"মানুষ ধরো/মানুষ ভজো/শোন বলিরে পাগল মন...।"
মানব জীবন সবসময়ই কোনো না কোনো অভিজ্ঞতা আর আন্দোলনে বহমান। একজন মানুষ একইসাথে বহুরৈখিক ব্যক্তিসত্ত্বা, পারিবারিক সত্ত্বা, সমাজ সত্ত্বা, দেশ-কাল-স্থান পরম্পরা, বৈশ্বিক বীক্ষণসহ নানা বিষয়ের সাথে অন্তর্লিন।
সকল বাস্তবতাকে পাশ না কাটিয়ে এখাণে, এই শিরোনামের নিচে, যেকোনো অভিজ্ঞতা, শোনা কথা, নানা স্হানে পড়া কে আমি যেভাবে বুঝি, যে প্রশ্ন ভেতরে উৎপন্ন হয়, যে জটিলতা আমার শান্তি বিনষ্ট করে এবং যা আমাকে আনন্দ দেয় সেকথাগুলোই বলার প্রয়াস নিব।
১. স্বনামধন্য ব্যাংকে চাকরি করেন আমার এক বন্ধু। তিনি তার বডি স্প্রে বাসা/বাড়িতে রাখেন না, তা রাখেন তার অফিসে। সেদিন, এর কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি আমাকে যা জানালেন তা ছিল এরকমের-যেহেতু তাকে নানান কিসিম/নানান স্ট্যাটাসের কাস্টমার ফেইস করতে হয় সেহেতু তার বডি স্প্রে অফিসে থাকাটা উত্তম কেননা তাতে সে কাস্টমারের স্ট্যাটাস অনুযায়ী, কাস্টমারের উপস্থিতির ঠিক আগে আগে তা ব্যবহার করে সুগন্ধি-সুগিন্ধ নিজেকে অন্যের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন! এটাই নাকি স্মার্টনেস! তার দাবির স্বপক্ষে তিনি তড়িৎ উদাহরণ উপস্থাপন করলেন, জনৈক সুরুচিসম্পন্ন (?) মহিলা অফিস (তার নিজের কি-না জিজ্ঞাসা করি নাই) অভ্যন্তরে ঢোকার আগ মুহূর্তে, লিফটে দাঁড়িয়ে গায়ে পারফিউম/বডি স্প্রে মেখেছিলেন (তার সুগন্ধি যেন অন্যরা প্রাণভরে উপভোগ করতে পারেন!)। এবং উক্ত মহিলার এই কাজ স্মার্টনেসের প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমার এই বন্ধুটির কাছে।
এ দ্বারা এই কি প্রমানিত হয়না- আমরা দিনে দিনে, খুব আপত্তিজনকভাবে জীব থেকে জড় পদার্থে পরিনত হচ্ছি ? আমাদের সবাইকে কি বিজ্ঞাপনের পন্য হয়ে জীবন যাপন করতে হবে? এবং তাতেই কি স্মার্টনেস বাড়ে/অক্ষুন্ন থাকে??