এই তল্লাটে এসে শিখে গেছি বানভাসিদের মতো
বাস্তুহারা, সর্বহারা, অজ্ঞাতনামা যাই বলনা কেন
তাদের মতো করেই জেনে গেছি কিভাবে স্বপ্ন ভাসিয়ে দিতে হয়,
জেনে গেছি ঘুমহীন চোখেও কিভাবে স্বপ্নকাতুর জীবন ঢলতে হয়!
বেশতো বলে সবাই; যখন প্রকৃতিতে ঝড় ওঠে
আর লণ্ডভণ্ড করে দেয় ক্ষণজন্মা মনের ঘর!
আমি বলি, নাহ্ এইতো শুরু কেবল!
মরা নদীওতো বানভাসি জলে আবার
নতুন করে জেগে ওঠে, প্রাণ ফিরে পায়!
তবে কেন বলো তোমাদের
এত ভয়?
এত হাহাকার?
এত আর্তনাদ?
এত লোকলজ্জা?
বলি,
ঘোলাটে চাঁদ দেখলেই মনে যতো সংশয় হয় নিন্দুকের।
কিন্তু পূর্ণ অমানিশায় বা কৃষ্ণপক্ষ রাতে যদি
সেই চাঁদ নেমে আসে তাদের ধরণীতে ;
তবে কেন আবার চুপচাপ কলঙ্কিনী জেনেও
তার রূপসাগরে ডুবসাঁতার কাটে?
তাই বলি; দ্রোহ নয়,
সংঘাত নয়,
নয় কোনো আক্ষেপ।
জীবন-মন-দেহ ও বাহুল্য বাতাস যে কী
তা এই তল্লাটে এসেই আরো জেনেছি বুঝেছি
তাই বলি; নূতন করে আমাকে শিখাতে এসো না
স্বপ্ন কী?
জীবন কী?
দ্রোহ কী?
আর শেষে নাহয় আবার বলেই দিলাম
এই পোড়া চোখে আজও বুনেছি বানভাসি স্বপন!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৩