আমরা বাংলাদেশীরা বড় বেশী আবেগ প্রবন । খুব সহজেই আমরা আন্দোলিত হই কিংবা আবেগে উদ্বেলিত হই । কিন্তু স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ভুলেও যাই। যার জন্য কি সমাজ জীবন কিংবা রাস্ট্রীয় জীবন আমরা সহজেই প্রতারিত হই কিংবা লুন্ঠিত হই ।বাংলাদেশের চট্টগ্রামে স্মরণকালের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০ স্কুল ছাত্রের কথা আমরা হয়তো ভুলেই গেছি ।আসুন সেই ঘটনার আপডেট জানি এবং আরো জানি উপরে উল্লেখিত দুই মানব দরদী সম্পর্কে। জানার পর আপনার মস্তকও অবনত হবে তাদের কর্মের সামনে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে স্মরণকালের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রদের শোক কাটিয়ে ওঠার জন্য স্থানীয় লোকজনকে সহায়তা করতে দু‘জন বিদেশী বিশেষজ্ঞ সেখানে কাজ করছেন।
এই দুই ব্যক্তি নিহত স্কুলছাত্রদের পরিবার, আত্মীয় স্বজন এবং সহপাঠীদেরকে নানাভাবে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, নাটক দেখানোর মাধ্যমে তারা শোকার্তদের মানসিক শক্তি অর্জনে সহায়তা করছেন।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এ বছরের জুলাই মাসে একটি ট্রাক খাদে পরে গেলে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪০ জন স্কুল ছাত্রের।
এই মৃত্যুর ঘটনা জানিয়ে ইউনাইটেড থিয়েটার ফর সোশাল অ্যাকশন নামের স্থানীয় একটি বেসরকারি সংগঠন যোগাযোগ করে দুই বিদেশী নাগরিক ফিলিপ দ্যা মুরা এবং মার্ক ওয়েন্টওয়ার্থের সাথে।
ইংল্যান্ড ও পর্তুগালের এই দুই নাগরিক তখনই সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে আসার।
মি. দ্যা মুরা বলেন, ‘ইউনাইটেড থিয়েটার ফর সোশাল অ্যাকশন নামের সংগঠনটি আমাদের কাছে ই-মেইল করলে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এবং আমরা সিদ্ধান্ত নেই বাংলাদেশের আসার। কিন্তু অর্থ জোগাড় করার জন্য আরও ছয় মাস পরে আসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের বলা হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসার জন্য। তাই তিন সপ্তাহে মধ্যে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করি।‘
এই দু‘জন বিদেশী নাগরিক পরিচালনা করেন ডায়নামিক হার্ট প্রজেক্ট নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানের অর্থের জোগান হয় বন্ধু, সহপাঠী, আত্মীয় পরিজন এবং কমিউনিটির মানুষদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশে আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মি.দ্যা ম্যুরা বলেন যে, নিহত ছাত্রদের পরিবারকে পরামর্শ এবং এ বিষয়ে নাটক দেখানোর মাধ্যমে তাদের মনোবৈকল্য দূর করা তাদের লক্ষ্য৻
তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা তাদের কাছ থেকে সেই দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতা শুনছি। তারা তাদের আবেগ প্রকাশ করছে আমাদের কাছে। আমরা মনে করি, এতে মন অনেক হালকা হয়।
‘আমাদের নাটকে এই পরিস্থিতি, আবেগ এবং করনীয় বিভিন্ন বিষয় ফুটিয়ে তোলা হবে, সেগুলো তাদেরকে দেখাবো। এটা তাদের মনে শোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।‘
তাদের এই কাজে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের কয়েকজন ছাত্র, বেসরকারি সংগঠনের কর্মী এবং স্থানীয় লোকদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করেন তারা।
মার্ক ওয়েন্টওয়ার্থ ও ফিলিপ দ্যা মুরা। ছবিটি ডায়নামিক হার্ট প্রজেক্টের ওয়েবসাইটে থেকে
ফিলিপ দ্যা মুরা পেশায় একজন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী এবং মার্ক ওয়েন্টওয়ার্থ একজন মনোবিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশে আসার আগে তারা গত বছর নেপালের কাঠমান্ডুতে কাজ করেছেন অনাথ শিশুদের নিয়ে।
তথ্য সুত্রঃ-
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