। পুরুষের যে সমস্ত বেসিক গুনাবলী থাকা অবশ্যক, জীবন সঙ্গী হিসাবে তার ষোলোআনাই আশা করে তারা। অবস্য এটা তারা চাইতেই পারে, অন্তত প্রাকৃতিক করণে তো বটেই ,তো আসল কথায় আসি। বেসিক গুনাবলী থাকার পর ছেলেদের বাড়তি গুনাবলী যার মাঝে যত বেশী থাকবে সে ততবেশী তার সঙ্গিনীর প্রানপ্রিয় হবে, ততই বেশী প্রেম ভালবাসা পাবে, আর ভালবাসা তো অফুরন্ত। তবে যে কথাটি না বললেই নয়, মেয়েদের চাহিদা নির্ভর করে তার অবস্থা এবং পারিপার্শ্বিকতার উপর ভিত্তিকরে। আমাদের দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের স্বল্প শিক্ষিতা মেয়েদের চাহিদার তুলনায় শহরের আধুনিকা ও শিক্ষিতা মেয়েদের চাহিদার মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। যেটা অবস্য গ্রাম অঞ্চলের পুরুষদের বেলায় তেমন একটা ভিন্নতা লক্ষ করা যায় না । মূলত গ্রাম অঞ্চলের মেয়েদের পিছিয়ে পড়াটাই এর জন্য দায়ী। সে যাইহোক ছেলেদের যে সমস্ত গুনাবলী মেয়েরা তার সঙ্গী হিসাবে কামনা করে, সে যে অঞ্চলের হোক না কেন যদি সেটি ছেলেটির মাঝে উপস্থিত থাকে তাহলে অবশ্যই সে মেয়েটির হৃদয় জয় করতে পারবে। তবে বলছিলাম না, আধুনিকা ও শিক্ষিতা মেয়েদের চাহিদাই বেশী, আসলেই তাই.. অনেক আধুনিকা মেয়েরা ছেলেদের বাহ্যিক গুনাবলী পরখ করার পাশাপাশি ছেলেদের শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গের বিশেষ বিশেষ স্থানগুলো প্রিতিমিশ্রিত শ্রদ্ধার সাথে দেখে থাকে। তবে পোস্ট লম্বা হয়ে যাবার আশংকায় এখানে কেবল মেয়েদের পছন্দনীয় বেসিক গুনাবলী নিয়েই আলোচনা করবো, সে সাথে আশা করবো সন্মানিত পাঠকদের মূল্যবান মন্তব্য এবং অমূল্য ভোট ।
১. তাকে অবশ্যই প্রেমময় ,সমবেদী ,অন্তদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে এবং একান্তভাবে বা পরিচিত মহলে উভয় ক্ষেত্রেই সঙ্গিনীকে প্রতিপাদন করা বা তাকে উর্ধ্বে তুলে ধরার মনমানসিকতা থাকতে হবে।
২. হাস্যোদ্রেককর, খোশমেজাজ ,রসিক এবং আশাবাদী হতে হবে।
৩. তাকে বিশ্বাসী হতে হবে, তার ভাষা ও বচন ভঙ্গির প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং অনৈতিকতা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
৪. তার প্রতিটি কাজে ভদ্রলোক; সদ্বংশীয় সভ্রান্ত পুরুষের ছাপ থাকতেহবে।
৫. মার্জিত,সংস্কৃতিবান, বুদ্ধিমান,সৃজনশীল এবং সৃষ্টিশীল হতে হবে।
৬.তাকে ন্যয়পরায়ণ, প্রতিশ্রুতি রক্ষার ক্ষেত্রে নিষ্ঠাবান এবং সঙ্গিনীর ইচ্ছানুসারে কাজ সম্পাদন করার মানসিকতা থাকাতে হবে।
৭. যে কোনো কাজে বা কর্মশক্তিতে অশিষ্টাচার ও অভদ্রতা প্রকাশ ব্যতীত প্রবল সক্রিয়তা প্রদর্শন করা ও সর্বদা সঙ্গিনীর মনোরঞ্জনে তৎপর থাকতে হবে।
৮. অবিরত মেধা প্রয়োগের মাধ্যমে উত্তরোত্তর সাফল্য অর্জনের প্রবল আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হওয়া।
৯.কন্যার পিত্রালয়ের প্রতি সর্বদা অভিনিবিষ্ট ও সজাগ থাকা।