আমার আর আমার বউয়ের একই দিন বিয়া হইছিলো।
আইজ থেকে সাত বছর আগে এই একই দিনে আমাগো দুইজনেরই বিবাহ হইছিলো। আর সেই দিনটা ছিল ২৪ জুন।
আপনারা হয়তো কেউ কেউ কইবেন-ক্যান আরও তো মিল আছে। যেমন আমাগো ছেলে মেয়ের জন্মদিনও এক। জ্বীনা এই কথাডা আপনাগো ঠিক না। যেমন, আমি জানি যে আমার মেয়ের জন্ম হয় ২০০৩ সালের ২৯ সেপ্টম্বর। আর আমার বউ কয়, তারিখটা ঠিকই আছে তয় সালটা হইবো ২০০৪ সাল। বিশ্বাস না হইলে আমার মেয়ের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেখতে পারেন।
মেরিলিন মনরোর একটা বিখ্যাত ছবি আছে দি সেভেন ইয়ার ইচ। বাংলা করলে হয় সাত বছরের চুলকানি। এই ছবিতেই বাতাসে স্কার্ট ওড়ার সেই সেই বিখ্যাত দৃশ্যটা আছে। ছবিটার মূল কথা হইলো বিয়ার পর সাত বছর সব কিছু ঠিকঠাকই থাকে। তারপরেই পুরুষদের চুলকানি শুরু হয়। বিবাহের সাত বছর পরে বেশিরভাগ পুরুষই পরকীয়ায় জড়াইয়া যায়।
আপনাগো আবার মনে করাইয়া দেই যে আমার বিয়ার বয়স আইজ সাত বছর হইলো। আপনাগো জ্ঞাতার্থে আরো কই, আমার মোবাইল সেটটা নকিয়া আর আমার পছন্দ ইলিশ। মাছের রাজা ইলিশ, সেটের রাজা নকিয়া আর...........। থাউক আর কইলাম না। তয় আপনাগো আশ্বস্ত কইরা কই, আমার আর আমার বউয়ের মধ্যে আর কেই নাই, খালি আমি আর সে, ইংরেজিতে কইলে কইতে হয় ইউ অ্যান্ড মি।
তারচাইতে আমার বউয়ের কথা কই। বিয়ার পর পরই গেলাম বন্ধুর বাসায়। দেখি বন্ধু তার বউরে কয় জানু আর বউ বন্ধুরে ডাকে জান। বাসায় আইসা আমার বউ আমারে কয় তারা কি সুন্দর আদর কইরা ডাকে, আমি তার সেই পুরানা নাম ধইরাই ডাকি। আমি তারে দুইটা প্রস্তাব দিছিলাম। ১. তার পুরা নাম সামসুন্নাহার। আমি কইলাম ছোট কইরা আমি তারে সামসু বইলা ডাকতে পারি। রাজী হইলো না। ২। কইলাম এখন যদি জান-জানু বলা শুরু করি তাইলে আমার বন্ধু কইবো তাগো নকল করি। নতুন প্রস্তাব দিয়া কইলাম তুমি আমারে প্রাণ ডাকো, আর আমি তোমারে ডাকি প্রানী। হেইডাও হে রাজী হইলো না।
আমার আর বউয়ের মধ্যে মিল দিয়া শুরু করছিলাম। এবার অমিলের কথা কই একটা। আমাগো দুইজনের বিয়া একই দিনে হইলেও আমার চাইতে আমার বউয়ের বিয়াডাই আসলে ভাল হইছে। কি চমৎকার, ভাল, শান্তশিষ্ট একটা জামাই পাইছে। আমাগো পুরা ফ্যামিলির মধ্যেই খালি না, আমার তো মনে হয় পুরা পৃথিবীর মধ্যেই আমার বউয়ের বিয়াডাই আসলে ভাল হইছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