বিল এলো ১৪ রিংগিত। ঢেঁকুর তুলে রাস্তায় নামলাম। আস্তে আস্তে হেঁটে হোটেলের দিকে রওয়ানা দিলাম।
বিশ্রাম দরকার সারাদিন নিজেকে খুব অত্যাচার করেছি।
হোটেলের ২টা বিছানা বেশ বড় ছিল। একটা বিছানার কাছে জানালা ছিল। আর সেই জানালাটি ছিল এল আর টি ষ্টেশনমুখী। বিছানায় বসেই দেখা যাচ্ছিল উভয়মুখী ট্রেনের আসা-যাওয়া। ট্রেন ষ্টেশনের গোড়ায় আবার বাস ষ্টেশন এবং যাত্রী ছাউনী। সবকিছু ফকফকা দেখা যাচ্ছিল। খুব ভাল লাগছিল দেখতে। তবে বেশিক্ষণ জেগে থাকা গেলনা, আগামীকাল রওয়ানা হব ল্যান্কওয়াইর পথে।
ল্যান্কওয়াইর জন্য বাসের ষ্টেশনে গেলাম টেক্সিতে করে, ভাড়া নিল ২০ রিংগিত। বাস ষ্টেশনের নামটা মনে পড়ছেনা। ল্যান্কওয়াই ২/৩ দিন থাকার নিয়ত তাই সুটকেসের কান টানতে টানতে বাসে উঠলাম। বাস ভাড়া মাথাপ্রতি ৪৫ রিংগিত। ওখানেও বাংলাদেশের মত দালাল রয়েছে, যাত্রীকে বাসে নিয়ে তুলে দিতে পারলে কমিশন পায়। বাসটা বেশ ছিমছাম, পরিষ্কার, এসিযুক্ত এবং দোতলা। দু’তলায় প্রায় সামনেই বসলাম। ১১টায় বাস ছাড়লো। ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে বাইরের শহর দেখছি।
ল্যান্কওয়াই যাওয়ার পথে বাসে বসে বাইরের ক্লিক
যাত্রার ১ ঘন্টা পরেই নাম না জানা একটা ষ্টেশনে ২০ মিনিটের জন্য থামলো, পিসু পাসু করার জন্য। ২ঘন্টা পর একটা সার্ভিস সেন্টারে থামলো। ওখান থেকে ১৬ রিংগিতের শুকনো খাবার কিনলাম।
বিকাল ৫টা। বাস চলছে তো চলছেই। একটু একটু করে বিরক্ত লাগতে শুরু করেছে। বিকাল ৬টায় একটা বাস ডিপোতে থামলো। আসলে এটা একটা বড় বাস ষ্টেশন। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের বাস বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। বাসে বসেই দেখা যাচ্ছে বিশাল নদী এবং লঞ্চের চলাচল। বাস থেকে ৯৫% লোকই নেমে গেল। এই সময়টাতেই আমি বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলাম। এটাই ল্যান্কওয়াই যাওয়ার ফেরীঘাট কিনা বুঝতে পারছিলামনা। ২/৩ জন যাত্রীকে জিঙ্গেস করলাম যে, এই বাসের শেষ ষ্টেশন এটা কিনা, কিন্তু কেউ সদুত্তর দিতে পারলোনা নাকি ইংরেজী বুঝলোনা! বাসের ড্রাইভারকে জিঙ্গেস করলাম ব্যাটা অদ্ভূত ভাষায় যা বললো তা আমার পৈত দাদাও শুনলে পালাবেন। সাংঘাতিক রকমের টেনশনে পড়ে গেলাম। কী করবো? নেমে যাব না বসে থাকবো?
অনুভব করলাম আমি ঘামতে শুরু করেছি।
ঘুরে এলাম মালয়েশিয়া-০৫
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫০