somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিম্ভুত সেই ভূত (ছোটো গল্প)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"কিম্ভূত সেই ভূত"


দুপুর থেকেই অবিশ্রাম বৃষ্টি শুরু হয়েছে, থামার কোনও লক্ষণ নেই। ওদিকে দুপুরের খাবারও ভক্ষণ করা হয় নি মুহিনের। বৃষ্টির তোড়ে সে বেরোতেই পারে নি ঘর ছেড়ে। আর অপেক্ষা করা সমীচীন মনে হলো না তার। কারণ পেটের মধ্যে চিনচিন শুরু হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সুদূর চীন দেশেও চলে যাওয়া যায়, আর মনা মিয়ার হোটেল তো কোন ছার! আপাতত মাথায় একটা গামছা পেঁচিয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে এসে গলা ছেড়ে একটা গান ধরল মুহিন _আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে .....।
তা দিনটা বাঁদরের মতোই বিদঘুঁটে বটে। বাইরে পশুপাখি তো দূরের কথা _মানুষেরও ছায়া দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য রোদই নেই আকাশে , তাই ছায়া দেখারও প্রশ্ন আসছে না। তবে ছায়া না থাক, চারদিকে একটা মায়া-মায়া ভাব ঠিকই আছে।বাড়ির পিছনের বাগানটা পেরিয়ে এসে আরও একটা গান ধরতে যাচ্ছিল মুহিন, কিন্তু হঠাৎ করে কাছেপিঠে কোথায় যেন দড়াম করে বাজ পড়ল একটা _মনে হলো বাড়ির পিছনের আম -বাগানটাতেই।বাব্বা! আর একটু হলেই গেছিল সে! না, মনা মিয়ার হোটেলে নয় _যমালয়ে।
সাত -পাঁচ চিন্তা বাদ দিয়ে আপাতত রাস্তা দিয়ে জোরে পা চালাল সে। তারপর দু মিনিটেই বাজারের পশ্চিমে মনা মিয়ার হোটেলে হাজির হলো। লোকজন নেই, বসে বসে ঝিমুচ্ছিল মনা মিয়া ,একটা হাঁক দিতেই ধড়মড় করে উঠে বসে বলল _বাব্বা! হার্টটা ধড়ফড় করে উঠেছে, একটু আস্তে ডাক দেওয়া যায় না?
_ওসব আমার আসে না,মুহিন বলল।তা, খাবার -দাবার কিছু আছে নাকি?
_খাবার আছে, কিন্তু দাবার কথা আসছে কেন? দাবা খেলতে হলে ওই রুস্তম বুড়োর দোকানে যাও,বলে বেশ একটা রসিকতা হয়েছে ভেবে হো হো করে হেসে উঠল। তারপর চেয়ার ছেড়ে উঠে খাবার নিয়ে এল। ধোঁয়া-ওঠা গরম ভাত, চাক -চাক করে কাটা বেগুন ভাজি, মুরগির গোশত আর ডাল। গোগ্রাসে গিলতে লাগল মুহিন, সে দিকে তাকিয়ে মনা মিয়া বলল_চাচারা ফিরবে কবে?
ডাল দিয়ে জুৎ করে ভাত মেখে কোৎ করে গিলে নিয়ে মুহিন বলল _হপ্তা তিনেক পরে।মা আসবে আরও এক সপ্তা পর,মামার বিয়ের সব ঝামেলা চুকে গেলে।সে কদিন তোমার হোটেলেই খাব।
মনা মিয়া মিচকি হেসে বলল _সারা জীবন তো বাপের হোটেলেই খেলে! তা, এবার আমার হোটেলেই খেয়ে দেখ, কেমন লাগে।
হাত ধুতে ধুতে মুহিন বলল _মন্দ না!

