আমাদের দেশের এখন এমন পরিস্থিতি চলতেছে যে সবাই এখন ঐ ভিকারুন্নেসা, তেল-গ্যাস, এইসব নানা সমস্যা নিয়েই বেশী ব্যস্ত। আমি অতীব সাধারণ বাঙ্গালী হয়ে ওইসব ভারি ভারি আলোচনা পর্যালোচনাতে যাব না। তবে একজন দুর্বল দেশপ্রেমিক হিসেবে আমার প্রতিবাদ করার সাহস বা ক্ষমতা না থাক, কিন্তু আমাদের দেশের এইসব বিশৃঙ্খলাকে ঘৃণা করার অধিকার নিশ্চয়ই আছে।
এইযে পরিমলদা, যাকে নিয়ে এত আলোচনা, তাকে আমি নিঃসন্দেহে ঘৃণা করি।
সেই সাথে আমি ঘৃণা করি ঐ শিক্ষিকারুপী নাগিনীকে, যে এইসব পরিমলদের আশ্রয় দেয়।
আমি ঘৃণা করি আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে, যেখানে আমাদের নেতৃস্থানীয়রা পোষে আসছে এইসব পরিমলদের, যাদের সামান্য স্বার্থের জন্য তারা প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে পরিমলদের হাজার হাজার পশুসুলভ কাজকে।
পরিমলের দোষ দিয়ে কি লাভ ভাই!!! আসুন এবার নিজের দোষটা দেখি।
শুধু একজন পরিমল ধরা পড়ছে, তাকে শাস্তি দিতেছি লোক দেখানো আইনে। কিন্তু হাজারো পরিমলকে যে আমি নিজে পোষে রাখতেছি আমার লাভের জন্য, তাদের শাস্তি দিবে কে??? না, তাদের শাস্তি দেওয়ার মত লোক এখন জন্মায় নি।
আমরা পারি শুধু লিখতে, একটু আন্দোলন, মিছিল, প্রয়োজনে একটু মারামারি করতে। আর পারি দুইদিন পর সবকিছু হজম করে নিতে!!! কিন্তু আমাদের দেশে যে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে সেটা ফিরিয়ে আনতে আমরা কেউই উৎসাহী নই!!! ভাই, এক পরিমল তো ধরা পরেছেই, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে, হতেই হবে। কিন্তু আমরা ঐ দিক থেকে একটু মনোযোগটা সরিয়ে এইদিকে আনিনা কেন??? আসুন আমরা সবাই একটু আমাদের জীবসত্তার মধ্যে মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার কাজ করি। আমরা যারা এ বিষয়ে সচেতন আছি, তারা চেষ্টা করি অন্তত একটা পরিমলকে তার চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে এসে সুস্থ মস্তিষ্কের চিন্তা করতে!!! যদি আমরা একজনকেও পারি এ অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে, তাহলে সেটা আমাদের এই মিছিল, আন্দোলন এইসবের চেয়ে অনেক বড় কিছুই হবে!!!
আসুন না, একটু চেষ্টা করে দেখি দেশটাকে বদলানো যায় কিনা???