আমার কি কোনো কথা ছিলো?
অপ্রকাশিত কোনো কথা।
অন্তরের অন্তস্থলে রাতের আঁধারে
কে যেন নাড়ে কড়া দরজায়;
ভয় পেয়ে আমি সিটিয়ে যাই,
দরজা খোলার সাহস হারাই।
খুললেই সে ভেতরে ঢুকে
তছনছ করে ছাড়বে সবই,
একি আমার যন্ত্রণারই
এক দুর্বিষহ প্রতিচ্ছবি!
কথা আমার অব্যক্তই রয়ে গেলো ৷৷
আমার কি কোনো কল্পনা ছিলো?
হৃদয়ের গহীন অরণ্যে।
এই দীর্ঘ কর্মবিহীন
মোর পূর্ণ অবকাশে,
হাসির দমকা আওয়াজ
ছুটে বসন্তের বাতাসে।
জানালার পাশে বসে আমি
ভীরু দীর্ঘশ্বাসের শব্দ পাই,
কঠিন সেই বাস্তবতার সামনে
আবার আমি এসে দাঁড়াই।
কল্পনা আমার ভেস্তে গেলো ৷৷
আমার কি কোনো ইচ্ছা ছিলো?
সুপ্ত কোনো ইচ্ছা।
নদীর তীরে একলা বসে
পাড় ভাঙ্গার শব্দ পাই,
মরুভূমির তপ্ত বুকে
চলছি আমি একা একাই।
ধরণীর বুক চিরে
আসে বক্ষফাটা ক্রন্দন,
অনুভব করি অন্তস্থলে
তপ্ত শিখার স্পন্দন।
ইচ্ছা আমার অপূর্ণই রয়ে গেলো ৷৷
আমার কি কোনো দুঃখ ছিলো?
গভীর কোনো দুঃখ।
দুখের সাগর পাড়ি দিতে
পারেই বলো ক’জনা,
সুখ আমায় ধিক্কার দেয়
তাই সহ্য হয় না।
দুঃখে যাদের জীবন গড়া
তাদের আবার দুঃখ কিসের!
সুখ তুমি কি মরীচিকা?
বেদনা যেমন বিষের।
দুঃখ আমার ঘুচলো না ৷৷
আমার কি কোনো গন্তব্য ছিলো?
সোনালী কোনো গন্তব্য।
দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাই,
কড়াঘাত করি দ্বারে;
মরীচিকা বলে এগিয়ে যাও –
গন্তব্য তোমার ওপারে।
এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ
করে কম্পিত পিছুটান,
তারই হাত ধরে এগিয়ে
আসে মৃত্যুর আহবান।
গন্তব্য আমার অজানাই থেকে গেলো ৷৷
© অদ্রি অপূর্ব