গত বছর ডিসেম্ভর মাসে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধুকে গণধর্ষনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ৬ সন্তানের জননীকে মারধর ও গণধর্ষন|
সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আগেই নির্বাচিত হওয়ায় রোববার ছিল পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। এতে ৩ জনই আ’লীগের প্রার্থী ছিলেন। প্রার্থীরা হচ্ছেন- আবদুর রশিদ (টিউবওয়েল) প্রতিক, তাজউদ্দিন বাবর (চশমা) প্রতিক ও ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী (তালা) প্রতিক। নির্বাচনে তিনি ও তার স্বামী চশমা প্রতিক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন। নির্বাচনের আগে থেকেই তালা প্রতিক প্রার্থীর সমর্থক ইউসুফ মাঝি, বেচু মাঝিসহ অনেকেই তাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তারা তাদের অবস্থানে থেকে চশমা প্রতিকের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যায় তালা প্রতিক প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী নির্যাতিতা নারীর বাড়ীতে এসে চশমা প্রতিক ছেড়ে তালা প্রতিকে কাজ করার নির্দেশ দেন। না করলে তার বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিয়ে যান। রোববার বিকেলে তিনি তার স্বামীর মটর সাইকেল যোগে উত্তর বাগ্যা সমিতির বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন। এ সময় তালা প্রতিকের সমর্থক ইউসুফ মাঝি ও তার সেলক বেচু মাঝি তাকে তালা প্রতিকে ভোট দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু নারী চশমা প্রতিকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ব্যালটে সীল মারার সময় ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝি তাকে অনুসরন করেন। ভোট দিয়ে বেড়িয়ে আসার সময় বেচু ও ইউসুফ নির্যাতিতার স্বামী ও তাকে চশমা প্রতিকে ভোট দেওয়ার কারনে বাড়ী যাওয়ার সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি ও তার স্বামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে রোববার বিকেলে পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করেন। সন্ধ্যার পূর্ব মহুর্তে ভোটের ফলাফল ঘোষনা করা হলে- তালা প্রতিক প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী বিজয়ী হন। ফলাফল ঘোষনার পর তারা সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ীতে না গিয়ে ভোট কেন্দ্রের অদূরে আটকোপালিয়া নামক এলাকায় নারীর খালাতো বোনের বাড়ীতে গিয়ে উঠেন। সন্ধ্যার পর বাড়ীতে রেখে আসা তার আড়াই বছরের শিশু সন্তান তার (নারীর) জন্য কান্না-কাটি করছে, এমন সংবাদ পেয়ে স্বামীর মটর সাইকেল যোগে সন্ধ্য ৭টার সময় তারা স্বজনের বাড়ী থেকে উত্তর বাগ্যা গ্রামের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। স্থানীয় সমিতির বাজার এলাকা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে রুহুল আমিনের মৎস্য খামারের পাশের সড়কে পৌছানোর পর ইউসুফ ও বেচু মাঝির নেতেৃত্বে ১০-১২ জন লোক তাদের মটর সাইকেল গতিরোধ করে। এসময় স্বামী-স্ত্রী কিছু বুঝে উঠার আগেই নারীর স্বামীর মটর সাইকেল লাথি মেরে ফেলে দিয়ে তাকে এলেপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে দূরে নিয়ে আটক করে রাখে। এ সময় ৫-৬ জন নারীকে জোর পূর্বক মৎস্য খামারের পাশে একটি কলাগাছ বাগানে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে উত্তর বাগ্যা গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে বেচু মাঝি (৪০) সিরাজ সর্দ্দারের ছেলে ফজলু (২৫) ও খালেক মাঝির ছেলে আবুল বাসার (৩০) তাকে উপর্যুপুরী ধর্ষন করে এবং মারধর করে। প্রায় দু ঘন্টাব্যাপী নির্যাতন চালানোর পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
রাত ৯টার সময় স্থানীয় রবিউল হক মাঝি বাজার থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে আহতবস্থায় নারীর স্বামীকে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে। স্বামীর তথ্যের ভিত্তিতে রবিউল হক, মনির হোসেন, জামাল, শাহজাহান ও তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা কলাবাগান থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১২টার সময় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য গত বছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ওই দিন দিবাগত গভীর রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের এক বসত বাড়ীতে ঢুকে স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে ৫ সন্তানের জননীকে (৩৫) গণধর্ষণ ও মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় নিযাতীতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চর জব্বর থানায় একটি মামলা করেন। ওই নারীরও অভিযোগ ছিল ভোট কেন্দ্রে থাকা ব্যাক্তিদের পছন্দের প্রতিকে ভোট না দেওয়ার জেরে ওই হামলা ও ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
ঁগত বছর ডিসেম্ভর মাসে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধুকে গণধর্ষনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ৬ সন্তানের জননীকে মারধর ও গণধর্ষন|
সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আগেই নির্বাচিত হওয়ায় রোববার ছিল পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। এতে ৩ জনই আ’লীগের প্রার্থী ছিলেন। প্রার্থীরা হচ্ছেন- আবদুর রশিদ (টিউবওয়েল) প্রতিক, তাজউদ্দিন বাবর (চশমা) প্রতিক ও ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী (তালা) প্রতিক। নির্বাচনে তিনি ও তার স্বামী চশমা প্রতিক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন। নির্বাচনের আগে থেকেই তালা প্রতিক প্রার্থীর সমর্থক ইউসুফ মাঝি, বেচু মাঝিসহ অনেকেই তাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তারা তাদের অবস্থানে থেকে চশমা প্রতিকের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যায় তালা প্রতিক প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী নির্যাতিতা নারীর বাড়ীতে এসে চশমা প্রতিক ছেড়ে তালা প্রতিকে কাজ করার নির্দেশ দেন। না করলে তার বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিয়ে যান। রোববার বিকেলে তিনি তার স্বামীর মটর সাইকেল যোগে উত্তর বাগ্যা সমিতির বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন। এ সময় তালা প্রতিকের সমর্থক ইউসুফ মাঝি ও তার সেলক বেচু মাঝি তাকে তালা প্রতিকে ভোট দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু নারী চশমা প্রতিকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ব্যালটে সীল মারার সময় ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝি তাকে অনুসরন করেন। ভোট দিয়ে বেড়িয়ে আসার সময় বেচু ও ইউসুফ নির্যাতিতার স্বামী ও তাকে চশমা প্রতিকে ভোট দেওয়ার কারনে বাড়ী যাওয়ার সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি ও তার স্বামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে রোববার বিকেলে পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করেন। সন্ধ্যার পূর্ব মহুর্তে ভোটের ফলাফল ঘোষনা করা হলে- তালা প্রতিক প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী বিজয়ী হন। ফলাফল ঘোষনার পর তারা সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ীতে না গিয়ে ভোট কেন্দ্রের অদূরে আটকোপালিয়া নামক এলাকায় নারীর খালাতো বোনের বাড়ীতে গিয়ে উঠেন। সন্ধ্যার পর বাড়ীতে রেখে আসা তার আড়াই বছরের শিশু সন্তান তার (নারীর) জন্য কান্না-কাটি করছে, এমন সংবাদ পেয়ে স্বামীর মটর সাইকেল যোগে সন্ধ্য ৭টার সময় তারা স্বজনের বাড়ী থেকে উত্তর বাগ্যা গ্রামের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। স্থানীয় সমিতির বাজার এলাকা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে রুহুল আমিনের মৎস্য খামারের পাশের সড়কে পৌছানোর পর ইউসুফ ও বেচু মাঝির নেতেৃত্বে ১০-১২ জন লোক তাদের মটর সাইকেল গতিরোধ করে। এসময় স্বামী-স্ত্রী কিছু বুঝে উঠার আগেই নারীর স্বামীর মটর সাইকেল লাথি মেরে ফেলে দিয়ে তাকে এলেপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে দূরে নিয়ে আটক করে রাখে। এ সময় ৫-৬ জন নারীকে জোর পূর্বক মৎস্য খামারের পাশে একটি কলাগাছ বাগানে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে উত্তর বাগ্যা গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে বেচু মাঝি (৪০) সিরাজ সর্দ্দারের ছেলে ফজলু (২৫) ও খালেক মাঝির ছেলে আবুল বাসার (৩০) তাকে উপর্যুপুরী ধর্ষন করে এবং মারধর করে। প্রায় দু ঘন্টাব্যাপী নির্যাতন চালানোর পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
রাত ৯টার সময় স্থানীয় রবিউল হক মাঝি বাজার থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে আহতবস্থায় নারীর স্বামীকে সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে। স্বামীর তথ্যের ভিত্তিতে রবিউল হক, মনির হোসেন, জামাল, শাহজাহান ও তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা কলাবাগান থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১২টার সময় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য গত বছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ওই দিন দিবাগত গভীর রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের এক বসত বাড়ীতে ঢুকে স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে ৫ সন্তানের জননীকে (৩৫) গণধর্ষণ ও মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় নিযাতীতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চর জব্বর থানায় একটি মামলা করেন। ওই নারীরও অভিযোগ ছিল ভোট কেন্দ্রে থাকা ব্যাক্তিদের পছন্দের প্রতিকে ভোট না দেওয়ার জেরে ওই হামলা ও ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।