
হরতাল বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক অধিকার । কিন্তু হরতালের নামে জ্বালাও-পোড়াও,ভাংচুর কিংবা জান মালের ক্ষতি সাধন করার অধিকার কি কারো আছে?
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় আমরা মর্মাহত । একটি স্বাধীন দেশে একজন জন প্রতিনিধি খুন হবেন তা মেনে নেয়া যায়না।জেলা ছাত্রলীগের ডাকা ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি চলছে। কিন্তু হরতালের নামে গতরাতে রেল স্টেশন,সার্কিট হাউস এবং আজ ট্রেনে অগ্নি সংযোগের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ যেই তান্ডব চালিয়েছে তাও কোন সুস্থ মানুষ মেনে নিতে পারেনা । মিডিয়ার খবরে প্রকাশ আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের(প্রভাব বিস্তার এবং ভাগ বাটোয়ারা) ধরে মেয়র লোকমান খুন হন।
লোকমান হোসেনের সমর্থক ও ছাত্রলীগের কর্মীরা সকাল সোয়া ১০টার দিকে শহরের চিনিশপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এগারো সিন্ধুর ট্রেনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। কয়েক শ শ্রমিক ও হরতাল সমর্থকেরা ট্রেন লাইনের ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে ট্রেনটি থামায়। এরপর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
আজ ভোর ছয়টা থেকে নরসিংদী পৌর শহরে রিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে।
কোরবানীর ঈদের ঠিক আগে হরতাল দিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর জন্য মেয়রের নিহত হবার ঘটনায় সারা দেশের মানুষের যেই দুঃখবোধ ছিল তা এখন ছাত্রলীগের তথা ক্ষমতাসীনদের প্রতি ঘৃনায় রুপান্তর হচ্ছে যা আমাদের কারোর কাম্য নয় । আমাদের মরুভুমি(সাহারা) কি বয়ান দেন তার অপেক্ষায় রইলাম ।