somewhere in... blog

একজন প্রবাসী রাতের আঁধারে কেন কাঁদে জানেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একজন প্রবাসী রাতের আঁধারে কেন কাঁদে জানেন?
যখন প্রিয় বাবা-মা সন্দেহ করে বলেন, "তোর কাছে আরো টাকা আছে"। বর্তমানে ৮৫% বাবা-মা বিবাহিত প্রবাসীদের সন্দেহ করে যে তারা সব টাকা শ্বশুরবাড়িতে দেয়। এই নিয়ে বউয়ের সাথে ঝগড়া আর ঝগড়া। এটা তারা বোঝতে চায় না যে একজন প্রবাসীর কাছে তার বাবা-মা ছাড়া পৃথিবীতে আর কেউ, কখনোই, কোনভাবেই আপন হয় না। নিজের স্ত্রী ও নয়। সেখানে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি তো কোন দুরের সূর্যালোক। একজন প্রবাসীর বাড়িতে পাঠানো টাকা নিয়ে ঝগড়ার পর, প্রবাস জীবন হয় তার জন্য নরক যন্ত্রণাসম। আর তখন একজন প্রবাসী বোঝে যে তার জন্য এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কত কষ্টের। ফলে তাকে রাত জেগে চুপিসারে সহকর্মী বা রুমমেটদের আড়ালে অশ্রু বিসর্জন দিতে হয়। এটা কি কোন প্রবাসীর নিকটাত্মীয়রা বোঝেন?

অনেক প্রবাসীকেই দেখেছি তারা রাতে কাঁদেন। বউকে ফোন দিলে বউ বলে তুমি তো কাপুরুষ! তুমি তোমার পরিবারকে কিছু বলনা। তুমি নিজের স্থানে নিজেকে কঠিনভাবে উপস্থাপন করতে পারো না। তোমার কারণে তোমার ফ্যামিলি মেম্বার আমার পরিবারকে মিথ্যা অপবাদ দেয়।

আবার এমন অনেক বাবা-মা আছেন, যারা তাদের প্রবাসী ছেলেকে বলেন, "তুই বেঈমান, তুই বউ ও শ্বশুর বাড়ির কথায় চলস। আমাদের কথা শুনোস না। "
আর এই যন্ত্রণার মাঝে প্রবাস জীবন যে কত কষ্টের তা লিখে প্রকাশ করার কোন ভাষা আবিস্কৃত হয়নি। অথচ মাস শেষে ৯৫% প্রবাসীই তাদের বেতনের টাকাটা বাবা-মায়ের কাছে পাঠায়। কারণ পৃথিবীতে কোন প্রবাসী সন্তানই পারে না তাদের বাবা-মাকে ভুল বোঝতে। আর এটা যে প্রবাসীর বাবা-মা না বোঝে, সেই প্রবাসীর জীবন হয় পৃথিবীতে মরে বেঁচে থাকা অর্থাৎ কোমায় থাকা।

আর বিবাহিত প্রবাসীর বউ এর সকল কিছুতেই দোষ। সে বাপের বাড়ির আত্মীয়-স্বজনকে বেশী নজর করে, বাপের বাড়ি থাকে বেশী, টাকা খরচ করে বেশী, ফোনে কথা বলে বেশী। কোন কিছু কেনাকাটা করতে গেলে তো আরো একমহাসমুদ্র ঝামেলা। একা একা বাজারে যায়, মার্কেটে যায় ইত্যাদি নিত্যকার র্ভৎসনা। শ্বশুর-শ্বাশুরি, ননদ একচোখ এবং এককান খাড়া করেই রাখে যে বউ কখন কি বলে, কি কাজ করে। সব বউই যে খারাপ না একথা কোন শ্বাশুড়িই বোঝে না।

