বাংলাদেশের আলিম-ওলামা ও কাওমী মাদ্রাসা নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকাও টিভি চ্যানেলে গোয়েবলসীয় কায়দায় জঘন্য মিথ্যা প্রচারণা শুরু হয়েছে। দাড়ি-টুপি ওয়ালাদের পাইকারী হারে টার্গেট করা হচ্ছে। কাওমী মাদ্রাসাকে বলা হচ্ছে জঙ্গিদের নিরাপদ আস্তানা। ইসলামী এন, জি, ও দের চিহ্নিত করা হচ্ছে সন্ত্রাসী লালনে টাকার যোগানদাতা হিসেবে। একথা স্পষ্ট ভাষায় এবং জোর তাগিদের সাথে বলা যায় যে, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সাথে বাংলাদেশের কাওমী মাদ্রাসার কোন ছাত্র-শিক্ষক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জড়িত নয়। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত কোন কাওমী মাদ্রাসায় কোন সময় সামরিক ট্রেনিং প্রদানের ব্যবস্থা ছিল না এবং এখনো নেই। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বি,এন,সি,সি (Bangladesh National Cadet Corp) এর অধীনে যে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, তারও কোন ব্যবস্থা কাওমী মাদ্রাসায় নেই।
বেশ কিছুকাল যাবত লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের ভিতরে-বাইরে একশ্রেনীর সংবাদপত্রের সহায়তায় একটি মহল বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র এবং কাওমী মাদ্রাসাকে জঙ্গি তৈরীর উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে প্রমাণ করার প্রয়াস চালাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম আলো, কালের কন্ঠ, দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক সমকাল ও সাপ্তাহিক ২০০০ এবং ভারতের দৈনিক বর্তমান, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক আনন্দবাজার, The Hindustan Times ও মাসিক দেশ পত্রিকার ভূমিকা এক্ষেত্রে অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব পত্রিকায় সময়ে সময়ে আলিম ওলামাদের ব্যঙ্গ চিত্রসহ কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় অনেকটা Sensation সৃষ্টি করে পত্রিকার কাঠতি বাড়ানোর জন্য। এভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে পীর-মাশায়েখদেরকে এবং আহত করা হচ্ছে ধর্মীয় মূল্যবোধকে। কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিবেদকগণ এ মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছেন।
আজ ২ আগস্ট ২০১১ দৈনিক কালের কন্ঠ তার প্রথম পাতায় ‘হাটহাজারী মাদ্রাসা যেন মিনি ক্যান্টনমেন্ট; অনেক কওমি মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরীর কারখানা’ শীর্ষক একটি কল্পনা নির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয় যে, “সরকারের নীতিমালা আর নজরদারির অভাবে দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কওমি মাদ্রাসার অনেকটিই পরিণত হয়েছে জঙ্গি তৈরির কারখানায়। এসব কারখানায় রয়েছে আধুনিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র। আছেন আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও আরাকানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষকও। জানা গেছে, দেশে রয়েছে ২০ হাজারের মতো কওমি মাদ্রাসা। অধিকাংশ মাদ্রাসাই পার্বত্য ও জঙ্গল এলাকায়। এসব মাদ্রাসায় কারা ছাত্র, তারা কী শিখছে, কারা শেখাচ্ছেন এর কিছুই জানা নেই সরকারের। নিরাপদ আবাসস্থল হচ্ছে দেশের উল্লেযোগ্য কয়েকটি মাদ্রাসা। এগুলোর অধিকাংশই কওমি মাদ্রাসা। চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও লালখানবাজার এলাকার দু’টি মাদ্রাসাকে রীতিমতো জঙ্গিদের দুর্গ বলা চলে। হাটহাজারী এলাকার একটি মাদ্রাসার ভেতর রয়েছে একাধিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র। এমনকি হেলিপ্যাডও আছে সেখানে। এ পর্যন্ত যত জঙ্গি গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই এ মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত।”
‘অধিকাংশ মাদ্রাসাই পার্বত্য ও জঙ্গল এলাকায়। এসব মাদ্রাসায় কারা ছাত্র, তারা কী শিখছে, কারা শেখাচ্ছেন এর কিছুই জানা নেই সরকারের।’ এ তথ্য অসত্য, আজগুবি ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের অধিকাংশ মাদ্রাসাতো সমতলেই অবস্থিত। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে মাদ্রাসাগুলোতো জঙ্গলের মধ্যে হওয়া স্বাভাবিক। ওখানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ক্যন্টনমেন্টগুলোও তো জঙ্গলে। কাওমী মাদ্রাসায় কী পড়ানো হয়, কারা পড়ায়, কারা পড়ে সব তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে। ‘দুর্গ ও হেলিপ্যাড’ এর খবর গোয়েন্দাদের, প্রশাসনের নেই, কেবল কী কালের কন্ঠের আছে ? মনগড়া কোন সিলেবাস এখানে পড়ানো হয় না। বিশ্বখ্যাত ‘দরসে নিজামী’ –এর ভিত্তিতে ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দের শিক্ষাধারায় কাওমী মাদ্রাসার পাঠদান চলে আসছে। মূলত কাওমী মাদ্রাসা সম্পর্কে কালের কন্ঠ-এর প্রতিবেদকের কোন ধারনা নেই। মুরব্বিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছেন মাত্র। এ সব কল্পনানির্ভর রিপোর্ট পড়ে সাধারণ মানুষ হাসে। হলুদ সাংবাদিকতা আর কাকে বলে।
হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা বাংলাদেশের প্রাচীনতম ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠা। দেশের ভেতরে-বাইরে মর্যাদাবান এ প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রী প্রাপ্ত লাখ লাখ ব্যক্তি দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি, মাদ্রাসার দরজা সব সময় খোলা, যে কোন ব্যক্তি যে কোন সময় তা পরিদর্শন করতে পারেন। লেখা পড়া, পঠন-পাঠন ছাড়া এখানে আর কোন কাজ হয় না। হাটহাজারী থানার অনতিদূরে অবস্থিত মাদ্রাসায় প্রশিক্ষক দিয়ে যদি জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তা হলে প্রশাসন তথা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কেন জঙ্গিদের ধরছেন না। এ প্রশ্ন একান্ত স্বাভাবিক।
শতবছর ধরে হাটহাজারী, পটিয়া মাদ্রাসাসহ হাজার হাজার কাওমী মাদ্রাসা এতদঞ্চলে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের শিক্ষাদানের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক, চরিত্রবান, যোগ্য ও আদর্শবান জনগোষ্ঠী তৈরীর মহৎ কাজ আঞ্জাম দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে কাওমী মাদ্রাসার সফলতা বলতে গেলে ঈর্ষণীয়। কাওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, ধর্মীয় মূল্যবোধ, জাতীয় নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গিকারাবদ্ধ। ধর্ম প্রচার, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, সমাজসেবা ও নৈতিক আবহ সৃষ্টিতে কাওমী মাদ্রাসার অবদান সর্বজন স্বীকৃত। সন্ত্রাস, বোমা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণের সাথে এসব মাদ্রাসার দূরতম সম্পর্কও নেই। এসব মাদ্রাসার পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত-সুনিবিড়, নৈতিকতানির্ভর ও রাজনীতিমুক্ত।
স্মর্তব্য, কাওমী মাদ্রাসা তার জন্মলগ্ন থেকে সরকারী প্রভাব বলয় হতে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে জনগণের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হয়ে আসছে। কাওমী মাদ্রাসা মূলতঃ জনগণেরই প্রতিষ্ঠান। জনগণ আতংকিত হয় অথবা জনমত বিভ্রান্ত হয় এমন কাজ সঙ্গতভাবে মাদ্রার ছাত্র-শিক্ষকগণ করতে পারেন না। এসব মাদ্রাসায় ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ছাত্রকে বহিস্কার করার নীতি প্রায় সব কাওমী মাদ্রাসায় কঠোরভাবে বলবৎ রয়েছে বিধিবদ্ধভাবে। ‘ছাত্রনং অধ্যয়নং তপ’ সংস্কৃত এ শ্লোকের বাস্তব প্রমান মেলে কাওমী মাদ্রাসার শিক্ষাধারা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। এহেন মিথ্যাচারের কারণে সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে এবং আসল অপরাধী ও তাদের গড ফাদারগণ পার পেয়ে যাবে।
ইতঃপূর্বে ২০০৪ সালে দৈনিক প্রথম আলোতে ধারাবাহিকভাবে পটিয়া, হাটহাজারী, রামু চাকমারকুল, হ্নীলা দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রসার বিরুদ্ধে মিথ্যা,কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। কাওমী মাদ্রসার ছাত্র-শিক্ষকগণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে ‘প্রথম আলো’ বর্জনের ডাক দিলে মিথ্যাচার সাময়িকভাবে স্থগিত হয়।
সংবাদপত্রের পাঠকদের মনে আছে দৈনিক প্রথম আলো তার প্রথম পাতার দর্শনীয় স্থানে মাঝে মধ্যে কোন কারণ ছাড়াই আলিম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপে। এগুলোর কার্টুনিষ্ট হচ্ছেন শ্রী শিশির ভট্টাচার্য। বাংলাদেশের ওলামা সম্প্রদায় উদার, পরমত সহিষ্ণু ও অসাম্প্রদায়িক। তাঁরা যদি ভারতীয় আর,এস,এস সমর্থিত ব্রাহ্মণদের মত অসহিষ্ণু ও উগ্র মেজাযী হতেন তা হলে বাংলাদেশ হয়ে যেত আরেকটি গুজরাট। শিশির বাবুদের কি দূঃসাহস ও স্পর্ধা! এদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শিশির বাবুদের অবস্থান গ্রহণ ও বিদ্বেষ ছড়ানো জঘন্যতম সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। ভারতের কোন মুসলমান কার্টুনিষ্ট যদি ভারতীয় কোন দৈনিকে ব্রাহ্মণদের ব্যঙ্গ করে কোন কার্টুন অংকন করতো তাহলে চব্বিশ ঘন্টার ভিতরে আর এস এস ও বজরং দলের উগ্রবাদী কর্মীরা কার্টুনিষ্টের হাত ত্রিশুলের আঘাতে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতো। আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে দুর্গাদেবীর চিত্র অঙ্কন করায় বিশ্ব বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হোসেনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বিদেশের মাটিতে সমাহিত হতে হয়েছে।