হোটেল থেকে বের হয়ে আধ -ভেজা হয়ে বাড়ির পথ ধরল মুহিন। বাড়ির পিছনের আম বাগানে যখন ঢুকেছে বৃষ্টিটা তখন আরও একটু ঝেঁপে এল। কেঁপে উঠে আরও জোরে পা চালাল মুহিন। তবে, পা চালানো বোধহয় একটু বেশি জোরেই হয়ে গেছিল_পা পিছলে ধড়াম করে পড়ল রাস্তায়। সে ধড়াম করে পড়ল, না কি পড়ে ধড়াম করল সেটা অবশ্য গবেষণার বিষয়, কিন্তু পড়ার চোটে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল _বাবারে!
_তোমার বাবা তো গেছে তোমার মামাবাড়ি!_মোটামুটি অস্ফুট একটা শব্দ মুহিনের কানের ফুটোয় পৌঁছাল। কিন্তু চতুর্দিকের ছায়া -ছায়া অন্ধকারে তাকিয়ে কাউকে দেখা গেল না। মুহিনের তো ভয়ে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা! তবে একটু আগের খাওয়াটা বেশি হয়ে গেছে বলে পেটে তার ভিরমি খাওয়ার মতো জায়গা নেই বটে, তবু সে ভয়ের চোটে খাবি খেতে লাগল_ভূ _ভূ_ভূ_উত....। তারপর আস্তে আস্তে সামলে নিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল _কে?
যেন গায়েব থেকেই আগের মতো আওয়াজ এল _আমি।
_আমি?
_আহ হা! তুমি হতে যাবে কেন? আমি। ভূত নই _এলিয়েন।
_কিন্তু, আপনাকে ...মানে, তোমাকে দেখা যাচ্ছে না কেন?
_দেখার মুরোদ কি আর সবার আছে? বলতে বলতেই তাগড়া এক মরদ মুহিনের সামনে যেন হাওয়া থেকেই হাজির হলো।মরদের মুরোদ দেখে মুহিন তো হা!
মুহিনকে হ্যাঁচকা টানে দাঁড় করিয়ে দিয়ে মরদ বলল _ইয়ে ,ভয়টয় পেয়েছে নাকি? লোকটা, মানে এলিয়েনটা ভূত নয় দেখে মুহিন খেঁকিয়ে উঠল _এ্যা! ভয় না, গুপ্তধন পেয়েছি! গুল মারার আর জায়গা পাওনা, না? এলিয়েন সেজে ভয় দেখানো হচ্ছে? বলতে বলতেই মুহিন দেখল এলিয়েন তার ডান হাতটা মুহিনের সামনে মেলে ধরেছে। সেই হাতে ... না, বন্দুক পিস্তল নয়, দশ -দশটা আঙুল! দশ আঙুলের দশা দেখে
আবার ভিরমি খেতে গিয়েও মুহিন সামলে নিল। তারপর সামনে তাকিয়ে বলল _আচ্ছা, না হয় তুমি এলিয়েনই হলে ..
এলিয়েন তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল_না -হয় আবার কী হে? আমি তো আসলেই এলিয়েন।
_আচ্ছা, আসলেই-এলিয়েনই না হয় হলে, তা, আসলেই-এলিয়েন তুমি বাংলায় কথা বলছ কেন?
_দেখ, আমাদের গ্রহের মানুষ মোটামুটি তোমাদের মতোই দেখতে _সে তো আমাকে দেখেই বুঝতে পারছ। তা, চেহারায় যদি একরকম হই, তবে ভাষাতেও এক রকম হলে সমস্যা কোথায়?
_অ! তা, আসলেই -এলিয়েন, হঠাৎ তোমার পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য কী? কী হেতু এসেছ তুমি কহ বিস্তারিয়া।
এলিয়েন মুখটা ব্যাজার করে বলল _আর বলো না ভায়া। যাচ্ছিলাম বাজার করতে..থুড়ি, গবেষণা করতে নেপচুনে ...
_চুন কিনতে নাকি?
