বৃহত্তম সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নিকটস্থ গাছবাড়ী এলাকায় নাজুওয়া নামক মেয়েকে তার সৎ মা খুন করেছে।
নাজুওয়ার পিতা বিলাল আহমদ তার মাকে প্রথম বিবাহ করে, পরিবর্তিতে পারিবারিক কলহের কারনে তার পিতা মাকে ডিভোর্স প্রদান করে। পরে নাজুওয়ার পিতা বিলাল আহমদ আরেকটি বিবাহ করে। বিলাল আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী নাজুওয়ার সৎ মা প্রথম থেকে নাজুওয়ার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল।নাজুওয়া বোবা হওয়ার কারণে নাজুওয়ার পিতা নাজুওয়ার নামে ব্যাংক ব্যালেন্স এমনকি ফ্লাট দিয়ে দেয়।নাজুওয়ার সৎ মা চেমন নাজুওয়ার ব্যাংক ব্যালেন্স ফ্লাট এইসব নিজের হাতের মোঠায় আনার জন্য নানা পরিকল্পনা করে।নাজুওয়ার পিতা প্রাবাসে থাকায় নাজুওয়ার সৎ মা চেমন সব সময় নাজুওয়া কে নির্যাতন করত।নাজুওয়া বোবা হওয়ায় সৎ মার হাজারও নির্যাতন নীরবে সহ্য করে যেত।নাজুওয়ার ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস হাজারও নির্যাতিত হয়ে অবেশেষে গত 21 মার্চ সকাল 10 টার দিকে নাজুওয়ার সৎ মা চেমন নাজুওয়ার গলায় দড়ি দিয়ে বিদ্যুতিক পাখার সাথে ফাঁস লাগিয়ে নির্মম ভাবে খুন করে।নাজুওয়াকে খুন করার পর নাজুওয়ার সৎ মা মিথ্যা অভিনয় নিয়ে জনসাধারণের কাছে হাজির হয়।শুনতে অবাক লাগে,নাজুওয়ার সৎ মা নাজুওয়াকে খুন করে জনসাধারণ কে বলে,আমার বোবা মেয়েটি বিদ্যুতের স্পর্শে মারা গেছে।নাজুওয়ার মৃত্যুর সংবাদ জনসম্মুখে প্রচার হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ এসে নাজুওয়ার লাশ গ্রহণ করে,ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল মর্গে পাঠায়।ময়না তদন্ততের রিপোর্টে উটে আসে খুন হওয়ার মূল রহস্য।যখন জানাজানি হয়ে যায় নাজুওয়া-কে কার সৎ মা খুন করেছেন,তখন ঘটনাটি দামাচাপা দেয়ার জন্য নাজুওয়ার সৎ মা চেমন নানা পন্থা অবলম্ব করেন।কিন্তু তাতে খুনির রক্ষা মেলেনি। অবশেষে নাজুওয়ার সৎ মা,নাজুওয়ার খুনি চেমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে চেয়ে।আমরা নাজুওয়ার খুনি নাজুওয়ার সৎ মা চেমনের সর্বোচ্ছ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই। আর যেন কোন প্রতিবন্ধী মেয়েকে অকালে না ফিরার দেশে হারিয়ে না যেতে হয়,এটাই আমি প্রত্যাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