টুই টুই। টুই টুই।
এসএমএস এর শব্দ।
বীরের কাছে কেউ এসএমএস করে না। একমাত্র জিপি বাদে। এটাও তাই হবে। জিপির এসএমএস নগদে ডিলিট। ডিলিট করতে যাবে এমন সময় হাত থমকে যায় বীরের। পুষ্পের এসএমএস। এই মেয়ে তো কোন দিন তাকে টেক্সট করে না। আজ কী কোন সমস্যা হল।
কবিতা? পুষ্পের কবিতা?!
.
ম্যসেজ পড়া শেষ হতে না হতেই পুষ্পের ফোন। এই ছেলে উপরে তাকাও।
বীর বেশ অবাক হয়েই উপরে তাকায়।
পুষ্প অনেক আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করে। কী দেখা যায়?
বীর এর নিস্পাপ উত্তর মাকড়সার জাল ভর্তি পুরাতন ছাদ।
পুষ্প আকাশ থেকে পড়ে। মানে কী?
এ্য ইয়ে পুষ্প, আমি তো জমি রেজিস্ত্রি করার জন্য সাভার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বসে আছি। উপরে ওই ছাদই আছে। তবে, তোমার কবিতা দেখলাম। বের হয়েই আমার প্রথম কাজ হবে আকাশ দেখা। ওকে?
ঠিক আছে। আকাশ দেখার সময় আমাকে কল দিও। পুষ্পের অভিমানী জবাব।
.
আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বীর পুস্পকে ফোন দেয়।
পুষ্প, আকাশ দেখছি। এবার বল।
পুষ্পের মনে হয় বিশ্বাস হল না, বীরের কথা। সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে। আসলেই?
বীর আবার ডিজিটাল মানুষ। ঘ্যচ ঘ্যাচ করে গোটা পাচেক আকাশের ছবি তুলে ফেলে।
শোন পুষ্প, ছবি তুলে ফেলেছি। এখন তোমাকে মেইল করছি। ছবির ডিটেইলসে গিয়ে দেখ। ছবির তোলার সময়, ডেট এখনকার সময়ের সাথে মিলে কিনা।
এই মেয়ে কেন যে বীরের উপর আস্থা বা বিশ্বাস রাখতে পারছে না, আল্লাহ মালুম।
পুষ্প শোন, তোমার কবিতাও মুখস্ত করে ফেলেছি।
শুনবে।
হু (পুষ্পের বিখ্যাত হু)
.
"হটাৎ করে আকাশ পানে চাইলাম,
নীল আকাশ সাদা মেঘে ঢাকা।
চারিপাশে চেয়ে দেখি,
সব যেন ঝকমকে শিশির ভেজা।
প্রকৃতির কী এক অদ্ভুত রূপ খেলা,
এরই নাম কী ......."
.
এবারও সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে, আসলেই মুখস্ত বললা?
বি.দ্রঃ হে বীর, দুঃখ পেও না। পুষ্পের আস্থা, বিশ্বাস আর বেশী দূরে নয়।