স্বপ্নের পানকৌড়ির পায়ে পায়ে হেঁটে যাই
আলপনা এঁকে, আলগোছে কুঁড়াই
গ্রাম্য পথ-ঘাট-মাঠ আর তমাল ফলের
অহেতুক ক্ষণকাল। এক সরিষাবনের
হলুদ কিশালয় বুনে, চোখপানে চেয়ে দেখা
অতীতফসিল। বুকপকেটে মাছের
আঁধার রেখে ভুলে গেছি বর্শির ধারালো আঘাত।
বিপরীত বিম্বে তাই
ফিরে আসি শেষ কড়ির টানে। এখনও উজানে
ফিরে আসে হাটের দোকানী, হাতে রেশমিচূড়ি।
বৃদ্ধরা গেয়ে ওঠে অতীতপুঁথি, বুনোঔষুধের গুনাগুন
আর রোজকার যন্ত্রণার জট খুলে কুঁজো হয় নিয়ত।
অলীক আলোয় রাতের আলেয়া;
বিলধার জলাশয়ে নড়ে ওঠাশব্দে তড়িৎ
বিড়ির আগুনে পড়ে নেয় মাছের ধরণ।
এখনও যাপন বাকী, জনপদে শূন্য আঁখি
নোঙর ফেলেছো কবেই, পান্থপথিক।