_আরে না। তা হয়েছে কি, তোমাদের পৃথিবীর কাছে আসতেই মহাকাশযানের ইঞ্জিনে দড়াম করে একটা আওয়াজ,জ্বালানিতে বোধহয় ভেজাল ছিল। তা, যাইহোক আওয়াজের পরে গোত্তা খেয়ে সোজা তোমাদের বাংলাদেশে। তা, ইঞ্জিন মেরামত হয়ে গেছে। তবে ইস্টার্ট নিচ্ছে না। তুমি একটু ঠেলে দেবে ভায়া?
মহাকাশযানের ইঞ্জিন যে আবার ঠেলা দিয়ে স্টার্ট দিতে হয়, সেটা শুনে মুহিনের চোখ কপালে উঠে গেল। কপাল থেকে চোখ দুটো নামিয়ে নিয়ে মুহিন বলল _সে দেখা যাবে খন। এদ্দুর গ্রহ থেকে এসেছ, একটু চা -নাস্তা না খেয়েই চলে যাবে? নাস্তার কথা শুনে আসলেই -এলিয়েন বোধহয় একটু নাস্তানাবুদই হয়ে গেল, হে -হে করে বলল _চলো! চলো!
গা -টা মুছে, চা -নাস্তা খেয়ে আসলেই-এলিয়েন মুহিনের মুখোমুখি বসল। মুহিন জিজ্ঞেস করল _তোমার মহাকাশ না হুপিংকাশ-যান এখন কোথায়?
_ওই তো, তোমাদের আম -বাগানের পশ্চিম কোণে রাখা আছে। ওখানেই এসে পড়েছিলাম কি না!
_ও! আমি তো ভেবেছিলাম বুঝি কাছে -পিঠে কোনও বাজটাজ পড়েছে ।
_পিঠে পড়লে আর এতক্ষণ দেখতে হতো না। যাক গে,এখন চলো, মহাকাশযানটা ইট্টু ঠেলা দিয়ে দেবে।
_কিন্তু ও জিনিস কেউ দেখে ফেলে নি তো?
_আরে না, ওটাকে অদৃশ্য করে রেখেছি, কেউ দেখতে পাবে না।
_আচ্ছা! ঠেলা দিতে পারি, কিন্তু বিনিময়ে আমাকে কী দেবে?
আসলেই-এলিয়েন অবাক হয়ে বলল সামান্য ঠেলা দেওয়ার বদলে তোমাকেও আবার কিছু দিতে হবে নাকি? আচ্ছা, তোমাকে তবে একটা থাপ্পড়ই দেব না হয়।
_ইয়ার্কি না,দেবে বলো?
_কি চাও তুমি? আইপড? ল্যাপটপ?
_উঁহু! প্রশ্ন!
_প্রশ্ন?
_হ্যাঁ, প্রশ্ন। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন। মাস খানেক পরেই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। এইজন্যেই তো মামার বিয়েতেও যেতে পারলাম না!
_শুধু যেতে না, খেতেও তো পারলে না।
_সে যাকগে! প্রশ্ন দিতে পারবে না তুমি এনে?
আসলেই-এলিয়েন একটু চিন্তিত হয়ে বলল _চেষ্টা করলে দেওয়া অসম্ভব না। কিন্তু, সেটা তো অবৈধ কাজ হবে।
_অবৈধ হোক! কিন্তু কাজ তো বটে! কাজ না বলে কাজের কাজ বলাই বোধহয় ভালো!
_না হে! এতে তোমারই ক্ষতি হবে। চান্স পেলেও তুমি কিন্তু মনে মনে নিজের কাছেই ছোট হয়ে থাকবে! সবসময় একটা অপরাধবোধ কাজ করবে, তারচেয়ে পরিশ্রম করো, তোমাকে তুমি আবিষ্কার করো। মনো...
মুহিন তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল _তোমার ভ্যাদর ভ্যাদর শুনতে চাচ্ছি নে আমি। দেবে কি না বলো। নইলে তোমার মহাকাশযান তুমিই ঠেলো গে!
