বিদ্রোহী দুই সৈনিক ঃ নজরুুল-জিয়া
আবুু সালেহ
কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান উভয়েই সৈনিক ছিলেন। চাকুরীকালে পদ মর্যাদায় নজরুল ছিলেন হাবিলদার এবং জিয়াউর রহমান লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। প্রথমজন বৃটিশের ভারত শাসনামলে অপরজন পাকি¯ান-বাংলাদেশ আমলে। তবে উল্লেখ করা যেতে পারে দু’জনেরই সৈনিক জীবন শুরু হয় করাচীতে।
নজরুলের কিশোর জীবন কেটেছে ভারতের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায়, নিজ গ্রামেও কিছুদিন ময়মনসিংহের ত্রিশালে এবং জিয়াউর রহমানের কলিকাতায়, পার্ক সার্কাসে। নিজ গ্রাম বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে অল্প সময় কেটেছে।
নজরুলের জীবনীগ্রন্থসমহ থেকে জানা যায়, মা-বাবার দেয়া নামের সšান দুখু মিয়া অর্থাৎ নজরুল ইসলাম কিশোর বয়সে অত্যš চঞ্চল ও দরšপনার মাধ্যমে বেড়ে ওঠেন। স্কুল জীবন ছিল অনিয়মিত ইত্যাদি। অপরদিকে জিয়াউর রহমান ছিলেন ঐ বয়সে অত্যš সুুশৃংখল এবং নিত্য গোছানো।
প্রখ্যাত কবি শহীদ কাদরী লন্ডনে বসবাসকালে ১৯৮১ সালে সেখানে আমাকে জিয়া স¤পর্কে বলেছিলেন, জিয়ার স্কুল জীবন ছিলো কাটায় কাটায় নিয়মিত, ডিউটিফুল। খেলাধুলায়-বিশেষ করে ক্রিকেট খেলার প্রতি ছিল বিশেষভাবে আকৃষ্ট। এই খেলছেন, এই চলছেন, গল্প-উপন্যাস পড়ছেন; সব কিছুুই ছিল ছকে বাঁধা। সব সময়েই তাকে এ্যাকটিভ দেখা যেত। কাšিহীন ছিলেন তিনি।
কাজী নজরুল ইসলামের করাচীতে যাওয়া হয় সৈনিক হিসেবে বাঙালী পল্টনে যোগ দিতে। ব্রিটিশ শাসিত কলিকাতা থেকেই তিনি সেখানে যান। জিয়াউর রহমান তাঁর পিতার কর্মস্থল করাচীতেই ছিলেন এবং ওখান থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। বিশিষ্ট সমাজসেবক, আমলা এবং পরবর্তীতে মšী ফরিদপুরের কৃতি সšান জনাব আকবর কবীরের কাছে শুনেছিলাম, করাচীতে থাকার সময়
-২-
তরুণ জিয়া বাঙালী কমিউনিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। জেনারেল ওসমানী তখন পাকি¯ান সেনাবাহিনীর একমাত্র বাঙালী অফিসার, মেজর। বাঙালী কমিউনিটির কোন কাজে জিয়ার বিশ্ব¯তা, আšরিকতা এবং কল্যাণমলক কর্মসচী বা¯বায়নে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা আশ্ব¯ করতো। বাঙালীদের প্রতি পশ্চিম পাকি¯ানীদের অবজ্ঞা এবং পীড়ন-নিপীড়ন প্রভৃতি আমাদের মত জিয়াকেও ুব্ধ করে তোলে। বাঙালী যে শৌর্য বীর্যে, স¤পদে, জ্ঞানে গরিমায় শ্রেষ্ঠ এ কথাটি সে তাঁর সহপাঠী ও বন্ধুদের কাছে তুুলে ধরতো এবং কখনও কখনও পশ্চিম পাকি¯ানীদের বৈরী আচরণের প্রতিবাদ করতো।
কাজী নজরুল ইসলাম রুটির দোকানে কামলা খাটতো এ কথা বহু জায়গায় লেখা হয়েছে। বলা হয়েছে, রুটির ময়দা তৈরী করতে গিয়ে তিনি ‘যত ডলবে ময়দা-তত ফলবে ফয়দা’ এই চরণ দুটি রচনা করেন। বিখ্যাত কবি কাজী কাদের নওয়াজ যিনি নিজেও বর্ধমান জেলার এবং বিখ্যাত জমিদার তনয়, তিনি নজরুলের রুটির দোকানে কামলার কাজ করার কথাটি বানোয়াট বলেছিলেন। যত ডলবে ময়দা, তত ফলবে ফয়দা- তার রচিত নয়। এটি প্রচলিত ছড়া। রুটির দোকানেই হোক আর মাঠের বা খেতে খামারের দিনমজুরই হোক রুটি রুজির জন্য কাজ করা ঘৃণার কিছুই নয়। কাজ করে উপার্জন করা দোষের নয়। এতে আভিজাত্য ও মর্যাদাও ুণœ হবার নয়। ঐ যুগে ওটাই স্বাভাবিক ছিল। এ যুগেও রয়েছে। কিন্তু ঐ সময়ের তাঁর কর্মস্থল ও কর্ম শ্রেণী নিয়ে অযথা কোন কাহিনী ফলাও করা সমীচীন নয়। বৃটিশ শাসনের একজন দারোগার করূণার পাত্র হওয়া অথবা তার কথিত মহানুভবতার কাহিনীও অতিরঞ্জিত। নজরুলকে দারোগা সাহেব তার প্রয়োজনেই সাথে করে ত্রিশালে নিয়েছিলেন। সেই প্রয়োজনটির প্রকৃতি কোন্ উদ্দেশ্যের ছিল তা আজও রহস্যাবৃত আছে। তবে ‘মহানুভবতার’ হৃদয় যে অল্প দিনেই চৌচির হয়ে যায় তা বুঝতে পারি তখনকার ও এখনকার মানুষ। কেননা সেখানে নজরুল বেশী দিন থাকেননি। পরিণত বয়সে কৈশোর জীবনের কিছুকাল কাটানোর স্মৃতিবহ ত্রিশালকে তার হৃদয়ে তেমন সুখকর চারণত্রে রূপে পরিণতও হয়নি। যদি হতো তবে পরবর্তীকালে তাঁর স্মৃতিময় ত্রিশালে বার বার আসতেন। ঘটনা যাই-ই ঘটুক- একটি বিষয় প্রমাণিত, নজরুল কিশোর বয়স থেকেই পরিবারের প্রতি ছিলেন অত্যš আšরিক, কর্তব্যপরায়ন এবং তাদের ভরণ পোষণের জন্য দায়িত্বশীল। মক্তবের শিক, মসজিদের ইমামতি বা মোয়াজ্জিন হওয়া, লেটোদলে যোগদান প্রভৃতি সবকিছুুই অর্থ উপার্জনের বিষয় ছিল। যা দিয়ে তার পারিবারিক প্রয়োজন মিটানো হতো। ত্রিশালে আগমনের পশ্চাতে কোনরূপ উপার্জনের ল্য ছিল কি-না তা’ কেউ বলেননি। স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে, বিনিময়ে কি কাজ করতে হতো সে স¤পর্কেও কোন তথ্য নিয়ে কেই ঘাটাঘাটি করেননি।
-৩-
জিয়ার বিদ্রোহী মন গড়ে ওঠে সেই কৈশোরে কলকাতার পার্ক সার্কাস থেকেই। ক্রিকেট খেলতে গিয়েই বৃটিশ আমলা কর্মচারী সšানদের বৈরী আচরণ তাঁকে ভাবতে শেখায়। পাকি¯ান পর্বে একই আচরণও ল্য করেন করাচীতে পশ্চিম পাকি¯ানী আমলা কর্মচারীদের ও তাদের সšানদের মধ্যে।
নজরুলের বিদ্রোহী মন কবে কিভাবে গড়ে ওঠে সে তথ্য কোন মুরব্বীর কাছে শুনতে পারিনি। যা জানার সবই-বই পু¯কের মাধ্যমে। নজরুলকে নিয়ে সব লেখাই যে ব¯‘নিষ্ঠ এবং তথ্যনির্ভর তা বলা যাবে না। তাঁর জীবনী, সাহিত্য, রাজনীতি ও সংগীত জীবন নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন তাদের রচনা ভান্ডারেও প্রকৃত তথ্য যথাযথভাবে আছে বলে মনে হয় না। তবে একটি বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয় না, চরম দারিদ্র ও অসহায় এতিম কিশোরের হৃদয়ে যে সময়ে আদর øেহ-ভালবাসা প্রয়োজন ছিল এবং আর্থিক সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। সে সময়ে তিনি তা পাননি। এই না পাওয়া থেকে তার মনে নানা প্রশ্ন জাগে। ধীরে ধীরে সেই প্রশ্নাবলীর আলোকে তার সমাজ, দেশ এবং স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে চিšা জাগ্রত হয়। মন উড়ূ উড়ূ হয় এবং পরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
শহীদ জিয়া জাতির এক মহাসংকটময় মুহর্তে ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকি¯ান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং সশ¯ মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক ঘোষণাও দেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বও দেন। জাতির শত শত বছরের আকাংখারই প্রতিফলন ঘটেছিল একাত্তরে।
কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী হওয়ার আনুষ্ঠানিক কোন দিন ণ তারিখ পাওয়া যায় না। গানে, কবিতায়-তিনি তরুণদের তথা সারা জাতিকে বিদ্রোহী হওয়ার জন্য জাগরণ সৃষ্টি করেন। কার্যকর কোন কর্মসচী বা¯বায়ন করেননি। তাঁর বিদ্রোহ ছিল মলতঃ বুদ্ধিবৃত্তিক। জাগরণমলক। মোটেই সাংগঠনিক ভিত্তির উপর নয়। তবে নির্দ্বিধায় বলা যায়, নজরুল তাঁর জায়গায় এবং জিয়া তাঁর জায়গায় কৃতিত্বের অধিকারী।
নজরুল বিদ্রোহের গান গেয়েছিলেন ভারতবাসীর মুক্তির জন্য, সর্বহারা জনগণের মুক্তির জন্য এবং জিয়া বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। জাতীয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের জন্য। শুধু ঘোষণা দিয়েই নয়, সেই ঘোষণাকে কার্যকরী করার ল্েয সশ¯ মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক ভিত্তি রচনা করেন এবং রণাঙ্গনে শত্রু নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
-৪-
১৭৫৭ সালে বাংলা বিহার উড়িষ্যার শাসন মতা নবাব সিরাজদ্দৌলার নিহত হবার পর বৃটিশের হাতে চলে যায়। নবাবের মতা ফিরিয়ে আনার জন্য নয়, বৃটিশকে ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে পলাশী ট্র্যাজেডির পর থেকে। অসংখ্য আন্দোলন, সংগ্রাম হয়েছে। বলা চলে ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৫৭ সাল পুরো ১০০ বছর ধরে ভারতবর্ষের মানুষ বৃটিশ বিরোধী চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে এবং জাতিকে ঐ ভাবে যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তোলার কাজে মনোনিবেশ করেন নেতৃস্থানীয়গণ। জাগরণের শতাব্দিকাল হিসেবে ঐ পর্ব অতিবাহিত হয়। এই একশত বছর অর্থাৎ ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৫৭ সাল পর্যš এই একশত বছর চলে বিপ্তি ও বিচিছন্নœভাবে বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশ¯ সংগ্রামের কাল।
টিপুুু সুলতান, তীতুমীর, শরীয়তউল্লাহ প্রমুখ স্বাধীনচেতা ধর্মীয় ও সচেতন বীর পুরুষেরা এসব সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। ১৭৫৭ সালে সিরাজদ্দৌলার পতনের পর ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ হয়। সাফল্য অর্জিত না হলেও ঐ বিদ্রোহ ভারতবর্ষে বৃটিশ শাসকদের অস্থির করে তোলে।
১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল। এই একশত বছরের ইতিহাসও সকলের জানা। এই শতকে বৃটিশ বিরোধী যেসব যুদ্ধ ইত্যাদি সংগঠিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন প্রতিরোধ আন্দোলন, আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মোহামেডান লেটারেরী সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বঙ্গ ভঙ্গ, তীতুমীরের আন্দোলন, ফরায়েজী আন্দোলন, কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা, স্বদেশী আন্দোলন, আজাদ হিন্দ আন্দোলন, ৪০ এর লাহোর প্র¯াব ইত্যাদি।
১৯৫৭ সালে বাংলাদেশের টাংগাইলের কাগমারীতে আওয়ামীলীগের সম্মেলনে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পাকি¯ানী শাসকদের প্রতি সরাসরি আসসালামু আলাইকুম জানিয়ে প্রকৃত অর্থে বাঙালীদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেন। এরপর পাকি¯ানী শাসকবর্গ সতর্ক হয়। নানা ছুতায় পর্ব পাকি¯ান প্রাদেশিক সরকারের অ¯িত্ব অস্থির করে তোলে এবং এক সময়ে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় মতা মার্শাল ল জারীর মধ্য দিয়ে করায়ত্ব করে।
