বকেট্টা.....লো...ট...!
ঝিলমদের ছাদে উঠার পরেই দেখি ছাদে ঘুড়ি উড়াচ্ছে তবে আমি ঐদিকে তেমন ভ্রুক্ষেপ করিনি, কিন্তু যখন দেখলাম ঝিলম ঘুড়ি উড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন মনেমনে ভাবছিলাম "শালা মফু আবার গুড্ডি উড়াইতে পারে নাকি?" আর সাথে সাথে একটু অতীতে চলে গিয়েছিলাম, মনে পরে গিয়েছিল আগেরকার সেই সৃতিগুলি;
সময়টা ছিলো ২০০২ সাল প্রথমবারের মতো এশিয়ার মাটিতে ফুটবলের মহাযজ্ঞ বসেছে দুপুর তিনটা নাগাদ উদ্বোধনী ম্যাচ আগ্রহের কোন কমতি ছিলোনা, তবে সেই সয়মটা ছিলো ঘুড়ির সিজন তাই হয়তোবা খেলা শুরু হওয়ার একটু আগেও দাদাভাই বলছিলো যে, "চল দেইখা আসি নায়েববাড়ির চিপায় কোন গুড্ডি পরসে নাকি! বাড়ির পাশের নায়েববাড়ির চিকন দেয়ালের উপর দিয়ে হাটতে যেয়ে পা পিছলে পরে গিয়ে ছিলাম দেয়াল থেকে! যখন উঠে দাড়ালাম তখন বুঝতে পারছিলাম যে চোখে কিছু দেখতে পারছিনা ভেবেছিলাম আমি বোধহয় অন্ধহয়ে গেছি তাই হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিয়েছিলাম (হা. হা. হা.) পরে যখন ডাক্তারের কাছে গেলাম তখন বুঝতে পেরেছিলাম আসলে আমার ডান চোখের উপরে এবং নিচে ভালোভাবেইই জখম হয়েছিল কিন্তু অন্ধ হইনি তবে সেই ক্ষতচিহ্নটা এখনো আছে! (যদিও আমি কখনোই ভালোভাবে উড়াতে পারিনি বা পাড়তাম না তবে ঘুড়ির প্রতি একটা দুর্বলতা সব সময়ই কাজ করতো।) যাইহোক সেই সময়টাতে এতো পরিমানে ঘুড়ি আকাশে উড়তো যেনো আকাশটা দেখাই যেতোনা মনেহতো আকাশের নিচে ছোট্ট আরেকটি আকাশ তৈরী হয়েছে।
তবে আমার ধারনাটা ধিরেধিরে ভুলই প্রমানিত হচ্ছিলো যখন ঝিলম একটা করে বিপক্ষ দলের ঘুড়ি কাটছিল, আর পাশ থেকে ছোট ভাইগুলো একসাথে স্বজোরে চিৎকার করছিল "বকেট্টা... লোট"!
এযেন এক বুনো উল্লাস!
এযেন সৃষ্টিসুখের নতুন আনন্দ!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩২