যখন একটি রাষ্ট্রে আইনের শাসন, ধর্মীয় রীতি-নীতি সহ মুক্ত গনতন্ত্র নিশ্চিৎ হয় তখন
সেই দেশের জনগন সেই সুফল ভোগ করেন আর তারা দেশ গঠনে প্রচুর অবদান রাখতে
সচেষ্ট হন। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ১৯৭৯ সালে ইমাম রুহুল্লাহ খোমেনী র নেতৃত্বে ইসলামী
বিপ্লব অর্জিত হয়। সেই ইরান আজ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেবার পথে…
রাজনৈতিক, আর্থনীতি, স্বাস্হ্য-চিকিৎসা, সামরিক সমরযান থেকে শুরু করে রেল, বাস, ট্রেন
সহ প্রায় সব জিনিসই তাদের নিজেদের তৈরী। আর এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অবদান অনস্বিকার্য।
ইসলামী ইরানের নারীরা যে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তা প্রায় অনেক উন্নত রাষ্ট্রসমূহ ইউরোপ
আমেরিকার নারীরাও পারেনা। ইউরোপ-আমিরিকা তাদের নারীদের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি তাদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে আর এক্ষেত্রে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান নারীদের সমঅধিকারের পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধে তাদের একেকজনকে যেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
আসুন দেখে নেই কার্যক্ষেত্রে নারীদের অবদানের কিছু চিত্র।
মানুষের আদীতম পেষা হচ্ছে কৃষি। আর এই কৃষিকাজেও নারীরা যথেষ্ট অবদান রাখছে। দেখে নেই কয়েকটি চিত্র।
জমিতে ধানের চারা লাগাচ্ছে ইরানী নারী।
চা-বাগানে পাতা তুলছে ইরানী নারী।
একজন ইরানের গ্রাম্য নারী। গাধার পিঠে মালামাল বহন করিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে নারীঃ
ইরানের জনসংখা বর্তমানে 70495782 তার মধ্য নারীর সংখ্যা 34629420 আর পুরুষের সংখ্যা 35866362 মোট জনগোষ্ঠীর 49.5% নারী। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা ৬০% এর উপরে।
ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে বেশিরভাগ নারী শিক্ষার্থী
আর শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্য নারী শিক্ষিকা পরিমানে বেশী।
আসুন দেখি শিক্ষাক্ষেত্রের কিছু চিত্র।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নিমগ্ন নারী।
ল্যবরেটরিতে নারী।
ভার্সিটির ক্লাসরুমে নারী শিক্ষার্থী।
কার্যক্ষেত্রে নারীঃ
ইরানী নারীরা বিভিন্ন পেষায় চাকুরী,ব্যবসা,ড্রাইভিং,নার্সিং, ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার, পুলিশ, সেনাবাহিনী, পাইলট সহ ফায়ার ফাইটার হিসেবেও নারীদের অবস্হান পাকাপোক্ত। এছাড়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ন পদে তারা চাকুরী করছেন তাছাড়া জন প্রতিনিধী হিসেবেও তারা কাজ করছেন। একজন নারী ইতিপুর্বে একটি নগরের মেয়র পদে আছেন।
একজন নারী আর্কিটেক্ট। নামঃ নিনা শিয়াখালি মোরাদি।
হেভী ড্রাইভিংয়ে ইরানী নারী।
তেহরানের সবুজ ট্যক্সিঃ
রাজধানী তেহরানে দুই ধরনের ট্যক্সিকার চালু আছে। ১. হলুদ ট্যক্সি।
২. সবুজ ট্যক্সি। হলুদ ট্যক্সি পুরুষ, নারী উভয়ই চড়তে পারবে আর হলুদ ট্যক্সির চালকগন পুরুষ। সবুজ ট্যক্সি মুলত নারীদের জন্য। এতে নারীরা চড়তে পারবে কিন্তু পুরুষরা নয়। আর সবুজ ট্যক্সির চালক হচ্ছে নারীরা। তেহরানের রাস্তাঘাটে সারাদিন সারারাত নারীরা ট্যক্সি চালায়। কোন বাধা বিপত্তি নেই। আইন খুব কঠোরভাবে প্রয়োগ হয়। ইরানের সবত্র নারীরা র্নিবিঘ্নে চলাফেরা করে কোন ইভটিজিং বা নারীকে কেউ বাজে কথা বলেনা। আর যদি হঠাৎ করে কেউ নারীর প্রতি বাজে আচরন বা মন্তব্য করে তাহলে রক্ষা নেই! যে কোন মোবাইল বা ল্যন্ডফোন থেকে ১১০ এ ডায়াল করে কমপ্লিন করলে সাথে সাথে পুলিশ উক্ত নাম্বারের লোকেশন ট্র্যক করে উপস্হিত হবে। অপরাধকারী পার পাবার পথ পাবেনা।
অফিসে কর্মব্যাস্ত একজন নারী।
ইসলামিক রিপাব্লিক অফ ইরান এর পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখিপাত্র মারজিয়েহ আফখাম। তিনি ইরান এর 'সেন্টার ফোর রিপাব্লিক এন্ড মিডিয়া ডিপ্লোমেসি'র প্রধান হিসেবেও দায়ীত্বরত আছেন।
সেনাবাহিনীন বিভিন্ন উইং এ নারী সদস্যগন।
ঘড়ে বসে কার্পেট বুনছে ইরানী নারী।
ইরানীয়ান নারী পাইলট।
ইরানীয়ান মহিলা 'নিনজা' ফাইটারস। এটি কংফু কারাতে'র মতো তবে অস্ত্র যোগে এক বিশেষ ধরণের আত্মরক্ষা, প্রতিরোধ ও আক্রমণ করার কৌশল শিক্ষার নাম।
একটি প্রবাদ বাক্য দিয়ে শেষ করছি ‘যে জাতী যত শিক্ষিত, সে জাতী তত উন্নত’ আর সুশাসন নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা হতে পারে পুরুষদের সাথে প্রতিযোগিতামুলক দেশ গড়ার কাজে নারীর সম অংশগ্রহন। নারী পুরুষের বৈষম্য দুর হোক।