(সবাইকে পড়ার জন্যে অনুরোধ করব!!)
'কাবা শরিফ আল্লাহর ঘর। ইসলামের মর্যাদার প্রতীক। মুসলমানদের ইবাদাতের কেবলা। হজ ও উমরার সময় কাবা প্রদক্ষিণ করতে হয়। নামাজ পড়তে হয় কাবার দিকে ফিরে। কাবার দিকে ফিরে বা কাবাকে পিছন দিয়ে মল-মূত্র ত্যাগ করা জায়েজ নেই। কবরে মৃতকে কাবার দিকে ফিরিয়ে শোয়ানো সুন্নত। কাবার চত্বরে বসে কাবার দিকে তাকিয়ে থাকাও সওয়াবের কাজ। কাবাকে সম্মান করা ও ভালোবাসা ঈমানের অংশ বিশেষ।
কিন্তু কোরআন-হাদিসের কোথাও কাবার ছবি ঘরে ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়নি। তাই কাবার ছবি ঘরে রাখাতে বরকতের বা সওয়াবের কিছু নেই। তবে কারো ব্যক্তিগত অভিরুচি ও আগ্রহ থেকে রাখলে রাখতে পারে; নিষেধ নেই। কিন্তু কাবার ছবির সঙ্গে এমন কিছু করা যাবে না- যা সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিংবা সভ্যতার দৃষ্টিকোণ থেকে অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। আবার কাবার ছবির প্রতি অতিরিক্ত কোনো ভক্তি ও শ্রদ্ধাও প্রদর্শন করা যাবে না। বাড়তি সওয়াবের আশায় কাবার ছবি সামনে রেখে নামাজ পড়লে সওয়াব তো হবেই না, বরং উল্টো গোনাহ হবে।
● মহান আল্লাহ রব্বুল পবিত্র কোরআনে সকল মানুষের জন্য আসমানকে ছাদ এবং জমিনকে বিছানা স্বরূপ ঘোষণা করেছেন। সেক্ষেত্রে সব যায়গায়ই মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য উপযুক্ত থাকলেও হাদিসে পাঁচটি যায়গায় নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। আর সে পাঁচটির মধ্যে একটি হল কাবা শরীফের উপরে নামাজ আদায় করা। অথচ সুকৌশলে কাফের/মুশরিক-গন কাবা শরীফের ছবি দিয়ে জায়নামাজ তৈরি করে মুসলিম দেশে সরবরাহ করছে, আর মুসলমান-গন সে জায়নামাজে দাড়িয়ে তথা কাবা শরিফকে পায়ের নীচে রেখে নামাজ আদায় করে নিজের চাকচিক্য নিয়ে গর্ব প্রকাশ করছে।
● এখন প্রশ্ন হল কারো বাবা-মা’য়ের ছবি দিয়ে যদি একটা শতরঞ্জি তৈরি করা হয়, তাহলে সে কি সে শতরঞ্জির উপরে বসে খানা খাবে অথবা পা দিয়ে মাড়াবে অথবা অন্য কাউকে মাড়াতে দিবে? কখনোই না। তাহলে কিভাবে আমরা পবিত্র কাবা গৃহের ছবি পায়ের নীচে রেখে নামাজ আদায় করতে পারি? অথচ এই ব্যাপারে সরাসরি হাদিসের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দুনিয়াবি লাভের জন্য কাফের-মুশরিকদের তৈরি জায়নামাজকে দুর্বল ইমানের মুমিন-গন নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে পছন্দ করে নিয়েছেন।
● মনে রাখা উচিৎ যে, মুশরিক-কাফের-গন সর্বাবস্থায় মুসলমানদের ইমান নষ্ট করার জন্য দীর্ঘ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তাদের দেখা-দেখি আমাদের দেশেরও কিছু দুর্বল ইমানের মুসলমান-গন ব্যবসায়িক লাভের আশায় তাদের কাপড় তৈরির প্রতিষ্ঠান থেকে কাবা শরীফের ছবি দিয়ে নিম্ন মানের হলেও জায়নামাজ তৈরি করছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের ও পরিতাপের বিষয়।
অতএব যাদের বাসায় কাবা শরীফের ছবি যুক্ত জায়নামাজ আছে, তারা রসুল (সাঃ) এর আদেশকে মানতে চাইলে জরুরী ভিত্তিতে কাবা-শরীফ যুক্ত জায়নামাজে নামাজ পড়া বন্ধ করুন, অথবা যে স্থানে কাবা শরিফ, মসজিদ বা রওজা শরিফের ছবি আছে, সে স্থানে অন্য কাপড় দিয়ে ঢেকে বা শিলাই করে তাতে নামাজ পড়লে আর কোন অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা নেই!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