স্মরণকালের ইতিহাসের দেশের এই সবচেয়ে বড় এবং ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় আজ আমরা ভীত আজ আমরা সন্ত্রস্ত ।
কিন্তু আমরা অশাহত নই আমাদের হ্রদয়ে, আমাদের চেতনায়, আমাদের ভাবনায় আছে ৭১ হ্যাঁ ১৯৭১। আজ সময় হয়েছে সমগ্র জাতিকে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে একত্রিত হবার। সময় হয়েছে আজ আমাদের জাতি, বর্ণ, ধর্ম শ্রেণী ভেদাভেদ সব ভুলে যাবার। সকলকে একযোগে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দূর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রাণের স্বাধীনতা ভূলন্ঠিত হবে। যারা ইসলামের একনিষ্ঠ সমর্থক তাদের পবিত্র ধর্ম কূলষিত হবে। ৯০% শ্বান্তি প্রিয় মুসলীম এই দেশে কখনোই উগ্র জঙ্গিবাদের আস্তানা হতে দেয়া হবে না আর এ ব্যাপারে মুসলীমদেরই সর্বাঘ্নে ভূমিকা পালন করতে হবে।
সবুজ শ্যামল, পুষ্পে ভরা সোনার এই বংলাদেশকে কোন মতেই ওই ধুঁ ধুঁ মধ্য প্রাচ্যের সিরিয়া,আফগানিস্তান,ইরাক,ইরানে পরিণত হতে দেয়া হবে না... না.... না....।
যে কোন উপায়ে জঙ্গিবাদের ওই কালো থাবাকে প্রতিহত করতেই হবে, না হলে নিজ দেশেই আমরা হয়ে যাবো অভিবাসী।
রাজনৈতিক স্বার্থে ও বাস্তবতার নিরীখে সরকার মুক্তমনাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী,গণতন্ত্রের মানসকণ্যা মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশেই আছি এবং থাকব। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যতীত এই দেশের হাল শক্ত করে ধারার মত আর কোন ব্যক্তি নেই। আপদত এটাই হচ্ছে বাস্তবতা আর মুক্তমনারা সবসময় বাস্তবতার দিকেই ধ্বাবিত হয়। এমন বিপর্যয়ের মধ্যে দয়া করে কেউ অবিবেচকের মত সরকারে বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি আর গুজব ছড়াবেন না। কিছু দুষ্কৃতিকারী বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ উস্কে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। আমাদের মত হতদরিদ্র দেশগুলোতে গুজবটা অত্যন্ত শক্তিশালী এক হাতিয়ার এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- সকলের সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করুন তাহলে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে এবং ৯০% দূর্ণীতিই কমে যাবে। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত কোন মানুষকে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করা যায় না
আর কিছু মানুষ সুযোগ একটা পেয়েছে, তারা এবার সরকারকে বিরুদ্ধে বড় বড় বাণী ছাড়বেন।
কোন কিছু না বুঝেই যারা সরকারের বিরুদ্ধে বাণী ছাড়ছেন তাদের উদ্যেশ্যে বলি- আপনি নিজে সরকার প্রধানের ক্ষমতায় থাকলে কি করতেন? এ পরিস্থিতী কিভাবেই বা সামাল দিতেন? ঠিক এই মহুর্তে আপনি কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন?
লেজে গোবরে অবস্থা হয়ে যেত ভাই!! পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা, হুমম সমালোচনা করতেই পারেন কিন্তু তা গঠনমূলক এবং বাস্তবতার নিরখেই করা উচিৎ।
শুধু শুধু সরকারকে দোষারোপ করা কি ঠিক হচ্ছে? জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তুলে আরোও বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার নিজে এই কান্ড ঘটিয়েছে? সরকার নিজেই জঙ্গী পালে ইত্যাদি?
এ জাতীয় নির্বোধ বক্তব্য যারা দেয় তাদের জন্য রাইল এত্তগুলো সমালোচনা !!
নিজ ঘরে কেউ আগুন দেয়? খাল কেঁটে কেউ কুমির আনে? নিজ পায়ে কেউ কুঁড়াল মারে? আর এই মহুর্তে দেশে এমন কোন দল নেই যার ভয়ে সরকার ভীত হয়ে এসব রাজনৈতিক মারপ্যঁচের খেলা খেলবে।
আমি গবেষণা করে একটি বিষয় বের করছি আর তা হল- কিছু কিছু ব্যপারে আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ যা রটায় যা বিশ্বাস করে তা'ই ভুল, মিথ্যা এবং মনগড়া আমি সমাজ বিজ্ঞানী নই কিন্তু ইহা সইত্যো আপনি গবেষণা করে দেখতে পারেন।
তাই বোধসম্পন্ন ব্যক্তি বর্গের নিকট আমার আবেদন, দয়া করে নির্বোধের মত মনগড়া বক্তব্য দেয়া বন্ধ করুন। আসুন আমরা সকলেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করি এবং যার যার অবস্থান থেকে সরকারকে সহায়তা প্রদান করি। শুধু শুধু বিভ্রান্তি আর গুজব ছড়িয়ে সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করবেন না প্লিজ।
নিম্নের ভিডিওটি দেখুন, দূর্বার সহসিণী হাজার বাঁধা বিপত্তি জয় করা সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালীর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন করুণ পরিস্থিতি আমি জীবনে দেখিনি
গতরাতের গুলশানের এই হামলায় দেশের যে কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল তা সময়ই বলে দেবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসা বাণিজ্যে, কুটনৈতিক তৎপরতায় ব্যপক নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট পড়বে এটা বুঝতে আর জ্ঞানী হতে হয় না।
প্রাধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজে বলেছেন: আস্থা রাখুন, সন্ত্রাসীদের নির্মূল করবই view this link
বাংলাদেশে শ্বান্তি বাজায় থাকুক সে কামনাই করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫৩