শাড়ীঃ পর্ব ১।
পুষ্পের আলমারিতে অনেক শাড়ী। নীল সুতি, আকাশী জর্জেট, হলকা গোলাপী বালুচুড়ি, মিরপুর থেকে কেনা জামদানি, নানুর দেওয়া কাতান শাড়ী অথবা গাঢ় বেগুণী মনিপুরি। কী নেই তার কাছে। প্রথম শাড়ী সে পড়ে ক্লাস এইটে থাকতে। তার মা কিনে দিয়েছিল সেটা। রং ছিল কালচে নীল। সেই শাড়ী আর পড়া হয় নাই। কিন্তু সেই শাড়ীটাই তার সবচেয়ে প্রিয়। সে ঠিক করে রেখেছে এই শাড়ী সে কোন দিন পড়বে না। যত্ন করে প্রতিদিন হাত বুলায়। হাজার হোক প্রথম শাড়ী।
আজ সে শাড়ী পড়েছে। কিন্তু সমস্যা হল। শাড়ী পড়ার পর থেকে তার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। চোখ ঝলসে যাচ্ছে। অপূর্ব রপবতী এক দেবীর মতন লাগছে তাকে।
পুষ্প অস্থির হয়ে আছে। চারদিকের সব মানুষগুলো যখনই তাকে অতিক্রম করছে, তখনি তার আপাদমস্তক ফ্যাল ফ্যাল করে দেখে নিচ্ছে। মানুষগুলো এমন কেন?
শখ করে আজ অনেক দিন পর সে শাড়ী পড়েছে। কোথায় ভাল লাগা স্পর্শ করবে, তা না হয়ে কি সব হচ্ছে। লজ্জায় সে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ছে। ব্যাগে কালো চাদর আছে। টুক করে চোখের পলকে শরীর টা নিমেষে ঢেকে ফেললো। এখন বেশ শান্তি পাচ্ছে। যেন নিজেকে কোন দুর্গের ভিতরে নিয়ে এসেছে। কারো পক্ষে এই দুর্গে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। সে নিজেই এই দুর্গের রাজা, মন্ত্রী, সেনাপতি, সৈন্য। সব, সব কিছু।
পুস্পকে বলিঃ
ওরা সব দুষ্টু নষ্ট লোক
এদিক ওদিক চায় কেন তাদের ঐ দস্যি চোখ
চোখের কী দোষ, না দেখেই বা করবে কী
দৃষ্টিটাকে সেনসর করার জানে না যে পদ্ধতি।
টু বি কন্টিনিউড।