উপায় না দেখে আসলেই-এলিয়েন রাজি হয়ে গেল। তারপর উবে গেল বাতাসে। আধাঘন্টা পর আবার কোত্থেকে উদয় হয়ে এসে বলল _প্রশ্ন আজই করা শেষ হয়েছে। এই নাও। বাব্বা! আরেকটু হলেই ধরা খেয়ে গিয়েছিলাম আর কি! সামান্য একটু ঠেলা দিয়ে নেওয়ার জন্য কি ঠেলাটাই না আমার উপর দিয়ে গেল! তারচে বাপু, কাউকে একটু ভয় দেখিয়ে ঠেলা দিয়ে নিলেই পারতাম। নেহাত তোমার উপর মায়া পড়ে গেছে বলে!আর ওই চা -বিস্কুটটা...
মুহিন কটমট করে এলিয়েনের দিকে চেয়ে প্রশ্নটা পকেটে পুরে ফেলল! তারপর আসলেই -এলিয়েনের সাথে আম -বাগানের পশ্চিম কোণের দিকে হাটা দিল। অবশ্য আসলেই -এলিয়েনকে আর কিছুদিন পৃথিবীতে থাকার অনুরোধ সে করেছিল। কিন্তু এলিয়েন রাজি হলো না, খোঁচা দিয়ে বলল _তোমার অবৈধ পরীক্ষার রেজাল্ট আগে বেরোক! ভালো রেজাল্ট হলে আবার না হয় আসা যাবে!

আসলেই -এলিয়েনের মহাকাশযানটা আসলেই দেখার মতো। তুলনা হয় না তার। তুলোর মতো হালকা কোনও ধাতু দিয়ে বানানো। তবে যত ভালোই বানানো হোক, পাশের দিকে এমন একটা চোট সেটা খেয়েছে যে, মনে হচ্ছে কেউ সেটাকে আচ্ছা করে বানিয়েছে। ওটার কমলা রঙের জানালার কাচ সরিয়ে আসলেই -এলিয়েন কী একটা সুইচ টিপে দিল। ভিতরে কোমল একটা কমলা রঙ ছড়িয়ে পড়ল। সন্তুষ্ট হয়ে এলিয়েন মুহিনের দিকে তাকিয়ে বলল _এস বাপু! আমার সাথে এবার একটু হাত লাগাও।
মারো জোয়ান হেঁইয়ো ,জোর হলো না হেঁইয়ো ,আরও জোরে হেঁইয়ো _বলে ঠেলতে ঠেলতে মুহিনের হাত যখন অবশ হয়ে গেছে, অর্থাৎ মুহিন যখন প্রায় হাতহীনই হয়ে পড়েছ আর এলিয়েন যখন প্রায় এলিয়েই পড়েছে তখন মহাকাশযান খকখক করে কেশে উঠে স্টার্ট নিয়ে ফেলল! আর কি ধোঁয়া! অবশ্য ধোঁয়ার রঙ কালচে নয় _কমলা রঙের!
শেষমেষ আসলেই এলিয়েন তার দশ -আঙুলে হাত দিয়ে হ্যান্ডশেক করে একটু কান্না -কান্না ভাব নিয়ে মহাকাশযানে উঠে পড়ল। তারপর দড়াম করে বিকট একটা শব্দ করে সেটা চোঁ চোঁ উপরে উঠে নিমেষে হারিয়ে গেল অন্তরীক্ষে।
মুহিন আকাশের দিকে তখনও তাকিয়ে ছিল, কে যেন বুড়োটে খোনা গলায় বলল _যাচ্চলে! এলিয়েনটা তবে চলে গেল বুঝি!
