somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপি কেন পৌর নির্বাচনে অংশ নিব?

১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিএনপি’র অংশ নেওয়া নানেওয়া নিয়ে ইতোমধ্যেই জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিষ্ট/ সমর্থকদের মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি লক্ষ করা যাচ্ছে-যা একটি বৃহত দলের কর্মী সমর্থকদের জন্য স্বাভাবিক প্রকৃয়া হলেও দলের কোনো পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে কোনো প্রকাশ দ্বিধাবিভক্তি প্রকাশ হয়নি।

যারা এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের অন্যতম যুক্তি-(১)এই সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়,(২)নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং নাই,(৩)এই নির্বাচনের ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত-যা প্রহসনের নির্বাচনের শামিল,(৪)পূর্ববর্তী নির্বাচনে বিএনপি সমর্থীত সকল বিজয়ী প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে মেয়র/কাউন্সিলর পদ কেড়ে নিয়ে জেল বন্দী করা হয়েছে।এই অভিযোগগুলো সবই সত্য। আরো সত্য হচ্ছে-স্বৈরাচার সরকার শুধু নির্বাচীত মেয়র কাউন্সিলরদেরকেই মিথ্যা মামলায় জেলবন্দী করছেনা। মামলাবাজ সরকার বিএনপি’র ১০ লক্ষাধিক নেতা কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলবন্দী করে রেখেছে, হুলিয়া জারিকরে হয়রানী করছে।সেক্ষেত্রে কোনো অপরাধ নাকরেই যদি হামলা মামলায় জর্জরিত হতে হয়, গুম খুন হতে হয় তাহলে নির্বাচনে অংশ নিয়েই একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কারানির্যাতন,গুম হত্যা বরণ করে নেওয়া শ্রেয়।

কাজেই আমি মনে করি-শতভাগ প্রতিকূল রাজনৈতিক প্রতিবেশের আবর্তে থাকা বিএনপির সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ এনে দিয়েছে পৌর নির্বাচন। তাদের মেয়র প্রার্থীদের ভাগ্যে জয়-পরাজয় যাই থাকুক ধানের শীষের প্রচার, আন্দোলনের প্রস্তুতি, নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির ‘প্লাটফরম’ হিসাবে এই নির্বাচন। ক্ষমতাসীনদের জুলুমে দলের নেতা-কর্মীরা দৌড়ের ওপর আছেন। না পারছেন মাঠে নামতে, না পারছেন ঘরে থাকতে। মামলা-হুলিয়া-গ্রেফতারে ছত্রভঙ্গ দশা। এমন পরিস্থিতিতে পৌর নির্বাচন শাপেবর হয়ে এসেছে।

ধানের শীষ বিএনপির প্রতীক- একথা তরুণ প্রজন্ম জেনেছে, দেখেছে খুব কম। এবার ধানের শীষের প্রচার আর শ্লোগানে গলা মেলাবে প্রবীণদের সঙ্গে তরুণরা যা এই নির্বাচনে বিএনপি’র প্রাথমিক অর্জন হবে। এই নির্বাচনে দল চাঙ্গা হবে। মনোবল ফিরে পাবে। মাঠ নেতারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পাবেন। এই নির্বাচনও আন্দোলনের অংশ।বরাবরের মতই সরকার যদি উপজেলা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মত বিএনপি’র জয় ছিনিয়ে নেয় তবে তাও বিএনপির জন্য নেতিবাচক হবেনা।যেমনটি হয়নি এর আগেও। ফলে সরকারের সকল অপকর্মের সুদুর প্রসারি পরিণতি সরকারকেই ভোগ করতে হবে।

সরকার একদলীয় নির্বাচনের চেষ্টা করছে-বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের প্রাথমিক অপচেষ্টায় বাঁধা দিচ্ছে। পৌরনির্বাচনে অংশ নেওয়াটাও আন্দোলনের অংশ। এর মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে যারা ভবিষ্যতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবির আন্দোলনকে আরো জোরদারে ভূমিকা রাখবে। পৌর নির্বাচন তৃণমূল বিএনপিতে নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখবে। মাঠ নেতারা বৃহত্ আন্দোলনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করার সুযোগ পাবেন। এটা দলের ঘুরে দাঁড়ানোর একটা স্পেস। এই নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না। গণতন্ত্রও রক্ষা হবে ন অথচ দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহল আবারও সরকারের অবস্থানটা দেখতে পারবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের দলের মাঠ পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা নতুন করে জেগে উঠবেন। তারা পলায়নপর অবস্থা থেকে প্রকাশ্যে এসে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে পারবেন। বিএনপির বড় সাফল্য হবে এই নির্বাচনে মাঠ নেতারা ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নামবেন, বিএনপি’র পক্ষে আর বেশী জনমত সৃষ্টি হবে।

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×