-৫-
সকল রকম বাঁধা নিষেধের মধ্যেও এই নিশ্চিছদ্র সামরিক আইনের অন্ধকারেও শুরু হয়- বাঙালীর স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের নিরšর অভিযান। ৬২ এর শিা আন্দোলন, ৬৬, ৬৭, ৬৯ এর আন্দোলন, গণ অভ্যুত্থান, ৭০ এর ভোট সংগ্রাম- সবই সেই অভিযানেরই খেয়া। এই খেয়ার হাল শুরুতে যাঁঁরা ধরেছিলেন শেষ অবধি তারা আর কেউ ছিলেন না। এক একটি খেয়া যান তার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী উজানমুখো হয়। সব খেয়াই যে চূড়াš ল্েয পৌঁছতে পেরেছে তা বলা সঙ্গত হবে না। তবে কোনো খেয়ার অভিযানই বৃথা যায়নি। চূড়াš পর্বের অভিযানে যে খেয়াটি অতিক্রম করার কথা, যে নাবিককে শক্ত হাতে হাল ধরার কথা এই পর্বে তার বীরত্ব আপোষের চোরাবালিতে নুইয়ে পড়লো। খেয়াটি যখন মহাসংকটে, ঝড়ে ঝঞ্ঝায় পতিত সে সময়ে হাল ধরা সেই মাঝিকে আর পাওয়া গেল না। যুদ্ধের সকল রসদসহ খেয়াকে পাকে ফেলে যখন তিনি নিরাপদ আশ্রয়ে নিশ্চুপ হয়ে গেলেন সে মহর্তে জিয়া কঠিন ঝুঁঁঁকি নিয়ে খেয়ার হাল ধরলেন। আর এই হাল ধরার তাৎণিক মš পেয়েছিলেন তিনি আর এক সৈনিক - নজরুলের কাছ থেকে। সেই মšটি ছিল ‘কাণ্ডারী হুশিয়ার কবিতা’-
দর্গম গিরি কাšার মরু দু¯র পারাবার
লংঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রীরা হুশিয়ার
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল ভুলিতেছে মাঝি পথ
ছিঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল আছে কার হিম্মৎ
কে আছো জোয়ান হও আগুয়ান হাকিছে ভবিষ্যৎ
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি নিতে হবে তরী পার।
এর পরেও এই বাংলাদেশ এই জাতি এবং এর সার্বভৌমত্ব পড়েছিল হুমকির মুখে; যখন বাংলাদেশে ‘দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল ভুলিতেছে মাঝি পথ ..., তখন সেই ১৯৭৫এর ভয়ংকর দুর্যোগের কালেও তো জাতির হাল ধরতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। এবারেও তাঁর মš নজরুলের আর একটি কবিতা- চল্ চল্ চল্, উর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল, নিুে উতলা ধরণী তল, অরুণ প্রাতের তরুণ দল, চল্ চল্ চল্।
-৬-
একটি কথা এখানে উল্লেখ করলে অপ্রাসঙ্গিক হবেনা, তা’হলো নজরুলের চেতনা ও জাগরণ জিয়াকে সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। নজরুলের গানকে রণসংগীত হিসেবে গ্রহণ করা, নজরুলের ঢাকা প্রবাসকে স্থায়ী করার ল্েয তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদান জাতীয় কবি সম্মানে ভূষিত করা এবং সবশেষে তাঁর কফিন নিজে বহন করে মসজিদের পাশে সামরিক অভিবাদনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা ইত্যাদি জিয়াই স¤পাদন করেন।
নজরুল যে চেতনায় জাতিকে জেগে উঠার আহ্বান জানান, জিয়া ছিলেন তাঁরই কার্যকর সিপাহ সালার ইতিহাসের মহানায়ক।
---- ০ ----
১. ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:১৯ ০
এক সময় আবু সালেহ-এর কবিতা পড়েছি। ছড়ার সাথে আমার যে পরিচয় এবং শ্রদ্ধাবোধ তাহা আজ নিমেষেই প্রতারিত হলো..