আগেই বলে নিচ্ছি কোন সুশীল সমাজ যদি ঢুকে থাকেন তাহলে এখুনি রাস্তা মাপেন।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ছোটবেলায় শবেবরাতের সময় তারাবাজি, ছুচাবাজি ফুটাতাম। এখনকার ছেলেপেলেরা চেনে কিনা জানি না। ছোটবেলায় সব সমবয়সই ছেলেরা মিলে একটা কুকুর জোগাড় করতাম, তারপর সেই কুকুরের লেজে একটা ছুচাবাজি বেধে ধরায় দিতাম, এরপর মজা দেখে কে! সেই কুত্তা ঘেউ ঘেউ করে সারা মাঠ দৌড়ায় বেড়াতো।
'সাংবাদিকরা পুলিশের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে সংবাদ সংগ্রহ করবেন' বলেছে আমাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। শালা বাইন**! পুলিশরে কি তুই পয়দা করছিস? আর সাংবাদিকরে তোর সতীন পয়দা করছে? মনচায় তোর হোগায় একটা ছুচাবাজি বেঁধে গুলিস্তানের মোড়ে ছেড়ে দিই, তারপর তুই গুলিস্তান -যাত্রাবাড়ি দৌড়ের উপর থাক।
তোর যোগ্যতা নাই, তুই গদি ছাইড়া দে! তোর নেড়ী কুত্তাগুলানরে এই ভাবে রাস্তা ছাইড়া দিছস কেন? বাংলাদেশ এর জনগনরে রাস্তার টুকাই মনে হয়? মনে করিস এই জনগনের মা-বাপ নাই, দুই-একটা কুত্তায় কামড় দিলে কেউ কিছু কইবো না!
প্রথম আলোর সাংবাদিকরে পিডাইলি, বিডিনিউজের সাংবাদিকরে পিডাইলি, আদালত পাড়ায় এক মেয়ের ইজ্জত নিলি! তোদের ঘরের মা-বোনদের ইজ্জত কি নাই? নাকি তোদের মা-বোনের ইজ্জত পুলিশ নামের কুত্তা গুলো আগে থেকেই ভাগ করে খেয়ে ফেলায়ছে?
অনেক আগে একটা জোকস১৮+ শুনেছিলাম-
এক বাড়ীর সামনে একটা কুত্তা বসে আছে রাত দিন। অন্য কুত্তারা সেই কুত্তাকে অনেক খাওয়া দাওয়ার দাওয়াত দিল, সে কিছুতেই কোথাও গেল না। পরে জানা গেল, সামনের বাসার জরিনার মা জরিনাকে বকা দিয়ে বলছে- তুই যদি ঐ ছেলের লগে আর সম্পর্ক রাখিস, তাহলে তোরে একটা কুত্তার লগে বিয়া দিমু। এই কথা শোনার পর ঐ কুত্তা সেই বাড়ীর সামনে থেকে নড়ে না। সে সুযোগে আছে কখন তার ভাগ্য খোলে।
Our police better than before- Home Minster. পুলিশ নাকি আগের চেয়ে অনেক ভাল! খা*কি বিটি তোর কুত্তা গুলানরে কি ডেইলি প্যানটিন স্যাম্পু দিয়ে গোসল করাস? এই জন্য ভাল হয়ে গেছে? তোর পুলিশরে কি নাপা, প্যারাসিটামলের বদলে যৌন উত্তেজক বড়ি খাওয়াস? নাকি তোর পুলিশ ক্যাম্প গুলোতে একটা করে কলিকাতা হারবালের ব্রাঞ্চ খুলছিস? আমার তো মনে হয় তোর এলাকায় একটা কুত্তাও নেই, সব ভাগছে। তোর প্রতি আগ্রহ হারায় ফেলছে। এই জন্য আজও তোর বিয়াডা হইলো না! আফসুস!
যখন ভার্সিটিতে পড়তাম তখন এক বান্ধবী ছিল, মুক্তা। তাকে যদি কেউ জিগেস করতো তোমার বাবা কি করেন? সে খুব স্টাইল করে বলতো- 'আমার বাবা একজন সৎ পুলিশ অফিসার'। যখন তার বাসায় গেছি তার মা ও খুব গর্বের সাথে বলতো- 'আমার স্বামী একজন সৎ পুলিশ অফিসার'। কিন্তু তাদের বাড়ীর চেহারা দেখলে সৎ এর ইংরেজী অনেস্ট নাকি হনেস্ট তাই ভুলে যেতাম। সৎ পুলিশ অফিসার কথাটা শুনলেই পাছার তলা থেকে আমার জ্বলা শুরু করতো।
আমার কোন ব্যক্তিগত রাগ থেকে এই লেখা না। আমি বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামাত কাউকেই সমর্থন করিনা। কাউকে অকারণে আঘাত করলে, অকারণে রক্ত ঝরলে, কারো ইজ্জত কেড়ে নিলে, কাউকে অপমান করলে আমি সহ্য করতে পারিনা। কিন্তু প্রতিবাদ করবো সেই উপায়ও নাই, কারণ আমার হাত দু'টো যে দূর্বল! একজন প্রতিবাদ করলে আর একজন হাত গুটিয়ে নেয়।
আমি তো এই স্বাধীনতা চাইনি! আমার বাংলাদেশকে এই ভাবে দেখতে চাইনি। চেয়েছি শুধু দু'মুঠো খেয়ে পড়ে ভালভাবে বেঁচে থাকতে। তারপরও বলবো আমরা ভাল আছি তোদের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ আমরা রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারি, কারেন্ট না থাকলেও হাত পাখা দিয়ে বাতাস করে ঘুমাতে পারি। কিন্তু তোরা এসি'র মধ্যেও শান্তিতে ঘুমাতে পারিস না, কারণ তোদের মাথা ভর্তি আকাম-কুকামের চিন্তা!