এক কোটি টাকার লটারি মিলেছে। যে পেয়েছে, খুশিতে হার্ট এটাক করে অক্কা। সেই টাকা ফন্দি ফিকির করে নেবার চেষ্টা গ্রামের একমাত্র বুদ্ধিমান লিলারাম-এর(পরেশ রাওয়াল)।
আর এতেই নানা কারসাজি কসরত। একে একে একান-ওকান করে ছড়াতে থাকে লটারির কথা, পাওনাদারও বাড়তে থাকে দেদার। ধীরে ধীরে সব আরও কঠিন হয়ে যায়। আর প্রতি ধাপে হো হো করে হাসার মত নানা মজার কীর্তি কারখানা।
কমেডি হিসেবে আমার রেটিং ১০ এ সাড়ে ৯।
আর কমেডিয়ান হিসেবে পরেশ রাওয়াল একাই একশ।
২) হেরা ফেরি-Hera Pheri(2000):
তিন আটপৌরের গল্প; রাজু, শ্যাম আর বাবুরাম। হঠাত টেলিফোন ডাইরেক্টরির ভুলে একটা রঙ নাম্বার থেকে ফোন আসে এক কিডন্যাপারের। ব্যাস, মুহুর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। কিডন্যাপারের থেকেও টাকা হাতানোর ফন্দি আঁটে তিন ভবঘুরে। সাথে মজার সব ঘটনা। আপনি যতই গুরুগম্ভীর হোন না কেন, পরেশ রাওয়াল, অক্ষয় কুমার আর সুনীল শেঠি, এই তিন সুপার কমেডিয়ানের কান্ডকীর্তি দেখে হাসতে বাধ্য! আমার রেটিং ১০ এ সাড়ে ৮।
৩) ফের হেরা ফেরি- Phir Hera Pheri(2006):
হেরা ফেরি'র সিক্যুয়েল। এখানেও টাকার ফন্দি। অতি লোভে উলটা টাকা, বাড়ি সব খুইয়ে পথে বসে তিন জোকার। সাথে অতি অবশ্যই হো হো হাসির উপাদান। আমার রেটিং ১০ এ ৮।
৪) গোলমালঃ ফান আনলিমিটেড-Golmaal: Fun Unlimited(2006):
চার ধোঁকাবাজ ঘটনাচক্রে হাজির হয় এক বাংলোতে, যেখানে আছে শুধু এক অন্ধ দম্পতি। জানতে পারে তাদের একমাত্র নাতি সমির, আমেরিকা প্রবাসী। ব্যাস, এতেই অন্ধ বুড়ো-বুড়িকে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়ে, আর চারজন হয়ে যায় একজন, সমির! চুরি করতে এসে একসময় এই চারজন হয়েযায় পরিবারের অংশ। সাথে চারজনের একজন সাজা, অন্ধ বুড়ো-বুড়িকে ফাঁকি দেওয়ার ইঁদুর -বিড়াল খেলা চলতে থাকে, আর নানান মজার হাস্যরসের ঘটনা।
অজয় দেবগান, পরেশ রাওয়াল, তুষার কাপুর, রিমি সেন, শর্মান যোশি, আর্শাদ ওয়ার্সির অভিনয়ে সিনেমাটা পুরোতাই হাস্যরসে ভরা। আমার রেটিং ১০ এ ৮।
৫) হাঙ্গামা- Hungama(2003):
শুরু থেকে শেষ, পুরোটাই রসের হাঁড়ি। কোটিপতি ব্যাবসায়ী তিওয়ারি এবং তার স্ত্রী আঞ্জলি যখন গ্রাম থেকে শহরে আসে, তখনই শুরু হয় আশপাশের নানা হাসির কান্ডকারখানা। ছোট ছোট অনেক ঘটনা, লুকোচুরি, ক্রসকানেকশন। আছে পরেশ রাওয়াল, অক্ষয় খান্না, আফতাব, রিমি সেন আর সুপার জোকার রাজপাল যাদব। আমার রেটিং সাড়ে ৭।
