এক লোক তার ছেলেকে নিয়ে জ্যোতিষের কাছে গেল ছেলে ভবিষ্যতে কী হবে তা জানতে। জ্যোতিষ অনেকণ চিন্তা ভাবনা করার পর তার সামনে একটি বাইবেল, কিছু টাকা, একটি পরচুলা, একটি বই, একটি কলম ও একটি বোতল রেখে দিয়ে ছেলেটিকে সেখান থেকে বেছে নিতে বলল। জ্যোতিষের ধারণা ছিল-ছেলে যদি বাইবেল বেছে নেয় তবে ধর্মযাজক, টাকা বেছে নিলে ব্যবসায়ী, পরচুলা বেছে নিলে বিচারক কিংবা অভিনেতা, কলম বেছে নিলে লেখক, বোতল বেছে নিলে সে মদ্যপ হবে।
ছেলেটি জ্যোতিষের নির্দেশ পাবার পর পরচুলাটি মাথায় পড়ল। টাকাটা নিল মানিব্যাগে, কলমটা পকেটে, একহাতে বাইবেল ও বই এবং অন্যহাতে নিল মদের বোতল।
ছেলের সব কিছু বেছে নেবার এ প্রবণতা দেখে ভবিষ্যতে সে কী হবে তা বলা মুস্কিল হয়ে দাড়াল জ্যোতিষের পক্ষে। অবশেষে আরো কয়েকজন জ্যোতিষের সাথে আলোচনা করে জানা গেল সে ভবিষ্যতে একজন রাজনীতিবিদ হবে।
2.
ইরাক যুদ্ধ শুরু হবার পর চারিদিকে যখন বুশকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হল। তখন তিনি বুঝতে পারলেন বেশ কিছুদিন ধরেই তার ব্রেইনটা ঠিকমত কাজ করছেনা। কিন্তু মান সম্মানের ব্যপারটা চিন্তা করে আর ঘটনাটা কাউকে বলেননি। কিন্তু অবশেষে আর ধৈযর্্য ধরে রাখতে না পেরে শরনাপন্ন হলেন বাংলাদেশী ডাক্তার ড. রহমানের।
ড. রহমান বেশ কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা সম্পন্নকরতে বললেন বুশকে। বুশ যদিও জানতেন ড. রহমানের এগুলো টাকা কামানোর একটি অশুভ পায়তারা ছাড়া আর কিছুই না। তারপরও কিছু বলতে পারলেন না। তাকে ক্লিনিকে গিয়ে পয়সা খরচ করে সেগুলো করতেই হলো। যদিও তাতে তার মাত্র কয়েক ডলারই খরচ হলো।
রিপোর্ট দেখার পর ড. রহমান বুশকে বললেন
: মিঃ বুশ, আপনার সমস্যাটা আসলে লেফট আর রাইটের!
: লেফট-রাইটের সমস্যা! মানে?
: আসলে আপনার ব্রেইনটা লেফট আর রাইট এ দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।
: আরে মিয়া, আপনেতো ডাক্তারের কোন জাতেই পড়েননা। মানুষের ব্রেনতো দুইভাগেই বিভক্ত!
: রাগ করবেন না। মানুষের ব্রেন দু ভাগে বিভক্ত সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আপনার সমস্যাটা
অন্য জায়গায়!
: দ্রুত সমস্যাটা বলে ফেলুন। আমি আর ধৈযর্্য ধরতে পারছিনা।
: আপনার ব্রেইনের লেফট (বাম) সাইডে কোন কিছু রাইট (সঠিক) নেই। অন্যদিকে আপনার ব্রেইনের রাইট(ডান) সাইটে কোন কিছু লেফট( অবশিষ্ট) নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০