কথাটা কে বলল, তাকিয়ে দেখতে গিয়ে মুহিন আবার একটা ধাক্কা খেল। কারণ তার সামনেই একজন বুড়োগোছের লোক হাওয়ায় ভেসে আছে। ভূ _উ _উ_ত বলে চোখ উল্টে পড়ে যেতে গিয়েও মুহিন আবার সামলে নিল। কারণ বুড়োটে ভূতটা ততক্ষণে বেমালুম উবে গেছে।
চোঁ চোঁ এক দৌড়ে মুহিন সেখান থেকে ঘরে এসে দরজা এঁটে হাফাতে লাগল। তারপর একটু ধাতস্হ হয়ে পকেট থেকে প্রশ্নটা বের করে ফেলল _ভালোই একটা দাও মারা গেছে। কিন্তু ভাঁজ খুলে প্রশ্নটা মেলে ধরতেই হতভম্ব হয়ে গেল মুহিন। প্রশ্নটা আগাগোড়া কী এক বিদঘুটে ভাষায় লেখা! কেবল একদম শেষে বাংলায় লেখা আছে _"বিনি শ্রমে মাগনা চান্স তো আর ছেলের হাতের মোয়া, বা ভূতের দাঁতের ধোঁয়া নয় যে, চাইলেই পাবে। আগাগোড়া হিব্রুতে লিখে দিয়েছি। কষ্ট করে অনুবাদ করে নিও। "
খানিকক্ষণ থ মেরে বসে থেকে মুহিন হঠাৎ লাফিয়ে উঠল _ইউরেকা! গুগল ট্রান্সলেট!
কিন্তু তাতেও যে খুব একটা লাভ হলো তা নয় _ইংরেজি থেকে বাংলাই ঠিকমতো অনুবাদ হয় না ,তায় আবার হিব্রু!
অবশেষে নেট ঘেঁটে "পৌনে উনিশ দিনে হিব্রু শিখুন " টাইপের একটা বাঘা সাইজের বই নামিয়ে ফেলল মুহিন। তারপর সেটার পিছনে (পিছনে না বলে সামনে বলাই ভালো) সুপার গ্লুর মতো লেগে রইল দশ-দশটা দিন। প্রচণ্ড পরিশ্রম করে সে যখন পুরোটা বাংলাতে অনুবাদ করে বরবাদ করে ফেলল তখন সে অবাক হয়ে লক্ষ করল _হিব্রু সে ভালোই শিখে ফেলেছে! তারপরই সে যা করল সেটা অকল্পনীয়! একটানে প্রশ্নপত্রটা দু টুকরো করে আরো কয়েক টানে সেটা ফালাফালা করে ফেলল _দশদিনে সে যদি হিব্রু শিখতে পারে, তবে বাকি বিশ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সামান্য একটা চান্স পেতে পারবে না?
তারপর যা হল, সেটা কোনও পাতিহাঁস নয়, হাতি -হাঁস নয়, চিতি হাঁস নয় _সেটা একটা ইতিহাস! হ্যাঁ, ইতিহাস!
রেকর্ড মার্ক পেয়ে ভর্তি পরীক্ষাতে ফার্স্ট হয়েছিল মুহিন।

খুশিতে হুঁশই হারিয়ে ফেলেছিল তার মা -বাপ। তবে রেজাল্ট ভালো হলে আসলেই_এলিয়েনের আরও একবার আসার কথা ছিল।
আমার জানা নেই সে এসেছিল কি না _তবে তার হুপিংকাশ, থুড়ি, মহাকাশ -যান আরও কয়েক বার পৃথিবীর বাতাসে কেশেছিল, মুহিনদের আম -বাগানে ভেসে ছিল, সেটা বাগানের পশ্চিম -কোণ ঘেঁষে ছিল ;আর পত্রিকায় যখন মুহিনের ছবি এসেছিল, তখন তার পাশে কে সে ছিল?
কে ছিল, আমি জানি নে, তবে যে ছিল তাঁর হাতে যে দশটা করে আঙুল তা একটু খেয়াল করলেই যে -কারও চোখে পড়ার কথা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×