অনেক ত্যাগ আর কষ্টে মাখা এই পরবাসী জীবন, আমাদের সাধের প্রবাস জীবন। আর সে কারণেই হয়ত প্রতিটা প্রবাসীর ছোট্ট ধমনীতে বাView this link View this link সা বেঁধে আছে প্রবাস জীবনের হাজারো না বলা গল্প। তাদের হৃদয়ের গহীন কোণে যেন জমাট বেঁধে আছে হাজারো দুঃখ গাঁথা। নিজের ভাষা, সংস্কৃতি, প্রিয় মানুষ আর প্রিয় মাতৃভূমিকে পেছনে ফেলে কেবল নিশ্চিত এক জীবনের আশায় এই প্রবাসীরা ঘুরছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। জীবনকে হাতের তালুতে নিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে তারা পৃথিবীর নানান বন্দরে তাদের জীবনের নৌকাটাকে ভিড়িয়ে দিচ্ছেন। কঠিন সত্য হল, এই যে সাধের সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিতে গিয়ে তাদের জীবন থেকে কত সুন্দরই না অসময়ে ঝরে পড়ে, কত বসন্তই না হারিয়ে যায়! আমরা সেই খবর ক’জন রাখি বলুন? ’আমেরিকানামা’ গ্রন্থটিতে প্রবাসী জীবনের নানারকম গল্প ঠাঁই পেয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে প্রতিটা গল্পের চরিত্র বাস্তব। শুধুমাত্র গোপনীয়তাকে রক্ষা করতে যেয়ে নাম, স্থান, সময় কিঞ্চিত পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন এক জীবনের সন্ধানে বাঙালিরা তাদের আপন নীড় ছেড়ে নতুন আরেক ঠিকানায় ঘর বাধছেন। কিন্তু সত্যি কি এই বাঙালি তাদের প্রিয় মাতৃভূমি থেকে খুব বেশি দূরে যেতে পারছেন? মোটেও না। একজন বাঙালির ছোট্ট ধমনীতে প্রতিনিয়ত মাতৃভমির লাল সবুজের মানচিত্রটা নিত্য ডুকরে ডুকরে কাঁদে। দেশের জন্য প্রাণ আকুল হয়ে থাকে। দেশের ভালো কোনো খবরে বাঙালি যেমন বুক চিতিয়ে আনন্দে মেতে উঠে, ঠিক পাশাপাশি কোনো দুঃসংবাদেও দেশের জন্য কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। ‘আমেরিকানামা’ গ্রন্থটিতে দেশের প্রতি বাঙালির বুক ভরা ভালোবাসার কিছু চিত্র আঁকার চেষ্টা করা হয়েছে।
শেষ কথা হল ‘আমেরিকানামা’ গ্রন্থের লেখাগুলো আমার দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবনের ফসল। বিভিন্ন সময়ে এই লেখাগুলো বাংলাদেশের প্রথম আলো, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এবং নিউইয়র্কের আজকাল, বাংলা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। ভাবলাম লেখাগুলো যদি গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করা যায় তাহলে মন্দ কী? গ্রন্থটির সবকটা গল্প সত্য, বাস্তব। চরিত্রের নাম ধাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে গোপনীয়তার কারণেই।
প্রকাশ করছে সূচিপত্র। প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি।
View this link View this link