৬) ঢোল- Dhol(2007):
চার ভবঘুরে বন্ধু। কোথাও পাত্তা পায়না। এমনকি ব্যাবসার জন্য দু'লাখ টাকা ব্যাংক লোনও জুটেনা, ম্যানেজার তাড়িয়ে দেয়। অগত্যা ভাবে, শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার একটাই সুযোগ, কোনও ধনীর দুলালি বিয়ে করে ফেলা! এমন এক প্র্বতিবেশীনিকে তারা পেয়েও যায়। এরপর শুরুহয় তাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টায় নানান কান্ড কারখানা। প্রতিযোগী চার জন, পাত্রী এক! এভেবেই মজার সব ঘটনাপ্রবাহে এগিয়ে যেতে থাকে গল্প। আমার রেটিং ৭।
৭) ধামাল- Dhamaal(2007):
ঘটনার মূলে ১০ কোটি টাকা। যা আছে গোয়াতে, একটা পার্কের কোথাও লুকানো। এর সন্ধান পায় চার বন্ধু। টাকা উদ্ধারের অভিযানে নেমে পড়ে চারজন গোয়ার পথে। এটা জেনে ফেলে পুলিশ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় দত্ত। সবারই চায় টাকা। কিন্তু গোয়া যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। সেখানে যেতে যেতে পথে ঘটে মজার সব ঘটনা। পথে জুটে যায় ডাকাত বাবু ভাই। তারও টাকা চায়!
প্রাণখুলে হাসার জন্য এরকম একটা সিনেমাই যথেষ্ট। আমার রেটিং ১০ এ ৮।
৮) অল দা বেস্টঃ ফান বিগেনস- All the Best: Fun Begins(2009):
দুই বন্ধু; অজয় দেবগান, ফারদিন খান, দ্রুত বড়লোক হবার জন্য একটা কার রেসের জুয়া খেলে এবং হেরে যায়। উলটা আরও মিলিয়ন রুপির ঋন চেপে বসে ঘাড়ে। এদিকে বড়ভাই সঞ্জয় দত্ত এসে হাজির। ঘটনাচক্রে দুই বন্ধুর প্রেমিকা অদল বদল হয়ে যায়। এরকম লুকোচুরি, সাথে টুকটাক মজার ঘটনা। আমার রেটিং ৬।
৯) নো এন্ট্রি- No Entry(2005):
শুধুই হাসি। একটা ছোট মিথ্যা, সত্য গোপন, সেটার পক্ষে আরেকটা মিথ্যা, সেটার সত্যতা প্রমাণে আরেকটা। লুকোচুরি, ক্রসকানেকশন, স্বামী অদল-বদল, বউ অদল-বদল, শ্যালক-দুলাভাই অদল বদল। পুরোটাই রসের হাঁড়ি। যদিও অভিনেতারা কমেডিয়ান হিসেবে সেভাবে পরিচিত নন। সালমান খান, ফারদিন খান, অনীল কাপুর। আমার রেটিং ১০ এ ৭।
১০) মেরে বাপ পেহলে আপ-Mere Baap Pehle Aap(2008):
ছেলে(অক্ষয় খান্না), বাপ(পরেশ রাওয়াল), বাপ-বেটার সংসার।
আর আছে বাপের বখাটে বন্ধু(ওম পুরি)।
বাপ শাসন করবে ছেলেকে, নাকি ছেলে বাপকে?! ছেলের ভয়ে বাপ লুকিয়ে ফোন কল, ছেলের চোখ ফাঁকি দিয়ে বখাটে বন্ধুর সাথে কলেজে গিয়ে পাত্রী দেখা এবং হাতেনাতে ধরা পড়া, এরকম অনেক মজার, আবার একই সাথে টাচি কিছু ঘটনার সাথে এগিয়ে চলে সিনেমার গল্প। আমার রেটিং ১০ এ ৮।