এখন যেই পোস্ট স্টিকি করা আছে এটা করার কোনই যুক্তিকতা নেই।সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য এধরনের আত্মঘাতি কর্মে যারা জেনে-বুঝে জড়িত হয়েছেন তাদের একাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি।আপনাদের আবেগকে আমি অভিবাদন জানাই ।কিন্তু এই আবেগ প্রকাশের পদ্ধতিটা সঠিক নয়। যাদের শিরোচ্ছেদ করা হয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েই বলছি,যাদের শিরোচ্ছেদ হয়েছে তাদের বাঁচানোর জন্য সরকারের প্রচেস্টা যথেস্ট ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আদালতের রুল রয়েছে । সেই রিপোর্টে পাওয়ার পর বলা যাবে কারা দায়ী। আর আপনাদের মায়া কান্না দেখে সত্যিই কস্ট হচ্ছে।কথায় বলে পেটে খেলে পিঠে সয়।আপনারা যারা বলছেন আন্দাজের উপর ভর করে । এখানকার শাসকদের জীবন যাপন নিয়ে অভিযোগ আছে। কিন্তু এটা দেখার দায়িত্ব এদেশের জনগনের । আপনার আমার নয় ।২৫ লক্ষ বাংলাদেশীর মধ্যে নগন্য সংখ্যক নানা অপকর্মে জড়িত।তাদের শাস্তি হলে আপনাদের এই মায়াকান্না না তাদের রক্ষা করতে পারবে অথবা এখানকার আইন পরিবর্তন করতে পারবে।মধ্যে থেকে আপনারা জেনে হোক কিংবা না জেনে হোক নিজের অজান্তেই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতকেই শক্তিশালী করছেন।এতে আপনাদের কোন দোষ নেই। সরকারের উচিৎ ছিল জনগনকে প্রকৃত ঘটনা জানানো।
এদেশে আমাদের প্রতি অন্যায় হয়না একথা বলবনা।কিন্তু এর জন্য সৌদিরা যতটুকু দায়ী তার চেয়ে বেশী দায়ী আমরা তথা আমাদের সরকার । এখানে ফিলিপিনোরা তাদের সরকারের সহযোগিতার জন্য ভাল সুযোগ সুবিধা পান ।তাদের প্রতি কোন অন্যায় হলে এর প্রতিকার হয়।কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাসে যাবেন সেখানে গরু-ছাগলের যেই দাম আছে সেই দামটাও প্রবাসীদের নেই।৪৫-৫০° তাপ মাত্রার সময়েও কুলার/এসিগুলি চালানো হয়না । ইচ্ছে করে কস্ট দেবে।বাংলাদেশ নামের দেশটির যারা রক্ত সন্চালনের কাজটি করেন তারাই অবহেলিত হন। দেশের রেমিটেন্সের এক চতুর্থাংশ যেই দেশ থেকে আসে তাদের সুখ-দুঃখ দেখার কেউ নেই ।
আমি গত ১২ বছর যাবৎ এখানে আছি। গত চার দলীয় সরকারের সময়ে অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় বাংলাদেশ থেকে অপরাধীরা এখানে পালিয়ে আসে । তারা এখানে কোন কাজ করেনা । চাঁদাবাজী,ছিনতাই,চুরিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। তাদের জন্য আমাদের বদনাম হয় । সরকারের উচিৎ ছিল এদের দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধ করা ।গুটি কয়েক মানুষের অপকর্মের জন্য আমরা ২৫লক্ষ মানুষ অসুবিধায় । তা দেখার কেউ নেই । আর বাংলাদেশীদের কেউ অপরাধ করলে এটা তিলকে তাল করে প্রচার মাধ্যমে এনেছে ভারতীয় বিশেষ করে ভারতের কেরালা রাজ্যের মানুষেরা।
তাই বলি এসব নিয়ে হৈ-চৈ করে লাভ নেই।উল্টো ২৫লক্ষ মানুষের রোজগারে ব্যঘাত সৃস্টি হবে।গরীব হলে অন্যায় অনেক সময় সহ্য করতে হয়।যেমন আপনার আমার বাড়ীর কাজের লোক।
মানবতা বাদীদের বলবো চোর ডাকাতের জন্য মায়া কান্না না করে নিজের ঘরের দিকে দেখেন।
এ প্রসংগে একটা প্রবাদ মনে পড়ল । "চালনী বলছে সুঁইকে তোর পাছায় ছেঁদা "।
আমীন বাজারে ৬জন ছাত্রকে পিটিয়ে মারলো তখন আপনারা কোথায় থাকেন?রাস্ট্রপতি খুনের আসামীদের মাফ করে দেন আরো খুন করার জন্য তখন আপনারা কোথায় থকেন?
আজ ছয় বৎসর যাবৎ এখানে ভিসা এবং ট্রান্সফার বন্ধ।একটু একটু করে জট খুলছে।সেখানে শত্রুদের হাতে অস্র তুলে দেবেন না প্লিজ। আমার কোম্পানীতে ৬/৭ জন বাংলাদেশী ডেইলি বেসিসে কাজ করছে।ট্রান্সফার চালু হলে কোম্পানীতে নিয়মিত করে নেব । বছরে তারা জনপ্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বেশী পাঠাতে পারবে। থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানীতে সমসাময়িক। তারা আজ পন্য রপ্তানীকারকে পরিনত হয়েছে।আমরাও যদি নিজের দেশে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে এখানে আসতে হবেনা শিরোচ্ছেদও হবেনা।
স্টিকি পোস্টে দেখেছি অনেকে পোস্টের বিরোধিতাকারীদের রাজাকার বলছে । কাউকে ট্যাগিং করার আগে ভেবে দেখা উচিৎ। কারন আমি মনে করি রতনে রতন চিনে।আর চোরের মায়ের বড় গলা থাকে।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৪২