বাংলাদেশে ছোট-বড় ১৫ হাজার কাওমী মাদ্রাসা রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সর্বশ্রেণীর ওলামা ও মাশায়েখদের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক প্লাট ফরমে জমায়েত হয়ে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ঐক্যের বিকল্প নেই এসত্য যত তাড়াতাড়ি অনুধাবন করা যায় ততই মঙ্গল। অন্যথায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং তাদের এ দেশীয় সংবাদপত্র ও কলামিষ্টদের সম্মিলিত, স্বকল্পিত ও গোয়েবলসীয় প্রচারণায় কাওমী মাদ্রাসা সম্পর্কে দাতাগোষ্ঠী, সরকার ও সাধারণ মানুষের মন বিষিয়ে উঠবে। ফলে কাওমী মাদ্রাসার প্রভাব বলয় সংকোচিত হয়ে আসবে, দ্বীনি শিক্ষা হয়ে পড়বে বাধাগ্রস্থ।
গত ২০০৯ সালের মার্চ মাসের ৩১ তারিখে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর Xian Zhu বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবের নিকট প্রেরিত এক প্রতিবেদনে যে মন্তব্য করেন তা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। এ প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয় এতে বলা হয় বাংলাদেশে কাওমী মাদ্রাসা সমাজ কর্তৃক পরিচালিত এবং তাদের ভূমিকা গঠনমূলক ও সময়োপযোগী। বিদ্যমান কাওমী মাদ্রাসাগুলোর মোট ব্যয়ের ৫৭ ভাগ সমাজের সদস্যগণ ব্যক্তিগত অথবা সমষ্টিগতভাবে বহন করে থাকেন। সরকারী কোন সাহায্য ছাড়াই এসব মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং সিলেবাসে আধুনিক বিষয়াদি সংযোজিত হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মাদ্রাসার ছাত্রদের অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ অভিযোগটিরও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে মহিলাদের মাদ্রাসায় অধ্যয়নের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ নিচে উদ্ধৃত করা গেল-
“Private donations account for 57 per cent of the money spent on running Qoumi Madrassah which confirms the popular beliefs that these types of institutions survive under community patronage and donations from Muslim households and individuals. If the parents only care about whether their child excels in religious studies, then as we point out in the report, Qoumis are doing a good job. Unlike traditional Madrassahs in Pakistan, traditional Madrassahs in Bangladesh seems to have undergone structural changes even in the absence of any state intervention. Some have started to admit girls in recent years in addition to undertaking some modernization of the curriculum it reads. Increase of Madrassahs graduates in Bangladesh Army is unfounded. Qoumi Madrassahs in Bangladesh are also becoming increasingly feminized.”
কাওমী মাদ্রাসার উপর সরকারের কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ ধর্মপ্রাণ জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা ঐতিহ্যসমৃদ্ধ একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত শিক্ষাধারা। কাওমী মাদ্রাসা মূলত পরিচালিত হয় জনগণের সহায়তা, পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থায়নে। ঐতিহাসিক দরসে নিযামীর শিক্ষাধারায় পুষ্ট এসব মাদরাসার রয়েছে মযবুত গণভিত্তি। কওমী মাদ্রাসার উপর অবাঞ্চিত হাত পড়লে জনগণ ঘুরে দাঁড়াবে। এ দেশের কোন নাগরিক যদি তার সন্তানকে মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করাতে চায় তাকে তো সে অধিকার দিতে হবে। এ অধিকার জোর করে কেড়ে নেয়া মানবাধিকার হরণ করার নামান্তর। এ কারণেই তো কাওমী মাদ্রাসার প্রয়োজন। কাওমী মাদ্রাসার আদর্শ ও ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে ইতিবাচক কোন পদক্ষেপ নিলে সরকারকে সহযোগিতা করতে উলামা-মাশায়েখগণ প্রস্তুত রয়েছেন। #
মূল লেখক: ড: আফম খালিদ হোসেন।