সব শেষে সকল প্রবাসী ভাইদের বলি বাড়ির চিন্তা করে নিজেকে কষ্ট দিবেন না। আপনি আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন, দেখবেন মহান আল্লাহ আপনার জন্য ভালো কিছুর ব্যবস্থা করে রেখেছেন। এপারে না পেলে ওপারে পাবেন। বাবা-মায়ের সকল কথা বিশ্বাস করা যেমন প্রয়োজন তেমনি বউয়ের কথাও বিশ্বাস করা প্রয়োজন। হয়ত পারে দু'জনই দুজায়গায় সঠিক আর আপনি আছেন মাইনকা চিপায়। তাই আপনাকে যে কোন ক্ষেত্রেই সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে, সঠিক কথা বলতে হবে। (সকল মা কিংবা বউই কিন্তু ভুল-ত্রুটির উর্ধ্বে নয়)।

(এই লেখার স্কেচটা আমার এক বন্ধু হ্যাং আউটে পাঠায় আমার কাছে, আমি শুধু রং চড়িয়ে উপস্থাপন করলাম, কয়েকটা লাইন বাড়িয়ে, বর্ণনা করে।)

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

১. ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

ছাসা ডোনার বলেছেন: খুব সত্য কথা ভাই। এইটা কারও দোষ না, এটা প্রবাসীদের কপালের দোষ। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।সবার নিকট দোয়া চাই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

লেখক বলেছেন: ভালো থাকবেন। আসলেই কপালের দোষ। তবে ভাই লেখাটা কিন্তু আমি রাঙিয়েছি। কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে আমি বা কর্তৃপক্ষ দায়ী না।

২. ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

মামু১৩ বলেছেন: প্রবাসীরা টাকার মেশিন, টাকা দিতে গড়িমশি করলে বাবা মাও গালি দেয়। প্রবাসীরা নিজের স্ত্রী সন্তানদের স্বার্থ দেখলেই বাবা মার কাছে খারাপ। লক্ষ লক্ষ প্রবাসীর পরিবার দেশে আপন আত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতিত। কিছু বলার নেই!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

লেখক বলেছেন: হুম মামু। ঠিগই কইছো। এই গুলা চাপা পড়ে যায় পুরো পরিবারের চাওয়া-পাওয়ার আড়ালে।

৩. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭

প্রামানিক বলেছেন: নারীরা ভাই নারীর শত্রু
আমরা কিছু নই
তারপরেতেও চিপায় পরে
নাস্তানাবুদ হই।

ভিটামিন ভাই, দারুণ একখান ঘটনা তুলে ধরেছেন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

লেখক বলেছেন: প্রামানিক দা, আাপনার ছড়ার জবাবে তো আমি কোন ছড়া লিখে দিতে পারছি না। তবে লেখাটি পড়া এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৫০

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩



গতকাল ছিলো বাংলা নববর্ষ।
সকালে এক জরুরী কাজে আমি উত্তরা গিয়েছিলাম। আমার তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু দেরী করে ফেললাম। আজ বাসার সবাই মাওয়া যাবে। সেখানেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই সময়ের কিঞ্চিৎ ভাবনা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

বাক স্বাধীনতা কিংবা যা মনে আসছে তাই লিখে বা বলে ফেলছেন, খুব একটা ব্যাক স্পেস চাপতে হচ্ছে না এখন, তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এবং যে কোন দল নির্বাচিত হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: অপেক্ষা (১ম পর্ব)

লিখেছেন শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ফকির আবদুল হাই সাহেবের সাথে পরিচয় হয় যখন আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখন। খুবই আধ্যাত্মিক আর রহস্যময় মানুষ। পেশায় একজন অধ্যাপক। অধ্যাপনা ছেড়ে আধ্যাত্মিকতা করেন, ফকির নামটি তার নিজস্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৮

কেন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার.....

হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ১০ জনের একটা গ্রুপ আছে। আমরা বেশীরভাগ সময়ই সমসাময়ীক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। গত তিনদিনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের মডেল মসজিদ প্রকল্প: রাজনীতি, প্রতারণা ও সমাজের প্রতিচ্ছবি

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৪


২০১৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়। ইসলামপন্থীদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে তারা ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগানোর পথ বেছে নেয়। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা সরকারকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×