১.আমাদের ক্রিকেটারটা দেশের মাটিতে জিততে পারেনা প্রত্যাশার চাপে আর বিদেশের
মাটিতে হেরে যান পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে।
২.শুরু ভালো(৭৯/০) কিংবা মন্দা (৪/২) যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের স্কোর "১৮০-২৫০" এই রেন্জের মধ্যেই থাকে।কখনো-সখনো এই রানসংখ্যা ১৮০-এর নীচে কিংবা ২৫০ উপরে যেতে পারে।তবে সেটাকে ব্যাতিক্রম বিবেচনা করা যায়।
৩.ব্যাটম্যানসরা আগে বলে দেখেন তারপর খেলেন।ব্যাতিক্রম বাংলাদেশ; এখানে
ব্যাটসম্যানরা আগে খেলেন, পরে বল দেখেন।
৪.ফার্স্ট অর্ডার এবং টেইল অর্ডার মিউচুয়ালী এক্সক্লুসিভ।আর মিডল অর্ডারের রান
পাওয়া একটা "রেয়ার" বিষয়; কারন সেইক্ষেত্রে রানসংখ্যা ২৫০ পেরিয়ে যায়।
৫.স্লগওভারে বাংলাদেশি বোলাররা উইকেট পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে; যেখানে
অন্যদলের মুল উদ্দ্যেশ্য রান চেক দেয়া। উইকেট ভেংগে দেওয়ার পণ করে তারা
সর্বশক্তিযোগে ইয়র্কার ছুড়তে থাকে।লক্ষ্যভ্রষ্ট ইয়র্কার অফসাইডে/লেগস্টাম্পে
ফুলটস;ফলাফল, ৬ওভারে ৮৭ রান করতে ব্যাটসম্যানদের তেমন কষ্টও করতে হয়না।
৬.যেসব শট( যেমন: ওন দ্যা রাইজ বলে কাট কিংবা সুইপ এগেইনস্ট দ্যা স্পিন) বিপদজনক বিধায় খোদ টেন্ডুলকর এড়িয়ে চলেন, বাংলাদেশি ব্যাটম্যানস তা খেলতে
মোটেই ভয় পাননা।ভারত-বাংলাদেশ প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয়ে টেষ্টে শাকিবের শট গুলো দেখুন।
৭.দলের করুন পরিস্থিতিতে অন্যদেশের ব্যাটম্যানরা প্রেশার রিলিজ করতে বলের পর বল মাটি কামড়ে পরে থাকেন সেখানে আমাদের ব্যাটম্যানসরা বাউন্ডারী কিংবা ছক্কা
হাঁকিয়ে চাপমুক্ত হতে যান।
৮.মাথা খাঁটানো নয়, গায়ের জোরই পেস বোলিং য়ের একমাত্র মন্ত্র।
৯. জয়-পরাজয় নয়;অংশগ্রহনই খেলাধুলার মুলমন্ত্র।আমাদের ক্রিকেটারটা এমনধারার স্পোর্টসম্যানশিপে দারুনভাবে বিশ্বাসী।এখনো উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের খেলায় অংশগ্রহন আর পরাজয় প্রায় সমার্থক শব্দ।
ডিসক্লেইমার: অমুক ব্যাটমানের পরিবর্তে তমুক ব্যাটসম্যান খেললে কিংবা ওই বোলারের পরিবর্তে এই বোলার খেললে খেলার ফলাফল উল্টো যেতো: এমনতত্ত্বে
আমি বিশ্বাসী নয়।সময়ের বিবেচনায় সবচে বাংলাদেশের সবচে যোগ্য খেলোয়াড়রাই খেলছে।এইটাই আমাদের স্ট্যান্ডার্ড।