গুলিস্তান ঢাকার সবচেয়ে প্রাণবন্ত বাণিজ্যিক এলাকা। দেথে মনে হয় এলাকাটি সুপরিকল্পিত ভাবে তৈরী করা হয়েছিল। স্কয়ার স্কয়ার করে চারিদিকে রাস্তা রেখে গুচ্ছ গুচ্ছ মাকেট। গাড়ী চারিদিক দিয়ে চলাচলা করার ব্যবস্থা। তবে ….
গুলিস্তানের অধিকাংশ রাস্তাই বন্ধ। প্রতিদিন লক্ষ্ লক্ষ্ লোক, হাজারে হাজারে গাড়ী অনায়াসে পার হতে পারতো এই আপাত: বন্ধ রাস্তা গুলো দিয়ে। বন্ধ রাস্তায় হকারের স্থায়ী দোকান। পুলিশের (ট্রাফিক পুলিশ ও ডি এম পি) চাঁদা বাজী হতে স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা আরকি।
এমনও হতে পারে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে গুলিস্তানকে পঙ্গু করে দেয়ার অশুভ তৎপরতা।
আবার হয়েছে ফ্লাই ওভার। কেন ? নিবিঘ্নে গাড়ী চলাচলের জন্য। ভালো, খুব ভালো। নীচের রাস্তা বন্ধ উপরের রাস্তা দিয়ে (টোল সহকারে) পারাপার। এক রাস্তা বন্ধ করে (নীচের স্বাভাবিক রাস্তা) আরেক রাস্তা (ওভার ফ্লাই) খুলে যাতায়াতের অপশন বাড়লো কি ? নাকি ঐ একই রাস্তা রইলো ?
নীচের রাস্তার অবস্থা কি ? কি নেই সেখানে ? ঘোড়ার আস্তাবল, চাউলের আড়ত, রিকসার গ্যারেজ, ভাতের হোটেল, মোবাইল রিচাজের দোকান, টং দোকান, সবোপরি গাঁজা, ভাং, পুরিয়া, সিরিঞ্জের ডোপ ইত্যাদির অতীব সুলভ প্রাপ্তিস্থান। আর আছে মাদক সেবি, হিজড়া, পতিতা, অন্ধকারে দুদন্ড “মুখোমুখি বসিবার” বনলতা সেন। আছে অকহতব্য ভাঙাচোরা চলার অযোগ্য পথ, প্রায় উল্টে যাওয়ার দশায় পারাপারে অনূন্যপায় গাড়ী।
ক্যাপিটালিজম ও প্রলেতারিয়াটের প্রতীকি উদাহরণ যেন, উপর তলা দিয়ে নিয়নের উজ্জ্বল আলোয় উচ্ছল কিশোরীর মতোন ”উপরে” ছুটে চলা। নীচে ”অতলে” চলে যাওয়া ব্যথ প্রাণ, ক্ষয়ে যাওয়া মূল্যবোধে অন্ধকারে বসিবার বনলতা সেন।
১. ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮ ০