গতকাল বাংলাদেশে হয়ে গেলো দশম ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধন। অসাধারন এই উদ্বোধন দিয়ে বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিলো বিশ্বমানের বড় আয়োজনের উদ্বোধনের মত কিছু সফলভাবে করতে্ বাংলাদেশ সক্ষম। তবে উদ্বোধনটা শুধু শুরু মাত্র। খেলাগুলোই মূল আকর্ষণ যা হবে ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুরুল হক স্টেডিয়ামে। ২টি স্টেডিয়াম বিশ্বকাপের ভ্যানু হয়ে দেশের জন্য যেমন দেশকে দিয়েছে বিরল এক সম্মান ও গর্বের উপহার, তেমনি আমাকে দিয়েছে এক বিরল কিছু একটা। আসলে কি যে দিয়েছে তা অনুধাবন করতে পারছি কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। প্রকাশ করতে গিয়ে শুধুই কিছুদিন আগে দেখা একটি ভারতীয় বিজ্ঞাপণের কথা মনে পড়ছে যাতে এক বিমানবন্দরে এক লোক গর্ব করে বলে এই বিমানবন্দরের আসনের কয়েকটি আমার টাকায় কেনা। আমার অনুভুতিও অনেকটা তেমনি।
মাস কয়েক আগে ভাগ্যক্রমে এক পরিচিত আপুর মাধ্যমে এক ভদ্রলোক আসে আমার কাছে তার কিছু কাজ করে দেয়ার জন্য। কাজগুলো হল কিছু ষ্টীলের ছাদের স্ট্রাক্চারাল ডিজাইন। কনসাল্টেন্সী করে তখন কিছু টাকা পকেটে ভরে নিলাম ঠিকই, কিন্তু তখন বুঝি নাই যে সেইসাথে আরও পকেটে নিজের অজান্তে ভরে নিয়েছি অনেক বড় এক আত্ত্বতৃপ্তির উৎস। পরবর্তিতে মিরপুর স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুরুল হক স্টেডিয়ামের সাধারন ও ভি.আই.পি. গ্যালারীর উপরের ষ্টীলের ছাদের ছবি দেখে উচ্ছসিত হয়েছি। এখন নাম না জানা অসাধারন এক অনুভূতি নিয়ে অপেক্ষা করছি সেই ছাদের নিচে বসে বিশ্বকাপের খেলা দেখবে, উল্লাস করবে হাজার হাজার মানুষ। আশা করি বাংলাদেশের বিজয়ের ক্ষনগুলোও দেখবে ইনসাল্লাহ্। আশা করি সেই ছাদের নিচে বসেই অনেকে দেখবে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাবার স্বপ্ন এবং হয়তবা দেখতেও পারে সেই স্বপ্নের পূরণের দৃশ্য। নিচের ছবির সাথে আগত দিনের আরও স্থির ও চলমান ছবি দেখে আমিও আঁকব এমন অনেক স্বপ্ন। কিন্তু একটাই আফসোস, আমি ছাদের নিচে সবার সাথে বসে সেই স্বপ্নের ছবিটা আঁকতে পারলাম না.......