ইতিহাস সাক্ষী 1921 সালে অনেক ঘাত প্রতিঘাতের পর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। তারপর থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দেশের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভুমিকা রেখে এসেছে। 1947-48, 1952, 1966, 1971, 1980-90 সালের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই দিয়েছে।
তারপরও কেন এ বিশ্ববিদ্যালয় এ নেতিবাচক নামে ভুষিত হলো বারবার এবং এখনো হচ্ছে? আজ রাস্তাঘাটে চলতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এ কথা শুনলে অনেকেই-ও তুমি শাস্তানদের আখড়ায় পড়, রাজণীতির আখড়ায় পড়, তো লেখাপড়া কিছু করতো নাকি?-এসব কথা বলে। এসব কথা আমার শুনতে ভাল লাগেনা। তারপরও শুনতে হয়। কিন্তু কেন গুটিকতক সন্ত্রাসী আর চাদাবাজির কারনে আমাকেও এ কথা শুনতে হবে? কেউ কি এর জবাব দিতে পারবেন? পারবেন না।
আমিতো কোন নেতিবাচক বিশেষণে পরিচিত কোন ক্যাম্পাসে পড়তে চাইনি কিংবা আসিনি। ভালো ফলাফল করেই একদিন এ ক্যাম্পাসে পা রেখেছিলাম। আজ প্রায় সাড়ে ছয় বছর অতিক্রান্ত হলেও এখান থেকে পাশ করে সামনে এগোতে পারিনি। গত জুন মাস পর্যন্ত কেন আমাকে এসএসসি এবং এইচএসসির সার্টিফিকেটগুলোই আগলে রাখতে হয়েছে? প্রায় দেড় বছর ধরে এমবিএ নামক একটি সার্টিফিকেটের জন্য কেন আমাকে এখনো এখানে পড়ে থাকতে হচ্ছে? প্রতিদিন কেন আমাকে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে? জানি কারো কোন জবাব নেই। তাই এবার আমিই আমার অভিজ্ঞতা থেকে জবাব দিয়ে যাব।
এখন যারা এখানে পড়ছি কিংবা ভবিষ্যতে যারা এখানে পড়তে আসবে তাদের জন্যই আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলি নামক ধারাবাহিক এ আয়োজন। জানি অনেকেরই এ ব্যপারটা ভালো লাগবেনা, অনেকেরই ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত লাগবে। তারপরও আমি সত্যটাই বলে যাব। বলে যাব কিভাবে আমাদেরকে পিটিয়ে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, বলে যাব কিভাবে আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে অন্যায় করতে বাধ্য করা হয়েছে, আমি বলে যাব শিক্ষকরা কিভাবে ছাত্রছাত্রীদেরকে রাজণীতির ছত্রছায়ায়য় বাস করতে বাধ্য করেছে। আমি লিকতে চাই কিভাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা গুটিকতক ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীর কাছে বারবার জিম্মি হয়ে থেকেছে কিংবা থাকছে।
যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি কোনদিন তাদেরকে আমি জানাতে চাই আমার তীক্ত অভিজ্ঞতার কিছু কাহিনী। আশা করি কেউ না কেউ আমার সাথে থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০